ওয়াশিংটনে বিসিসিডিআই বাংলাস্কুলের বৈশাখী মেলা

বিসিসিডিআই বাংলাস্কুলের বৈশাখী মেলায় সংগীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা
বিসিসিডিআই বাংলাস্কুলের বৈশাখী মেলায় সংগীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা

উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (বিসিসিডিআই) বাংলাস্কুলের বর্ষবরণ উৎসব। ২০ এপ্রিল ভার্জিনিয়ার আনানডেল শহরের ম্যাশন ডিস্ট্রিক্ট পার্কে এ বৈশাখী মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার ও ব্রডকাস্টার কবি আনিস আহমেদের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সূচনা বক্তব্যের পর দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। বৈশাখের চিরায়ত গান ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ ও ‘আমি যুগে যুগে’ গানগুলো পরিবেশন করা হয়। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন নালিয়া, অতসী, শুসান, অহনা, অনিতা, নাইমা, রানিতা ও তাসনুভা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বাংলাস্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। বাংলাস্কুলের সাবেক সভাপতি শামীম চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় বাংলাস্কুলের গানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গান পরিবেশন করে বরাবরের মতোই দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। এই পর্বে সংগীত পরিবেশন করে অঙ্কিতা, অবন্তী, তানিশা, সুমিত, আরিয়া, হৃদি, লাইবা, লিয়ানা, মাহজাবিন, অয়ন, অহনা, অনিতা, রানিতা, শুসান, অতসী, মুহিত, ফারজান, অপ্সরা, এমা, পরাগ, কৌশিক, আদিত্য, সাবরিনা, নাজিলা, অঙ্গনা, নীলাদ্রি, প্রভা, রিদিতা, অনুভা, ইয়াশা, ওয়াদিয়া, শ্রেয়সীসহ আরও অনেকে।
সুরকার ও গীতিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাস্কুলের শিক্ষার্থীরা গান পরিবেশন করেন। এর পর ছিল বাংলাস্কুল ড্যান্স একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। শামীম চৌধুরীর উপস্থাপনায় এই পর্বে ‘আলোকের এই ঝরনাধারা’, ‘দোল দোল দুলুনি’, ‘লাল শাড়ি পিন্দিবালা’, ‘বৈশাখী রং’, ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ ইত্যাদি গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন নায়লা, অতসী, শুসান, অহনা, অনিতা, নাইমা, রানিতা, হৃদি, মাহজাবিন, লাইবা, লিয়ানা, মিরাবেলা, জয়িতা, আরিয়া, নওমি, নালিয়া, পুনম, তানিশা, ইশরা, অবন্তি, অয়ন, মুহিত, ফারজান, অপ্সরা, এমা, পরাগ, কৌশিক, আদিত্য, সাবরিনা, নাজিলা, অঙ্গনা, নীলাদ্রি, প্রভা, রিদিতা, অনুভা, ইয়াশা, ওয়াদিয়া, শ্রেয়সী, অঙ্কিতা, সুমিত ও আরিয়া।
এর পর প্রজ্ঞা আহমেদের সঞ্চালনায় শুরু হয় বাংলার লোকজ গানের উৎসব। মহিতোষ তালুকদারের পরিচালনায় এই পর্বে বৃহত্তর ওয়াশিংটনের প্রায় পঞ্চাশজন শিল্পী অংশগ্রহণ করে। এই পর্বে শিল্পীরা বিভিন্ন মুখোশ হাতে নেচে-গেয়ে ঢোল-বাদ্য বাজিয়ে লালন শাহের ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’, শাহ আবদুল করিমের ‘গাড়ি চলে না চলে না’, শিতলাং শাহের ‘শুয়া উড়িল উড়িল’, মুজিব পরদেশির ‘সাদা দিলে কাদা’, ‘আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি’, হাসন রাজার ‘লোকে বলে বলেরে’, কালু শাহের ‘লোহারে বানাইল কাঞ্চা সোনা’, রাধারমণের ‘জলে গিয়াছিলাম সই’, ‘মানুষ হ মানুষ হ’ ও সব শেষে শাহ আবদুল করিমের ‘গেরামের নওজোয়ান’ গানগুলো পরিবেশন করেন।
এই পর্বে হারমোনিয়ামে ছিলেন বাংলাস্কুলের গানের শিক্ষক নাছের চৌধুরী, তবলায় আশিস বড়ুয়া, বাঁশিতে মোহাম্মদ মাজেদ, ঢোলে হিমু রোজারিওসহ আরও অনেকে। পরে বাংলাস্কুলের পরিচালকমণ্ডলীকে মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাস্কুলের সভাপতি আতিয়া মাহজাবিন নিতু ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা মৌ।