চীন ভ্রমণে আমেরিকানদের বাড়তি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ

চীন সফরের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

চীনে কানাডার কয়েকজন ‘উঁচু দরের’ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নতুন করে এই ভ্রমণ–সতর্কতা জারি করল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের হালনাগাদ পরামর্শে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চীন ত্যাগের ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

নতুন ভ্রমণ–সতর্কতায় বলা হয়, কথিত প্রস্থান নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীন বিদেশি নাগরিকদের সে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

চীনের কথিত এই নিষেধাজ্ঞাকে দমনমূলক বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

ভ্রমণ–সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মার্কিন নাগরিকেরা চীনে আটক হতে পারেন। সেখানে তাঁদের কনস্যুলার সেবা থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা না–ও হতে পারে।

চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুকে গত মাসে গ্রেপ্তার করে কানাডা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক চলার মধ্যে মেং ওয়ানঝু গ্রেপ্তার হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ অনুরোধে কানাডার ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেং ওয়ানঝু গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কানাডার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ে।

গত মাসেই চীন কানাডার দুজন ‘হাই-প্রোফাইল’ নাগরিককে আটক করে। তাঁরা হলেন কানাডার সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কভরিগ ও ব্যবসায়ী মাইকেল স্প্যাভর। চীনে তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের শীর্ষ কৌঁসুলি বলেছেন, কভরিগ ও স্প্যাভর সন্দেহাতীতভাবে চীনা আইন ভেঙেছেন।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডার ১৩ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের তিন নাগরিকের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনে চীন। গত নভেম্বরে তাঁদের চীন ত্যাগে বাধা দেওয়া হয়।