উত্তেজনার পারদ চড়ছেই

ডোনাল্ড ট্রাম্প  ও হাসান রুহানি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হাসান রুহানি

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছেই। এই চুক্তি থেকে আংশিক বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে চীন।

এদিকে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের যে হুমকি ইরান দিয়েছে, তা খারিজ করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা বলেছে, তারা এখনো চুক্তিটি সমর্থন করে।

প্রায় দুই বছর আলোচনার পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরান ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসর পর থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা শুরু করেন। গত বছরের ৮ মে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন তিনি। এর ঠিক এক বছর পর গত বুধবার ইরান চুক্তি থেকে আংশিক বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

ইরানের ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ধাতবশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে তেলের পর রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত হলো এই শিল্প।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানের লোহা, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও কপার শিল্পের ওপর প্রভাব পড়বে। ট্রাম্প বলেন, ইরান তার আচরণে মৌলিক পরিবর্তন না আনলে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাও ফেং বলেন, ইরানের তেল বিক্রিতে লাগাম টেনে ধরলে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

এদিকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে ইরানের হুমকি প্রসঙ্গে ইইউর পররাষ্ট্র কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ফ্রেডেরিকা মোঘেরিনি এবং যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আমরা পর্যালোচনা করব।’