মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ

আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের আয়োজনে এই আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের আয়োজনে এই আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশে ২১ নভেম্বর নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে উদ্‌যাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবী (সা.)। এ উপলক্ষে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের আয়োজনে ব্রঙ্কসের স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় আল আকসা পার্টি হলে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনপ্রবাসী মুফতি মাওলানা আবদুর রহমান নিজামী। প্রধান বক্তা ছিলেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন মুহাদ্দিস।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের সভাপতি কবি ও অধ্যাপক মাওলানা মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহান শাহ ইয়াহইয়া ও সহসাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ও মাওলানা সৈয়দ সাজিদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা মাশহুদ ইকবাল, শাহজালাল দারুস সুন্নাহ জামে মসজিদের খতিব প্রফেসর ড. এটিএম ফখরুদ্দিন, আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ছুন্নাতুর রহমান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওহী আহমদ চৌধুরী এবং সহসম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দীন।
মাহফিলে মুফতি মাওলানা আবদুর রহমান নিজামী মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম বৃত্তান্ত উল্লেখ করে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত স্বরূপ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) এই জগতে পাঠান। মহানবীকে (সা.) সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহপাক কিছুই সৃষ্টি করতেন না। স্বয়ং আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা যেখানে মহানবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করেন, সেখানে কতিপয় ফেতনাবাজ আলেম মিলাদ-কিয়ামকে বিদাত বলে অপপ্রচার করে। অথচ মহানবীর (সাধারণ) প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করে আমরা নিশ্চিত লাভবান হতে পারি। মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে প্রতিটি মানুষের অফুরন্ত কল্যাণ ও সফলতা। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।
বক্তারা বলেন, কতিপয় আলেম নামধারী ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপনকে বিদাত হিসেবে উল্লেখ করে তা পালন হতে বিরত থাকার জন্য মনগড়া ফতোয়া দিচ্ছেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের লোকদের শাস্তি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেন, ‘নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহ ও তার রসুল সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে আল্লাহ তাদের ধিক্কার দিয়েছেন ইহকালে ও পরকালে, আর তাদের জন্য তৈরি হয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ মহান আল্লাহ রাসুলকে (সা.) দুনিয়ায় পাঠিয়ে ধন্য করেছেন সমগ্র সৃষ্টিকে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) হচ্ছেন এই বিশ্বের সকল নেয়ামতের মূল। মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ লাভ করে।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মোখলেসুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অতিথি, সুধীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আঞ্জুমানে আল ইসলাহর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি ইসলামের আকিদা অনুসরণের মাধ্যমে জীবন গঠনসহ আঞ্জুমানে আল ইসলাহর ছায়াতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নিউইয়র্ক স্টেটের সদস্যরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক মুসল্লি মাহফিলে যোগ দেন। পরে মিলাদ শেষে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করে মুফতি মাওলানা আবদুর রহমান নিজামী বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর (সা.) অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আশিকুর রহমান খান, মো. আবদুর রাজ্জাক, ক্কারী খালেদ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ইকবাল, মোহাম্মদ আবিদ, হাফেজ এবাদুর রহমান চৌধুরী, হাজী সফিকুর রহমান, মুশাহিদ আলী, হাফিজ মাওলানা আবদুল কায়ূম, আতিকুল হক বেলাল, সৈয়দ সায়েম, রাসেল আহমেদ, মোহাম্মদ ওলীউর রহমান, মোহাম্মদ কাসেম, মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা মর্তুজ আলী, আবু সালেক প্রমুখ।