যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে এবারও 'ষড়যন্ত্র'

যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থায় আঘাত হানার চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থায় আঘাত হানার চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। ছবি: রয়টার্স

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে রাশিয়া, ইরান ও চীন। রাশিয়া এই নির্বাচনে সাহায্য করছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চীন সহযোগিতা করছে ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনকে এবং ইরান এই নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। গত শুক্রবার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম ইভানিনা।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের প্রভাবিত করেছিল রাশিয়া। এর ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুবিধা পেয়েছিলেন। এই নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। উইলিয়াম ইভানিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তারা এবারের নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা বিরল। ইভানিনা বলেন, এই তিন দেশ অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া অন্য উপায়ে তারা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিশৃঙ্খলা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের যে আস্থা, তা খর্ব করার চেষ্টা চলছে।

রাশিয়া, চীন ও ইরানের এই হস্তক্ষেপের চেষ্টা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এই হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু ভবিষ্যতে দেখতে পাব। আমাদের খুবই সতর্ক হতে হবে।’ তবে ইভানিনা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি ধারণা করছেন, চীন, রাশিয়া ও ইরান—সবাই মিলে তাঁকে এবারের নির্বাচনে হারানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে এই তিন প্রতিপক্ষ দেশ যে শুধু ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, এমনটা নয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থায় আঘাত হানার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দেশগুলো নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য চুরির চেষ্টা করছে। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করছে। তবে ইভানিনা বলেন, মোটাদাগে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ কিংবা ফলাফল বদলে দেওয়ার যে চেষ্টাই করা হোক, তা করা খুব কঠিন হবে রাশিয়া, চীন ও ইরানের জন্য।