১২ প্রবাসী নারীকে ফুলকলি ফাউন্ডেশনের সম্মাননা

অতিথিদের সঙ্গে ফুলকলি ফাউন্ডেশনের সম্মাননা পাওয়া নারীরা
অতিথিদের সঙ্গে ফুলকলি ফাউন্ডেশনের সম্মাননা পাওয়া নারীরা

নিউইয়র্কের ১২ জন প্রবাসী নারীকে সম্মাননা জানিয়েছে ফুলকলি ফাউন্ডেশন অব নর্থ আমেরিকা। ১৯ এপ্রিল জ্যামাইকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটির জন্য স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় এই নারীদের সম্মাননা জানানো হয়।
প্রবাসী ১২ নারীকে সম্মাননা জানাতে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্যামাইকার একটি পার্টি হলে ‘কমিউনিটির উন্নয়নে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
সম্মাননা পাওয়া নারীরা হলেন খান’স টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, লেখক ড. লিপি মনোয়ার, মূলধারার রাজনীতিক রেক্সোনা মজুমদার, বাফা’র প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, মূলধারার রাজনীতিক ও নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী মেরী জোবায়দা, সংগীত শিল্পী কাবেরী দাশ ও রানো নেওয়াজ, যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভীন ও কার্যকরী সদস্য শাহানারা রহমান, সংবাদ পাঠক সাদিয়া খন্দকার ও শামসুন নাহার নিম্মি এবং আইনজীবী মোর্শেদা জামান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ ছাড়া তাঁদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিশেষ অতিথি। পরে সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা সংক্ষেপে তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
ফুলকলি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও জেমিনি সম্পাদক বেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামসুদ্দীন আজাদ, কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ এন মজুমদার ও ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ ও কাইয়ুম মোহাম্মদ।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী। অনুষ্ঠানে সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী লিমন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ দেশ ও সমাজ গঠনে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন। ঘরে-বাইরে তাঁদের অবদানকে কোনো অংশেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশি নারীরা তাঁদের কর্মগুণ ও যোগ্যতা বলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। এ জন্য অবশ্যই তাঁরা প্রশংসা ও স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। বক্তারা নারীদের সম্মাননা জানানোর এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ফুলকলি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।