আমেরিকায় সফল বাংলাদেশি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন

পরিবারের সঙ্গে রেজাউল ইসলাম মামুন
পরিবারের সঙ্গে রেজাউল ইসলাম মামুন

আমেরিকার মূলধারার পেশা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশিদের ক্রমশ উত্থান ঘটছে। হোটেল মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন। ইউটাহ রাজ্যের কোলাহলময় সল্ট লেক সিটিতে করপোরেট অফিস করে তিনি মেরিয়ট ইন্টারন্যাশনাল, রেডিসন, চয়েস ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়াইন্ডাম হোটেল গ্রুপের বেশ কিছু হোটেলের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত হয়েছেন। রেজাউল ইসলাম ব্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যেও দেশকে ভোলেন না। সময়-সুযোগ করে আমেরিকায় বাংলাদেশিদের সঙ্গে সংযোগ করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেন।
কিশোরগঞ্জের মেধাবী সন্তান মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী বাবা নুরুল ইসলামের সন্তান মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন মেধাবী ছিলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন। নব্বই দশকে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন অগ্রভাগে। বুয়েট থেকে পাস করে ’৯৬ সালে আমেরিকায় আসেন। ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা থেকে এমএস করার পর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে একটি কোম্পানিতে যোগ দেন মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন। পেশাজীবী হিসেবে স্বল্প সময়ে সাফল্য লাভের পর দুজন স্বদেশি অংশীদার নিয়ে প্রথমে একটি হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে হোটেল ব্যবসায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। অল্প সময়েই তিনি বেশ কয়েকটি হোটেলের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। মামুন জায়নস ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউটাহতে যাওয়ার পর সল্টলেক সিটিতে বাংলাদেশি জনসমাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে সল্টলেক সিটিতে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে সংগঠিত করেন। আমেরিকার অন্যতম সমৃদ্ধ রাজ্য ইউটাহতে বাংলাদেশিদের মধ্যে দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এর মধ্যেই। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও নানা সব সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, মার্কিন সামাজিক নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবাসী জনসমাজের সংযোগ বাড়াতে মতবিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের নানা তৎপরতায় জড়িত মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুন।
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা দেওয়া এক বক্তব্যে জানালেন, আমেরিকায় বাংলাদেশিদের অনেক ভালো করার সুযোগ রয়েছে। অপার সম্ভাবনার এ দেশে বাংলাদেশিদের আরও সাফল্যের স্বপ্ন দেখেন তিনি। এ কাজে নিজেকে যেমন নিয়োজিত করেছেন, অন্যদের এগিয়ে আসার জন্য সহযোগিতা নিয়ে তিনি আগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মামুনের স্ত্রী ফারাহ একটি কোম্পানিতে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। দুই কন্যা সন্তান। তারাও বাবা মায়ের মতো মেধাবী এবং শিক্ষাজীবনে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।