কে আসল, কে নকল

>

এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুজন করে প্রার্থীকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুজন করে প্রার্থীর মনোনয়পত্র বৈধ হয়েছে। ফলে এই আসনে দুই দলেরই দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন। এ অবস্থায় দল দুটির মূল প্রার্থী কারা, তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে। শাহজাহান কামাল এ আসনের বর্তমান সাংসদ। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবু। শহীদ উদ্দীন চৌধুরী সাবেক সাংসদ।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে সরকারের নানা অপকৌশল রয়েছে। কোনো আসন থেকে আমাদের প্রার্থীরা যাতে বাদ না পড়েন, এ জন্য বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। মাঠে আলোচনা ও জল্পনাকল্পনা যা–ই থাকুক, কে মূল আর কে বিকল্প প্রার্থী, এটা কেন্দ্র ছাড়া কেউ জানে না। যথাসময়েই সেটি পরিষ্কার হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের তিনজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ আসন বিএনপির হাতছাড়া হয় ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে। তখন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসনটিতে নৌকার পতাকা ওড়ান এ কে এম শাহজাহান কামাল।

গত বছরের ২ জানুয়ারি তাঁকে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়। এতে দলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর দিকে ঝুঁকেছেন। তবে এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুরও জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ দুজনকেই মনোনয়ন দিয়েছে। তবে কে মূল প্রার্থী, তা কিছুদিন পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ভোটাররা যদি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘আমার নির্বাচন করার জন্য দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এককাট্টা হয়েছেন। দল জনমত ও বাস্তবতার বিচার-বিশ্লেষণ করলে আমার ধারেকাছে অন্য প্রার্থী নেই। জনগণের আস্থা আর ভালোবাসা নিয়ে বিপুল ভোটে আমি জয়ী হব।’

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাকি দুই প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।