বাবার প্রিয় শরৎ মেয়ের গ্ল্যাডওয়েল

বাবা জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও মেয়ে নাহরিন আহমেদ
বাবা জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও মেয়ে নাহরিন আহমেদ

ড্রেকসেল ইউনিভার্সিটি অব ফিলাডেলফিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড কিডনির চিকিৎসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, একজন শহীদের সন্তান, প্রবাসে একজন কীর্তিমান মানুষ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ৩ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তাঁর বাবা ড. শামসুদ্দীন আহমেদ ১৯৭১ সালে ছিলেন সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান। পাকিস্তানি সৈন্যরা এসে হাসপাতালে দায়িত্বরত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে চিকিৎসক শামসুদ্দীনকে। তাঁর দোষ, কেন তিনি আহতদের চিকিৎসা করাবেন! জিয়াউদ্দীন আহমেদের তিন মেয়ে বাবার মতো প্রজ্ঞাবান ও পরোপকারী।
জিয়াউদ্দীন আহমেদের মা হোসনে আরা বেগম সিলেট অঞ্চলের প্রথম নারী যিনি কলকাতায় গিয়ে এমএ পাশ করেছিলেন। সিলেট উইমেন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল তিনি। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে আমরা দুই প্রজন্ম বিভাগে শুনব জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও মেজ মেয়ে নাহরিন আহমেদের পছন্দ–অপছন্দের কথা। বাবার পথ অনুসরণ করে নাহরিন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার মেডিসিন ও ক্রিটিকাল কেয়ার অ্যান্ড পারমোডোরি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বাংলাদেশের সরকারি–বেসরকারি পর্যায়ে সব বড় হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমেরিকানদের অর্থায়নে স্থাপিত হাসপাতালেও বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন নাহরিন। দুজনের কথা এখানে তুলে এনেছেন মনিজা রহমান।

১. কার অভিনয় দেখতে ভালো লাগে?
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: সুচিত্রা সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
নাহরিন আহমেদ: জুলিয়া রবার্টস
২. প্রিয় পোশাক...
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: পাঞ্জাবি
নাহরিন আহমেদ: জিনস
৩. কখন বিরক্ত লাগে?
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে।
নাহরিন আহমেদ: ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকতে।
৪. পরস্পরের চরিত্রের পছন্দের ও অপছন্দের দিক…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: নাহরিন মানুষের জন্য খুব ভাবে, এটা আমার পছন্দ। তবে ও বেশি ব্যস্ত থাকে যেটা আমার তেমন পছন্দ না।
নাহরিন আহমেদ: বাবার পরোপকারী স্বভাব আমাকে ছোটবেলা থেকে মুগ্ধ করে। উনি সব সময় সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। বাবার অপছন্দের দিক হলো, তিনি সব সময় টেলিফোনে কথা বলেন।
৫. প্রিয় খাবার…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: বিরিয়ানি
নাহরিন আহমেদ: ডাল ভাত
৬. যার গান ভালো লাগে…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ফেরদৌস আরা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
নাহরিন আহমেদ: টম পেটি
৭. যেখানে যেতে চাই বারবার…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: ঢাকা ও সিলেট শহর। সিলেট আমার নিজের শহর। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার কারণে ঢাকা শহরও আমার খুব প্রিয়।
নাহরিন আহমেদ: আমার প্রিয় শহর শিকাগো। তবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আজ নেপাল, কাল ইথিওপিয়ায় মেডিকেল প্রোগ্রামে যাওয়া হয়। নানান দেশের মানুষের সঙ্গে মিশতে খুব উপভোগ করি।
৮. পছন্দের বাহন...
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: ট্রেন
নাহরিন আহমেদ: অ্যারোপ্লেন।
৯. প্রিয় লেখক…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
নাহরিন আহমেদ: ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল
১০. অবসরে যা করেন...
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: বই পড়ি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিভিন্ন শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টা করি।
নাহরিন আহমেদ: ভ্রমণ করা আমার প্রিয় শখ সব সময়।
১১. টেলিভিশনে যে অনুষ্ঠান দেখতে ভালো লাগে…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: ফরিদ জাকারিয়ার শো
নাহরিন আহমেদ: দ্য অফিস
১২. প্রিয় রং…
জিয়াউদ্দীন আহমেদ: সবুজ
নাহরিন আহমেদ: বাংলাদেশের ধানখেতের যে সবুজ রংটা, সেটা আমার প্রিয় রং।