পঁচিশে বৈশাখের ডাক

শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত
শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

‘জন্মদিন আসে বারেবারে—
মনে করাবারে
এ জীবন নিত্যই নূতন
প্রতি প্রাতে আলোকিত
পুলকিত
দিনের মতন।’

(‘স্ফূলিঙ্গ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৩৫২ সালের ২৫ বৈশাখ প্রথম প্রকাশিত)

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের অনুষ্ঠান বিষয়ে প্রথম জেনেছিলাম ১৯৫৪ সালে। মনে পড়ে, সে সময় যোগ দিয়েছি গানে গানে মুখরিত পঁচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠানে। নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের (বর্তমানে শেরেবাংলা বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী (১৯২৩) লীলা নাগের (বিয়ের পরে নাম ছিল লীলা রায়) নির্দেশে ১৯২৮-এ স্কুলটির প্রতিষ্ঠাসময় থেকে এখানে রবীন্দ্র–জন্মোৎসব হয়েছিল। ১৯২৮-এ ঢাকায় এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ৮ ফেব্রুয়ারি লীলা নাগের আয়োজনে ব্রাহ্মসমাজের প্রাঙ্গণে তাঁর সংবর্ধনা সভায় ১০-১৫ হাজার বা আরও বেশি মেয়ের উদ্দেশে নবজাগরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সেদিন বিশ্বকবি বলেছিলেন, ‘গৃহকে তোমরা আপন করেছ বাহিরকেও তোমাদের আপন করতে হবে। বাহিরকে আপন করে আত্মীয়-পরের গণ্ডী দূর করতে হবে।...সমস্ত সমাজের মাঝে, কাজের মাঝে, ভাবনার মাঝে এগিয়ে এসে তোমাদের অংশ নিতে হবে। তবেই সমস্ত সহজ হবে সার্থক হবে।’ (লীলা রায়, আমাদের রবীন্দ্রনাথ ও বিপ্লবী সমাজ, কলকাতা, ১৩৯২, পৃ.১২২)।

১৯৬০ সালে আমি লীলা নাগ প্রতিষ্ঠিত নারী শিক্ষা মন্দির থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বক্তৃতা এবং লীলা নাগের জীবনী ও কর্মকাণ্ড সযত্নে রক্ষিত ছিল স্কুলের গ্রন্থাগারে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই সময় থেকেই আমার এবং আমাদের পথপ্রদর্শক। তখনই নানা ঘটনা আর রবীন্দ্রচর্চার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে জানতে শিখেছিলাম। ১৯৬১-৬২-তে পড়েছি বকশীবাজার ইডেন কলেজে। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ সন্​জীদা খাতুনের রবীন্দ্রচর্চার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমাদের তুমুল তারুণ্যের সেই সময়ে। সেই ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র-জন্মশতবার্ষিকী উদ্​যাপনের স্মৃতি এখনো আমার প্রাণে রবীন্দ্রচর্চার উৎসাহ জাগিয়ে চলেছে।

ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের পর পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক দমননীতি চালাচ্ছিল পাকিস্তানের সামরিক সরকার। তখন ঢাকার ওয়ারী এলাকায় আমার জীবনযাপন ছিল প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে—বাবা-মা-ভাইবোনের আন্তরিক পরিবেশে। আমাদের পুরো পাড়ায় ছিল সাংস্কৃতিক আবহ। প্রগতিশীল কর্মকাণ্ডের উৎসাহস্থল ছিল বলধা গার্ডেন। চমৎকার পুকুরঘাটে রবীন্দ্রসংগীতের আবাহনে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ-বসন্ত—এসব ঋতুতে উৎসবমুখর সেই সব স্মৃতি এখনো আমার প্রাণে সুর তোলে।

র​্যাংকিন স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, লারমিনি স্ট্রিটে বাস করতেন প্রখ্যাত ডাক্তার মন্মথনাথ নন্দী, ব্রাহ্মসমাজের নেতা মানিক ঘোষ, আইনজীবী ও বিচারপতি দেবেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, রাজনৈতিক নেতা শ্রী ভবেশ নন্দী প্রমুখ। সেকালে এই ব্যক্তিদের বাড়ির অন্দরমহলে দাদা-বৌদি-দিদিদের সঙ্গে আমাদের গড়ে উঠেছিল আন্তরিক সম্পর্ক। এমনই সম্পর্কসূত্রে ধীরে ধীরে আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন শিল্পী কামরুল হাসান, তখনকার তরুণ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ আরও অনেকে।

সংস্কৃতিচর্চার ওই মহোৎসবে আমার সে সময়ের স্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন ও শতবর্ষ—জন্মোৎসব অমলিন আছে এবং আজীবন থাকবে। ১৯৬১ সালে ঢাকায় রবীন্দ্র–জন্মশতবার্ষিকী উদ্​যাপনের বিস্তারিত তথ্য জানা যাচ্ছে শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান, সন্​জীদা খাতুন, আহমদ রফিকসহ আরও বহুজনের গবেষণা, লেখা ও আলোচনায়।

১৯৬১–তে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানেই পালিত হয়েছিল রবীন্দ্র–জন্মশতবর্ষ। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা স্বদেশে তা করতে দিতে নারাজ ছিল। বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আলী আহসান সম্মত হলেন না সংস্কৃতিসেবী ও উদ্যোক্তাদের অনুরোধে রবীন্দ্র–শতবর্ষের আয়োজন করতে। তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, ঢাকায় সংস্কৃতিসেবী, অধ্যাপক, গুণীজন ও রবীন্দ্রসাধনায় যুক্ত ব্যক্তিদের আয়োজনে তিনটি কমিটি গড়ে উঠেছিল: প্রথমটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্যোগে এবং হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মুরশিদকে সভাপতি ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের রিডার খান সারওয়ার মুরশিদকে সম্পাদক করে গঠিত। দ্বিতীয় কমিটি হয় কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে সংস্কৃতিসেবীদের যুক্ততায়। আর তৃতীয়টি হয়েছিল প্রেসক্লাবকে কেন্দ্র করে। পরে এই তিনটি কমিটিই একযোগে সংঘবদ্ধ হয়ে কর্মসূচি পালন করেছিল ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে। বাধা এসেছিল সামরিক সরকার থেকে। চিফ সেক্রেটারি আজিজ আহমেদ সম্মিলিত অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা নেত্রী সুফিয়া কামালকে ডেকে ধমকের সুরে জানতে চেয়েছিলেন, ‘ইয়ে সব কেয়া হো রাহা?’ উত্তরে শান্ত সুরে সুফিয়া কামাল বলেছিলেন, ‘সারা পৃথিবীতে যা হচ্ছে এ-ও তাই।’ সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দেতে সন্​জীদা খাতুন জানাচ্ছেন, শতবার্ষিকী উদ্​যাপন কমিটির সচিব আনোয়ার জাহিদকে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের অজুহাতে ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যা হয়নি। শতভাগ সাফল্যের সঙ্গে উদ্​যাপিত হয়েছিল রবীন্দ্র–শতবার্ষিকী।

আনিসুজ্জামানের রবীন্দ্রনাথ: একালের চোখে থেকে জানা যায়, সেই সময় রবীন্দ্র-শতবার্ষিকীর বিরোধিতায় সোচ্চার ছিল দৈনিক আজাদ। এ সময় পত্রিকাটি নানা কুৎসা ও অভিযোগ রচনা করছিল। অন্যদিকে ইত্তেফাক আর সংবাদ—এই দুই সংবাদপত্র জবাব দিয়েছিল আজাদ-এর অভিযোগগুলোর। শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছিল তারা। আর তখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় মর্যাদাবান সাহিত্যপত্র সিকান্​দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল প্রকাশ করেছিল বিশেষ সংখ্যা।

রবীন্দ্রচর্চায় প্রসিদ্ধ আহমদ রফিক লিখেছেন, ‘ষাটের দশকের পুরো সময়টাতেই রবীন্দ্রনাথ একদিকে বিতর্কিত, অন্যদিকে এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী রাজনীতি-সংস্কৃতির অংশ হয়ে থেকেছেন। এমনকি একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে হয়ে উঠেছেন বাঙালি চেতনার সঙ্গী, ভাবি ভূখণ্ড অর্জনের অন্যতম সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেরণা।’

ঢাকায় রবীন্দ্র-শতবার্ষিকী উদ্​যাপনের এসব ঐতিহাসিক ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনাস্রোতে আমি ছিলাম দর্শকমাত্র। কিন্তু মনের তন্ত্রীতে বেজে উঠেছিল সুর-ছন্দ-আনন্দ-বেদনার তীব্র মোহ, রবীন্দ্রপ্রেম। তাই একবিন্দু দ্বিধা না করে ১৯৬২–তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী হলাম। রবীন্দ্রচর্চা, রবীন্দ্রনাথকে পুরোপুরি জানার আকাঙ্ক্ষাতেই যে বাংলায় পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য।

পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্র-শতবার্ষিকী উদ্​যাপন নিয়ে কিছু কথা তো লেখা হলো। এবার দৃষ্টি দেওয়া যাক পশ্চিম বাংলার রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ উদ্​যাপনে আয়োজিত উৎসবের দিকে। এবারেও বইপত্রই আমাদের মুখ্য অবলম্বন। শ্রী হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ীর কথা বইয়ে জানিয়েছেন, ‘১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ এগিয়ে এল। ঠিক একশত বৎসর পূর্বে ২৫ শে বৈশাখ জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। তাঁর জন্মশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে উৎসবের জন্য দেশের মানুষ উদ্গ্রীব হয়ে উঠল।...দেশ স্বাধীন...কাজেই দেশের মানুষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দেশের সরকারও এগিয়ে এলেন দেশের উচ্ছ্লতম রত্নটির জন্মশতবার্ষিকী উৎসবে তাঁর প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য। উৎসবের অঙ্গ হয়েছিল সমগ্র ঠাকুরবাড়ির সম্পত্তি ক্রয় করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

তখন ক্রমেই আগ্রহ-ঔৎসুক্য সৃষ্টি হয়েছিল ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ জোড়াসাঁকোর যে সূতিকাঘরে রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল, সেটি নিয়ে। ইংরেজি দিনপঞ্জিমতে ওই দিনটি ছিল ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মে। ২৫ বৈশাখ এখন যুক্ত হয় ৮ বা ৯ মের সঙ্গে। তো, এই সূতিকাঘর বা আঁতুড়ঘরটি জোড়াসাঁকোর বাড়িটির নতুন অবস্থানে রাখা যায়নি। এটি রবীন্দ্র-গবেষকদের মর্মপীড়া দিয়েছে বৈকি।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবিঠাকুরের জন্মদিন উদ্​যাপনের স্মৃতি প্রসঙ্গে কবির বোনঝি সরলাদেবী চৌধুরানী জীবনের ঝরাপাতা বইয়ে লিখেছেন, ‘মেজমামী (সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী) বিলেত থেকে ফিরে আসার পর থেকে “জন্মদিন” বলে একটা ব্যাপারের সঙ্গে পরিচয় হল আমাদের।...তার আগে এ পরিবারে “জন্মদিন” কেউ কারো জন্যে করেনি।...রবি মামার প্রথম জন্মদিন উৎসব আমি করাই। তখন মেজমামা ও নতুন মামার সঙ্গে তিনি ৪৯ নং পার্ক স্ট্রিটে থাকেন। অতি ভোরে...তাঁর ঘরে তাঁর বিছানার কাছে গিয়ে বকুল ফুলের নিজের হাতে গাঁথা মালা ও...বেলফুলের মালার সঙ্গে অন্যান্য ফুল ও একজোড়া ধূতি-চাদর তাঁর পায়ের কাছে রেখে প্রণাম করে তাঁকে জাগিয়ে দিলুম।’

পঁচিশ বৈশাখ রবিঠাকুরের জন্মদিন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি এবং শান্তিনিকেতনে পালিত হওয়ায় তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে প্রশান্তকুমার পাল রচিত রবিজীবনী এবং প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত রবীন্দ্র জীবনীর প্রতিটি খণ্ডে। লেখার এ পর্যায়ে উল্লেখ করতে চাই চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ আনন্দবাজার পত্রিকা ১৩ মার্চ ১৯২২-২১ মার্চ ১৯৩২ শিরোনামের বইটির কিছু তথ্যাদি:

১৯২৪ সালে চীনে রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসব হয়েছিল (আষাঢ় ১৩৩১)। সেখানে ক্রিসেন্ট মুন সোসাইটির পক্ষ থেকে চিত্রা নাটকের আয়োজন করে কবিগুরুকে ‘চুচেন-টান’ নামে অভিহিত করেন চৈনিক লিয়াঙ চি-চাও। বিস্ময়কর তথ্য হলো, এ সময় চৈনিক শিশুরূপে রবীন্দ্রনাথের জন্ম ঘোষণা হয়েছিল।

শান্তিনিকেতনে ১৯২৫-এর ১৩ মে রবীন্দ্রনাথের ৬৫তম জন্মোৎসব হয়েছিল। পরেও অনেকবার পালিত হয়। আর ১৯২৭ সালের ১৬ জুন টোকিওতে পালিত হয় তাঁর ৬৬তম জন্মদিন। এভাবে পরবর্তীকালেও জন্মদিন পালিত হয়।

তাঁর ৭০তম জন্মতিথি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রায় সব জন্মোৎসবেই বলেছেন, ‘বাণীতে আমার বিশ্বাস নেই’; ‘আবেগ নহে কাজ চাই’; ‘আমি কবি আর কিছু নয়’—এমন নানা কথা। উপরন্তু বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নেত্রকোনা ও বরিশালেও কবির ৭০তম জন্মদিন পালিত হয়।

রবীন্দ্র–জন্মোৎসবকে ঘিরে যত তথ্যের সমাহার উপরোক্ত বইয়ে আছে, তার পুরোটা এ ছোট্ট লেখায় দেওয়া সম্ভব নয়। শেষে তাই বলতে চাই, বাঙালি জীবন এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে সংস্কৃতি সাধনার যে সংগ্রাম আমাদের শুরু হয়েছিল, সেখানে যেমন, একইভাবে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামেও রবীন্দ্রনাথ আমাদের পথদ্রষ্টা। ‘আমার েসানার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’— তাঁর গানটিকেই আমরা গ্রহণ করেছি আমাদের জাতীয় সংগীত িহসেবে। তাই তো প্রত্যেক বছর পঁচিশে বৈশাখ আমাদের ‘চির নূতন’ হয়ে ওঠার ডাক দেয়। এবারও দিয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদন করি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জয়ন্তীতে।