ইংরেজিতে কথা বলতে বলায় শিক্ষক বরখাস্ত

শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে কথা বলতে বলে চাকরি হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক। নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ড. মেগান নিলি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রমের পরিচালক। তিনি জৈবপরিসংখ্যানবিদ্যার সহকারী অধ্যাপকও। এই বিভাগের দুই শিক্ষকের অভিযোগ করার মাধ্যমে ঘটনার শুরু। তাঁরা মেগান নিলির কাছে অভিযোগ করেন, তাঁদের ক্লাসে চীনা শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করেন না। এতে চরম বিরক্তি প্রকাশ করে ওই দুই শিক্ষক এই ‘অভদ্র’ আচরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেগান নিলি বিদেশি শিক্ষার্থীদের একটি ই-মেইল পাঠান। সেখানে তিনি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকাকালে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা না বলার নির্দেশ দেন। তিনি সতর্ক করে দেন, ইংরেজিতে কথা না বললে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উটকো ঝামেলায় পড়তে পারেন।

এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেগান নিলির ই-মেইলের স্ক্রিনশট টুইটার ও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র দ্য ক্রনিকল-এ ই-মেইলর স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হয়। গত রোববার রাতে ওয়েইবোতে লাখ লাখ চীনা ব্যবহারকারী হ্যাশট্যাগ দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তাঁরা মেগান নিলির ছবি টুইটারে দিয়ে তাঁর অপসারণ দাবি করেন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কার্যক্রমও শুরু করেন। এক বিবৃতিতে এই কার্যক্রম থেকে বলা হয়, বিষয়টি শুধু ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে নয়, এটি চীনা শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও তাঁদের সম্পর্কে পোষণ করা ধারণার প্রতিবাদ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিদ্যা অনুষদ প্রতিশ্রুতি দেয়, জৈবপরিসংখ্যান বিভাগের ঘটনাটি তারা তদন্ত করবে। সহকারী অধ্যাপক মেগান নিলিকে সাময়িক সময়ের জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।