কুইন্সে বাসায় ঢুকে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

রেজওয়ান কিবরিয়া
রেজওয়ান কিবরিয়া

নিউইয়র্ক নগরের কুইন্সের সাউথ জ্যামাইকায় রেজওয়ান কিবরিয়া নামের এক বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে করে। তার হত্যার সঠিক কারণ জানা না গেলেও আর্থিক লেনদেনে বা দেনা-পাওনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

রেজওয়ানের দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। নিউইয়র্ক নগর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো হত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। নিজ বাসায় এভাবে রেজওয়ান কিবরিয়ার খুনের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় তারা শোকাহত। 

জানা গেছে, সাউথ জ্যামাইকার ১০৩-২৯ ১৭১ স্ট্রিট ঠিকানার বাড়িতে বসবাস করতেন বাংলাদেশি রেজওয়ান কিবরিয়া। তার বয়স প্রায় ৬২ বছর। ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাসায় কলিং বেল টিপতে থাকে। তিনি দরজা খোলামাত্রই গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক রেজওয়ানকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রেজওয়ান কিবরিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল পরীক্ষাগারে রাখা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে ফারদিন।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটিতে কোনো লোকজন নেই। সিটি পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। তবে বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫/৬ বছর ধরে রেজওয়ান কিবরিয়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বাড়িই বেশি থাকতেন। বাড়িতে রাত-দিন নানা মানুষের যাওয়া-আসা ছিল, যা অনেকের কাছে ছিল অস্বাভাবিক। এ নিয়ে প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন থাকলেও কোনো উচ্চ-বাচ্য করেননি।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, রেজওয়ান কিবরিয়ার সঙ্গে অনেকের আর্থিক লেনদেন ছিল। তিনি অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও নিয়েছেন, যা পরিশোধ করেননি। আর্থিক লেনদেন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
নিজ বাসায় রেজওয়ান কিবরিয়া খুনের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই হত্যার বিচার চাই। এ জন্য পুরো কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।