ক্যাথরিনকে বাংলাদেশি জোবাইদার চ্যালেঞ্জ

মেরি জোবাইদা
মেরি জোবাইদা

বাংলাদেশি আমেরিকান মেরি জোবাইদা নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। এই নির্বাচনী আসনে গত ৩৫ বছর ধরে সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন ক্যাথরিন নোলেন। গত ১০ বছরে তাঁকে কেউ প্রাথমিক নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানায়নি। এক দশক পর এবারই প্রথম ক্যাথরিন নোলেন নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।
তিন সন্তানের মা বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট মেরি জোবাইদা প্রার্থিতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। নির্বাচনী এলাকার প্রগতিশীলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সংশ্লিষ্ট মেরি জোবাইদার এ প্রার্থিতা ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রগতিশীল গ্রুপ, সমকামী, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে এগিয়ে এসেছেন মেরি জোবাইদার সমর্থনে।
গত দুই দশক ধরে লং আইল্যান্ডে বসবাসরত মেরি জোবাইদা তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণার বিষয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি ভোটাররা ব্যালটে একজনকেই ভোট দিয়ে আসছেন। ভোটারদের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিষয়টি রীতিমতো বিস্ময়কর। গণতন্ত্রের এ চেহারা আমাকে বিস্মিত করেছে।’
ক্যাথরিন নোলান নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রাজনীতিকদের একজন। গত বছর তিনি অঙ্গরাজ্য সরকারের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পান। অঙ্গরাজ্যের শিক্ষা-বিষয়ক কমিটির প্রধান হিসেবে শিক্ষা খাতে নানা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে আমাজনের সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে অবস্থান করা ক্যাথরিন নোলানের জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয় জোবাইদা ব্রঙ্কসের আরবান হেলথ প্ল্যানের আউটরিচ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় স্নাতক করেছেন। তাঁর সমর্থনে এরই মধ্যে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির লোকজন এগিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে মেরি জোবাইদা নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন ও পরিবেশ নিয়ে সোচ্চার থাকব। পাশাপাশি অঙ্গরাজ্য আইনসভার সদস্যদের নির্বাচনের মেয়াদ নির্দিষ্টকরণে কাজ করব।’ নাগরিকদের সম্পদের বৈষম্য নিয়ে সব সময় সোচ্চার মেরি জোবাইদা বলেন, ‘ধনী গরিবের সম্পদের ফারাক আমাদের জন্য পীড়াদায়ক।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে মেরি জোবাইদা বলেন, ‘আগামী বছরের জুন মাসে দলের প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচন করায় বিশ্বাসী আমি। আবাসন ও নির্বাচনী দাতাদের কাছ থেকে আমি নির্বাচনে চাঁদা নেব না।’