এবার উবারের উড়ন্ত ট্যাক্সি

উবার স্বপ্ন দেখে বড় বড়। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নেও পদক্ষেপ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় উবার এবার নিয়ে এল উড়ন্ত ট্যাক্সি। এরই মধ্যে এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে বোয়িংয়ের তৈরি কার স্বয়ংসম্পূর্ণ যাত্রীবাহী উবার এয়ার ট্যাক্সি। ভার্জিনিয়ার ম্যানিসাসে ৩০ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া বিদ্যুৎ চালিত এই উড়োজাহাজটি সফলভাবে আকাশে ওঠানামা করে। এর মাধ্যমে উবারের স্বয়ংসম্পূর্ণ উড়ন্ত ট্যাক্সি সার্ভিস বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে এই সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে উবার কর্তৃপক্ষ।
২০২০ সালের মধ্যে উবার এয়ার ট্যাক্সি উড়বে যাত্রী নিয়ে। লস অ্যাঞ্জেলেস ও ডালাসে প্রথম এ সেবা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে উবারের যাত্রীসেবার পরিসর আরও বাড়বে। এ সেবার মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ চালিত এ উড়োজাহাজ উড়বে ছাদ থেকেই। উবারের প্রচলিত সেবার মতোই স্মার্টফোনের অ্যাপ ব্যবহার করেই এই সেবা নেওয়া যাবে। উড়ন্ত এই ট্যাক্সিতে আরোহী হতে পারবেন চারজন।
উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দারা খসরুশাহী জানান, উবারের এই এয়ার ট্যাক্সি খাড়াভাবে ওঠা নামা করতে পারবে। উবার নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। যাত্রীদের স্বস্তি, শান্তি ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে দ্রুত গতির এই এয়ার ট্যাক্সি নিয়ে উবার অনেক আশাবাদী। এ সেবা আরও উন্নত করতে নাসার সঙ্গে স্পেস অ্যাক্ট চুক্তিতে সইও করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ফোনের অ্যাপস ব্যবহার করে যানজট এড়িয়ে ছাদ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে বেশি দূরত্বে যাতায়াত করতে পারবে। সে জন্য শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।
সারা বিশ্বে উবার এখন খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের ৬৫টি দেশে প্রায় ১৬ হাজার কর্মী উবারে কাজ করছে। এয়ার ট্যাক্সির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আরও প্রসারিত হচ্ছে।
এই সেবা সত্যি সমাজ উপযোগী হবে বলে মনে করেন উবারের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার জিফ হোল্ডেন। তিনি বলেন, এই এয়ার ট্যাক্সির স্টেক রোটরের সাহায্যে যানটি হেলিকপ্টারের মতোই আবর্তিত হয়ে উপরে উঠবে। সঠিক উচ্চতায় ওঠার পর এর রোটরে গতি সঞ্চারিত হবে এবং পাখাগুলোর সাহায্যে শূন্যে ভাসবে। তবে এর সবকিছুই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এতে থাকবে একগুচ্ছ ছোট প্রপেলার, যা চলবে বিদ্যুতের সাহায্যে। ফলে শব্দ ও ব্যয় কম হবে, আর দক্ষতা হবে বেশি। প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি চালু হলেও এখন এই এয়ার ট্যাক্সিকে স্বনিয়ন্ত্রিত করাই প্রধান লক্ষ্য এখন।
দারা খসরুশাহী বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ চারজন যাত্রী বহন করা, যাতে সাশ্রয়ী খরচে সেরা সেবা দেওয়া যায়। উচ্চাভিলাষই উবার কোম্পানির মূল চালিকা শক্তি। উবার এয়ার সে রকমই একটি প্রকল্প।