ধর্ম ও শিক্ষার বাতিঘর

আমেরিকায় কলম্বাসের আগে মুসলমানদের আগমন একটি ইতিহাস। এমনকি কলম্বাস আসার সময় দুজন মুসলমান তার সঙ্গে এসেছিলেন । তাই যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে অগণিত প্রাচীন মসজিদ। অগণিত প্রাচীন নিদর্শন।

নিউইয়র্কে সময়ের ব্যবধানে অনেক মসজিদ বাংলাদেশি-আমেরিকানসহ পাকিস্তানি, ভারতীয় বা আরবের লোকজন নির্মাণ করেছে। এই মসজিদগুলো বয়স্কদের জন্য যেমন একটি প্রিয় স্থান তেমনি সব বয়সীদের জন্য মিলনের স্থান।

সেখানে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে যাঁরা আসেন তাঁদের অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। কুশল বিনিময় হয়। সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এ যেন অন্যরকম প্রশান্তি সব বয়সীদের ।

জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার। ১৯৭৬ সালে ছোট্ট পরিসরে একটি অ্যাপার্টমেন্টে যাত্রা শুরু করেছিল নিউইয়র্কের অন্যতম এই মসজিদের। সময়ের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ২৫ আগস্ট ইনকরপোরেটেড হয়। এরপর ১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট ১ লক্ষ ষাট হাজার ডলারে নিজস্ব ভূমি ক্রয় করা হয় ১৬৮ স্ট্রিটে। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আল মামুর স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। পরে ২০১৩ সালে আল মামুর স্কুল পারসন বুলভার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ২০০৩ সালে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে ইকরা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেটি বিভিন্ন বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ওই বছরের ডিসেম্বরে। ১৯৯৪ সালে ইমাম মাওলানা সানাওয়ার চৌধুরী পবিত্র হজে গিয়ে ইন্তেকালের পর ইমাম হিসেবে দায়িত্ব নেন মাওলানা আবু জাফর বেগ।

২০০১ সাল থেকে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে হাফিজি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। মসজিদের ২০১৬-১৭ সালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ এম বিল্লাহ। একসঙ্গে বিপুলসংখ‌্যক মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারেন নিউইয়র্কের অন্যতম এই বৃহৎ মসজিদে। ইমাম মাওলানা আবু জাফর বেগ বলেন, বিশ্ব মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম মিলন স্থল, ইবাদতের স্থান মসজিদ। মসজিদে নামাজ আদায় যে কাউকে পরিতৃপ্তি দান করে। তিনি বলেন, আজ আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের যে অনৈক্য তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ইসলামের নামে যা কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তা ইসলাম সমর্থন করে না।