যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর পর আবার মৃত্যুদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড বৈধ। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড বৈধ। ছবি: রয়টার্স

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড ১৬ বছর পর আবার কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এক বিবৃতিতে বলেন, পাঁচ বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি ব্যুরো অব প্রিজনসকে (বিওপি) নির্দেশনা দিয়েছেন। এই পাঁচজন শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি হত্যা ও ধর্ষণের মতো অভিযোগে অভিযুক্ত। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

ওই বিবৃতিতে উইলিয়াম বার আরও বলেন, উভয় পক্ষের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগ সবচেয়ে খারাপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। বিচার বিভাগ আইনের শাসন সমর্থন করেন।

অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মৃত্যুদণ্ডগুলো বেশি কাছাকাছি সময়ে কার্যকর করা হচ্ছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন (এসিএলইউ) বলছে, বিষয়টির প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। এসিএলইউয়ের কেসি স্টুবস বলেন, এই মামলাগুলোর বিবেচনা এবং পর্যালোচনা করার জন্য সময় প্রয়োজন। এই ভাবে একসঙ্গে কার্যকর করার কোনো ভিত্তি নেই।

২০০৩ সালে ট্রেসি জয় ম্যাকব্রাইড নামের ১৯ বছর বয়সী এক সৈনিককে অপহরণ ও হত্যার দায়ে উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশ নেওয়া ৫৩ বছর বয়সী সৈনিক লুই জোনস জুনিয়রের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড বৈধ আছে। ১৯৭৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে টেক্সাসে, ৫৬১ জন। এর মধ্যে ভার্জিনিয়াতে ১১৩ জন, ওকলাহোমাতে ১১২ জন। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামির সংখ্যা ২ হাজার ৬৭৩ জন।