'এত দর্শক গত ১৯ বছরে দেখি নাই'

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ১৩ এপ্রিল শুরু হয় দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ১৩ এপ্রিল শুরু হয় দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা।

‘পিএস ৬৯ স্কুলের ব্যবস্থাপনা বিভাগে আমি ১৯ বছর ধরে কাজ করছি। এত দর্শক কোনো অনুষ্ঠানে দেখি নাই। নিয়মিত নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত ছয়জন কর্মী যুক্ত করতে হয়েছে এই ভিড় ব্যবস্থাপনা করতে।’

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ৪৭ বছর বয়সী ক্যাটরিনা হোপ।

এআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয়োজিত এই মেলা শেষ হয়েছে স্থানীয় সময় ১৪ এপ্রিল রাত ১০টায়। শেষ দিন গান গেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী আরা। দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন তরুণ লোকশিল্পী শাহ মাহবুব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন ফাহিম রেজা নূর ও সায়মা শ্যামলিপি।

মেলায় উপচে পড়া ভিড় হয়।
মেলায় উপচে পড়া ভিড় হয়।

অভিনেত্রী শিরিন বকুল ঘোষণা করেন সুন্দর পোশাক পরিধান প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম। এ সময় ফ্রি র‍্যাফেল ড্রয়ের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের কর্ণধার বেলায়েত হোসেন। তিনি ড্রয়ের পুরস্কার নিউইয়র্ক-ঢাকা রিটার্ন টিকিট স্পনসর করেছেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেছিলেন সংগীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফায়জুন্নেসা।

মিলনায়তনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
মিলনায়তনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

মেলায় উপচে পড়া ভিড় সম্পর্কে লেখক আহমাদ মাযহার বলেন, এটি তাঁর কাছে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। ঘণ্টাখানেক ধরে চেষ্টা করেও ভেতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। তবে বাইরে শত শত মানুষ ও সাজসজ্জা দেখে ভালোই লাগছিল। এ যেন মেলার বাইরে আরেকটি মেলা।

বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণ ও অনুষ্ঠানের মিলনায়তনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তাই কর্তৃপক্ষ প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখে। কেউ মেলা থেকে বের হলে অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল।

শেষ দিন গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা।
শেষ দিন গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা।

মেলার পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়ক তোফাজ্জল লিটন বলেন, তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি এত দর্শক হবে। ভিড়ের জন্য অনেক মানুষ মেলায় ঢুকতে পারেননি, সে জন্য তাঁরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে তাঁদের ভালো লেগেছে মানুষের এই মিলনমেলা দেখে। তাঁরা ভবিষ্যতে আরও বড় জায়গায় এই মেলা আয়োজন করবেন।