এএমআর সোলার এলএলসি বিনিয়োগকারী খুঁজছে

দুই বাংলাদেশি মোহাম্মদ মনসুর ও শফিক রহমান এএমআর সোলার এলএলসি নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন
দুই বাংলাদেশি মোহাম্মদ মনসুর ও শফিক রহমান এএমআর সোলার এলএলসি নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন

আমেরিকায় দুই বাংলাদেশি মোহাম্মদ মনসুর ও শফিক রহমান এএমআর সোলার এলএলসি নামের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁদের মেধা আর শ্রমে ১৯৮৮ সালে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে উঠে। ২০০৯ সালে তাদের হাতে প্রতিষ্ঠা পায় হট ওয়াটার সোলার প্যানেল ও হিট এক্সচেঞ্জার। এর ধারাবাহিকতায় তাঁদের হাতে ২০১৩ সালে এএমআর সোলার এলএলসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্যোক্তাদের একজন মোহাম্মদ মনসুর জনপ্রশাসনে উচ্চ ডিগ্রিধারী। তিনি তিন দশক ব্রিটিশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। তিনি নিরামিষভোজী ও পরিবেশ সচেতন মানুষ হিসেবে পরিচিত। পরিবেশবান্ধব সোলার প্যানেল উৎপাদনে তিনি সময় আর অর্থ বিনিয়োগ করেন। পেনসিলভানিয়ার ইয়র্ক নগরভিত্তিক এএমআর সোলার এলএলসির চেয়ারম্যান তিনি।
এএমআর সোলার এলএলসির আরেক উদ্যোক্তা শফিক রহমানও একজন নিরামিষভোজী। প্রাণী ও প্রকৃতিপ্রেমী শফিক রহমান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। তিনি ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়েতে থার্মাল পাওয়ার প্লান্টে তাঁর কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় ২৫ বছর ধরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জড়িত তিনি। সোলার প্যানেল, বিকল্প জ্বালানি ও জ্বালানি বিনিময় উৎপাদন নিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেন তিনি।
এএমআর সোলার এলএলসির সিইও শফিক রহমান বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে সাশ্রয় প্রযুক্তির সন্নিবেশ করেন। এএমআর সোলার এলএলসির দেওয়া তথ্যমতে, আমেরিকার ৩০ শতাংশ গৃহস্থালি জ্বালানি ব্যয় হয়ে থাকে হিটিং সিস্টেম থেকে। উচ্চ গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের জন্য এই জ্বালানি ব্যয় দায়ী। থার্মো সাইপোন বা ওয়াটার পাম্প ব্যবহার করে ছাদে বা সমতলে সোলার সংগ্রহের প্যানেল স্থাপন করা যায়।
এএমআর সোলার সূর্য থেকে পাওয়া জ্বালানি ব্যবহার করে স্বল্প মূল্যে ভোক্তার কাছে তাদের ব্যবহারের জ্বালানি পৌঁছে দিতে সক্ষম। অর্থ সাশ্রয় আর পরিবেশবান্ধব এই সোলার প্রযুক্তি অর্থনীতির জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এএমআর সোলার এলএলসি এখন যেসব হিট একচেঞ্জার ট্যাংক তৈরি করছে, তা ২১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রায় পানি গরম করতে পারে। আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতে যা ব্যবহার হয়ে আসছে। এএমআর সোলার ভবিষ্যতে ৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রায় পানই গরম করার প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে মাত্র নামমাত্র মূল্যে।
এএমআর সোলার এলএলসিকে আরও এগিয়ে নিতে বিনিয়োগকারী খুঁজছেন উদ্যোক্তারা। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার সুবিধা পাবেন। ই বি-৫ ভিসা প্রোগ্রামের আওতায় এসব বিনিয়োগকারীদের পরিবার ও সন্তানেরাও আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পাবেন।
এবি-৫ ভিসা প্রোগ্রামে আমেরিকায় বছরে ১০ হাজার ভিসা প্রদানের কৌটা থাকলেও সচেতনতা আর বিনিয়োগকারীদের অভাবে প্রায় প্রতি বছরই কৌটা খালি যাচ্ছে। এএমআর সোলার এলএলসির প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এ সুযোগ গ্রহণ নিতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছেন। এ জন্য [email protected] ইমেইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।