নতুন বছরে আশ্রয়ের আবেদন

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাক্টের ২০৮ ও ২৪১ (বি)(৩) ধারায় এবং কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট টর্চারের অনুচ্ছেদ ৩–এর অধীনে ফরম আই-৫৮৯, অ্যাপ্লিকেশন ফর অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ফর উইথ হোল্ডিং অফ রিমুভাল জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার আশ্রয়প্রার্থনার আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এই ফরম জমা দেওয়ার কোনো ফি নেই। আপনার স্বামী/স্ত্রী বা ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান যদি আমেরিকায় অবস্থান করে, তবে তাদের বিয়ের সনদ ও জন্ম সনদ জমা দিয়ে অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশনে শুরুতেই বা ফাইনাল ডিসিশন হওয়ার আগে আপনার আবেদনে ডেরিভেটিভ হিসেবে যুক্ত করতে পারেন।
অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার ১৫০ দিনের মধ্যে যদি ইউএসসিআইএস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেয়, তবে আপনি ফরম আই-৭৬৫, অ্যাপ্লিকেশন ফর এমপ্লয়মেন্ট অথোরাইজেশন জমা দিয়ে আরও ৩০ দিন পর ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট সাধারণত দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়। প্রথম আবেদনের সময় কোনো ফি না লাগলেও নবায়নের সময় ৪১০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। তবে ওই সময় আপনার বাৎসরিক হাউসহোল্ড ইনকাম যদি ইউএস ফেডারেল পভার্টি গাইড লাইনের ১৫০ ভাগের কম হয় অথবা আপনি যদি স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা বা আবাসনের মতো কোনো একটি মিনস-টেস্টেড বেনিফিট পান, তাহলে ফরম আই-৯১২, রিকোয়েস্ট ফর ফি ওয়েইভার জমা দিয়ে এই ফি মওকুফ করাতে পারেন।

কী কী শর্ত প্রযোজ্য হবে
অ্যাসাইলাম অফিসার যেসব বিষয় যাচাই করবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো আপনি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ১০১(এ)(৪২)(এ) ধারায় সংজ্ঞায়িত কিনা এবং একই আইনের ২০৮(বি)(২) ধারায় অ্যাসাইলাম পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ওপর কোনো বাধা প্রযোজ্য কিনা। অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন করতে না পারার ও মঞ্জুর না হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত হল—
১. আপনাকে সর্বশেষ আমেরিকায় আসার এক বছরের মধ্যে অ্যাসাইলামের আবেদন করতে হবে। আপনার অ্যাসাইলাম আবেদন জমা দিতে যদি এক বছরের বেশি দেরি হয়, যা আপনার আবেদন করার যোগ্যতাকেই অ্যাফেক্ট করে তাহলে আপনাকে ৮ সিএফআর ২০৮.৪–এর অধীনে পরিবর্তিত পরিস্থিতি (চেইঞ্জড সারকামস্ট্যান্স) অথবা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি (এক্সট্রা অর্ডিনারি সারকামস্ট্যান্স) উদ্ভব ঘটেছিল—এমন যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে এবং আরও প্রমাণ করতে হবে, ওই সব পরিস্থিতির পরও আপনি একটি গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে আবেদন করেছেন।
২. আপনি যদি ইতিপূর্বে অ্যাসাইলাম আবেদন করে থাকেন, সেটি যদি ইমিগ্রেশন বিচারক অথবা বোর্ড অফ ইমিগ্রেশনের আপিলে প্রত্যাখ্যান হয়ে থাকে, তবে আপনি দ্বিতীয়বার অ্যাসাইলামের আবেদন করতে পারবেন না।
৩. আপনি যদি আমেরিকায় আসার আগে যে দেশের বিরুদ্ধে আপনার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার অভিযোগ, সেই দেশ বাদে অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস অথবা ফার্মলি রিসেটেল করে থাকেন, তাহলে অ্যাসাইলামের আবেদন করতে পারবেন না।
৪. আপনার বিরুদ্ধে যদি বড় ধরনের ফৌজদারি অপরাধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে তাহলেও আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদন জমা দেওয়ার পর যা ঘটবে
অ্যাসাইলাম আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রথমে আপনি মাস খানিকের মধ্যে আপনার আবেদনের অ্যাকনলেজমেন্ট বা প্রাপ্তি স্বীকার পাবেন, যার মধ্যে আপনার এলিয়েন নম্বর থাকবে। এরপর আপনি আরেকটি চিঠি পাবেন যেখানে আপনাকে ও আপনার আবেদনে পরিবারের কেউ ডেরিভেটিভ বেনিফিশিয়ারি থাকলে প্রত্যেককেই নিকটস্থ আবেদন সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টিং দিতে বলা হবে। এরপর ইন্টারভিউয়ের চিঠি পাবেন। চিঠিতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট দিনে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে নির্ধারিত ইউএসসিআইএস অফিসে হাজির হতে হবে। ইন্টারভিউয়ে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী দোভাষী নিয়ে যেতে পারবেন। অ্যাসাইলাম অফিসার আপনার মামলার রায় দেওয়ার আগে একজন সুপারভাইজরি অ্যাসাইলাম অফিসার পুনরায় এটি আইন সংগত হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে। মামলার ওপর ভিত্তি করে সুপারভাইজরি অ্যাসাইলাম অফিসার চাইলে আপনার মামলার যিনি অ্যাসাইলাম অফিসার ছিলেন, তার সিদ্ধান্ত রিভিউ করতে মামলাটি ইউএসসিআইএসের সদর দপ্তরে অতিরিক্ত রিভিউয়ের জন্য পাঠাতে পারেন।

কখন ওয়ার্ক পারমিট ও সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর পাবেন
আবেদনের প্রাপ্তি স্বীকারের পর থেকে ১৫০তম দিনে আপনি ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের জন্য যোগ্য হবেন ও কাজের অনুমতি পেতে আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার পর দুই মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ও সোশ্যাল সিকিউরিটি পাবেন বলে আশা করা যায়।

ইন্টারভিউয়ের পর কী হবে
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাসাইলাম অফিসার আপনার ইন্টারভিউ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে সিদ্ধান্ত জানাতে অ্যাসাইলাম অফিসে যেতে বলা হবে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন সিদ্ধান্ত দেওয়ার সময় আপনার ভ্যালিড ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস থাকলে, ইউএসসিআইএস ফিল্ড অফিসে আপনার ইন্টারভিউ সম্পন্ন হলে, আপনার সিকিউরিটি চেক পেন্ডিং থাকলে অথবা আপনার মামলা ইউএসসিআইএস সদর দপ্তরে রিভিউ হলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনে যে চার রকমের ফলাফল হতে পারে সেগুলো হলো—
১. অ্যাসাইলাম মঞ্জুর: আপনার অ্যাসাইলাম যদি মঞ্জুর হয় তাহলে আপনাকে একটি চিঠি ও একটি পূর্ণাঙ্গ আই-৯৪, আগমন-বহির্গমন রেকর্ড দেওয়া হবে যেটাতে বোঝা যাবে, আপনার আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অ্যাসাইলাম আবেদন একবার মঞ্জুর হলে সেটা কখনো এক্সপায়ার বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না। কিন্তু আপনার মঞ্জুর হওয়া অ্যাসাইলাম স্ট্যাটাস ইউএসসিএস চাইলে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাক্টের ২০৮(সি)(২) ধারায় বাতিল বা স্থগিত করতে পারেন যদি (ক) পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনের কারণে নিপীড়নের আর কোনো প্রতিষ্ঠিত ভয় (ওয়েল ফাউন্ডেড ফিয়ার অফ পারসিকিউশন) না থাকে (খ) অন্য কোনো দেশ থেকে আপনি ইতিমধ্যে প্রোটেকশন পেয়ে থাকেন (গ) আপনার অ্যাসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সময় আপনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রমাণ হয় এবং (ঘ) আপনি যদি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন বলে প্রমাণ হয়।
২. ইমিগ্রেশন কোর্টে রেফারেল: আপনার আবেদন যদি অনুমোদিত না হয়, আপনাকে একটি ফরম আই-৮৬২, নোটিশ টু অ্যাপিয়ার দেওয়া হবে এবং আপনার আবেদন এক্সিকিউটিভ অফিস ফর ইমিগ্রেশন রিভিউয়ে ইমিগ্রেশন জজ বা অভিবাসন বিচারকের কাছে পাঠানো হবে। ইমিগ্রেশন জজ এই পর্যায়ে শুনানি শেষে রায় দেবেন এবং তাঁর এই রায় কোনোভাবে আগের ইউএসসিআইএস অফিসারের আধিবিচারিক বা কোয়াসি জুডিশিয়াল রায়ের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। যখনই আপনার অ্যাফারমেটিভ অ্যাসাইলামের অ্যাপ্লিকেশন অনুমোদন না করে ইমিগ্রেশন জজের কাছে পাঠানো হবে, তখনই আপনি রিমুভাল প্রসিডিংয়ে যুক্ত হয়ে যাবেন এবং আপনার অ্যাফারমেটিভ অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন তখন থেকে ডিফেন্সিভ অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে গণ্য হবে। মনে রাখবেন, ইমিগ্রেশন কোর্টে রেফারেল করা মানে এই নয় যে, আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন প্রত্যাখ্যান বা নাকচ করা হয়েছে। আরও অধিকতর রিভিউ করার জন্যই ইমিগ্রেশন কোর্টে রেফারেল করা হয়।
৩. রিকমেন্ডেড অ্যাপ্রুভাল:
অ্যাসাইলাম অফিসার যদি আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন মঞ্জুর করতে চান, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি চেক তখনো অসমাপ্ত থাকে তবে আপনাকে রিকমেন্ডেড অ্যাপ্রুভাল ইস্যু করা হবে। সিকিউরিটি চেক শেষ হলে আপনাকে অ্যাসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হয়েছে জানিয়ে আই-৯৪ ইস্যু করা হবে।
৪. নোটিশ অফ ইন্টেন্ট টু নাকচ এবং ফাইনাল ডিনায়াল: আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশনের সময় যদি আমেরিকায় আপনার ভ্যালিড লিগ্যাল স্ট্যাটাস থাকে এবং আপনার আবেদন যদি মঞ্জুর করা না হয়, তবে আপনাকে আবেদন মঞ্জুর না করার কারণ উল্লেখ করে নোটিশ অফ ইন্টেন্ট টু নাকচ করে দেওয়া হবে। আপনার আবেদন কেন মঞ্জুর করা উচিত, তা জানিয়ে কোনো লিখিত ব্যাখ্যা অথবা আপনার আবেদনের স্বপক্ষে নতুন কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকলে নোটিশ অফ ইন্টেন্ট টু নাকচ পাওয়ার পরবর্তী ১৬ দিনের মধ্যে আপনাকে তা জানাতে হবে। আপনি যদি ১৬ দিনের মধ্যে রেসপন্স না করেন, আপনার অ্যাসাইলাম আবেদন নাকচ করা হবে। আর আপনি যদি ১৬ দিনের মধ্যে রেসপন্স করেন, অ্যাসাইলাম অফিসার তখন সতর্কতার সঙ্গে আপনার মামলাটি আবার বিবেচনা করে হয় মঞ্জুর করবেন অথবা চূড়ান্তভাবে নাকচ করবেন।

ইমিগ্রেশন কোর্টে রেফারেল করা হলে কী হবে
ডিএইচএস ফরম আই-৮৬২, নোটিশ টু অ্যাপিয়ারে উল্লিখিত তারিখে আপনাকে প্রথম মাস্টার ক্যালেন্ডার হিয়ারিংয়ের জন্য হাজির হতে হবে। প্রথম মাস্টার ক্যালেন্ডার হিয়ারিংয়ের কমপক্ষে এক বছর পর ইনডিভিজুয়্যাল মেরিট হিয়ারিংয়ের তারিখ পড়বে। এই ইনডিভিজুয়্যাল মেরিট হিয়ারিংয়ে আপনার সব সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। ইনডিভিজুয়্যাল মেরিট হিয়ারিং শেষ হওয়ার পরে জাজ তাৎক্ষণিক মৌখিকভাবে আপনাকে রায় জানিয়ে দিতে পারে আবার কয়েক সপ্তাহ পরে লিখিতভাবে তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে। এই পর্যায়ে ইমিগ্রেশন কোর্ট বা এক্সিকিউটিভ অফিস ফর ইমিগ্রেশন রিভিউতে শুনানি হয় অ্যাডভার্সিয়াল প্রসেসিং সিস্টেমে। সেখানে আপনার নিজের অথবা আপনার ও ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের নিযুক্ত অ্যাটর্নির বক্তব্য শোনা হবে। শুনানি শেষে ইমিগ্রেশন জজ হয় আপনার মামলা মঞ্জুর করে রায় দেবে অথবা আপনাকে আমেরিকা থেকে বহিস্কারের আদেশ দেবে। ইমিগ্রেশন জজ আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন নাকচ করলে আপনি এরপর বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলে (বিআইএ) আপিল করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইমিগ্রেশন জজের সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ টু আপিল জমা দিতে হবে। বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলের এই স্তরে সিদ্ধান্ত পেতে বছর খানিক লেগে যেতে পারে। বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলে আপনার মামলা নাকচ হলে আপনি সার্কিট কোর্ট অফ আপিলে আবার আপিল করতে পারেন। এবারও যদি নাকচ হয় আপনার সর্বশেষ আপিল করার সুযোগ থাকবে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে।

আবেদন মঞ্জুর হলে কী হবে
অ্যাসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেলে তখন আপনার যে স্ট্যাটাস হবে তাকে বলে ‘অ্যাসাইলি’। অ্যাসাইলি অবস্থায় আপনাকে কাজ করার জন্য কোনো ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হবে না। অ্যাসাইলি অবস্থায় দুই বছরের মধ্যে আপনি বিনা মূল্যে ফরম আই-৭৩০, রিফিউজি/অ্যাসাইলি রিলেটিভ পিটিশন জমা দিয়ে আপনার স্বামী/স্ত্রী ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানকে আমেরিকায় আনতে পারবেন। অ্যাসাইলি অবস্থায় আমেরিকায় এক বছর থাকার পর গ্রিনকার্ডের জন্য আপনাকে ১ হাজার ১৪০ ডলার ফি দিয়ে ফরম আই-৪৮৫, অ্যাপ্লিকেশন টু রেজিস্ট্রার পারমানেন্ট রেসিডেন্স অর টু অ্যাডজাস্ট স্ট্যাটাস জমা দিতে হবে। আপনার স্বামী/স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তান যদি আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশনে যুক্ত থাকার কারণে ডেরিভেটিভ অ্যাসাইলাম পান, তবে তাদের জন্য আলাদা আলাদা ফি দিয়ে ফরম আই-৪৮৫ জমা দিতে হবে। তবে সন্তানের বয়স ১৪ বছরের কম হলে ফরম আই-৪৮৫–এর জন্য প্রযোজ্য ফি হবে ৭৫০ ডলার।

আমেরিকার বাইরে যাওয়া যাবে কিনা
একজন অ্যাসাইলাম আবেদনকারী তার মামলা চলাকালে আমেরিকার বাইরে যেতে পারলেও এটা ভালো আইডিয়া নয়। আপনাকে যদি আমেরিকার বাইরে যেতেই হয়, তবে আপনাকে অ্যাডভান্স প্যারোল নেওয়ার জন্য ৫৭৫ ডলার ফি দিয়ে ফরম আই-১৩১, অ্যাপ্লিকেশন ফর ট্রাভেল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু অ্যাডভান্স প্যারোল আপনার আমেরিকায় ফিরে আসার নিশ্চয়তা দেয় না। অ্যাডভান্স প্যারোল থাকা সত্ত্বেও আপনি আমেরিকা থেকে বের হলে ফিরে আসার সময় পোর্ট অব এন্ট্রিতে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন আপনাকে ঢুকতে নাও দিতে পারে। আর আপনি যদি অ্যাডভান্স প্যারোল নিয়ে অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশনে উল্লেখিত আপনার পারসিকিউটেড হওয়ার দেশে ফিরে যান, তবে আপনার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন আপনি নিজেই পরিত্যক্ত করেছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
(এই নিবন্ধ কোনো আইনি পরামর্শ নয়। এটি কেবল ইউএসসিআইএস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত তথ্যের সন্নিবেশ মাত্র)
লেখক: ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল, নিউইয়র্ক প্রবাসী।
সেল: (৯২৯) ৩৯১-৬০৪৭; ইমেইল: [email protected]