অবকাঠামো উন্নয়নের পূর্বশর্ত
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, অবকাঠামো যেকোনো দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত। অবকাঠামোর উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশ বিশ্বায়নের পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। দেশে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে অর্থায়ন শীর্ষক ওই গোলটেবিলের আয়োজন করে প্রথম আলো ও কীস্টোন বিজনেস সাপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড।
গোলটেবিলে ভৌত অবকাঠামোর নানা দিক উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশে ভৌত অবকাঠামো খাতে আয় ব্যয়ের উৎস তুলে ধরেন।
ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুইনুদ্দিন মোনেম বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতার সামর্থ্য আছে।
গ্লোবাল ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ কান্ট্রি হেড নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে অর্থায়নের একটি ফ্রেম ওয়ার্ক দরকার।
দ্য সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, পরের পাঁচ থেকে সাত বছরে অবকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশি ও বিদেশি উভয় প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ বলেন, দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বেশি বেশি করে করতে হবে। দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে খরচ বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে এমনটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক দেশের চেয়ে ইতিবাচক বিনিয়োগের পরিবেশ আছে। গত ১০ বছরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
পিপিপি অফিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন বলেন, প্রথাগত অবস্থা বদলাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কীভাবে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো যায়, সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
গোলটেবিলে আবদুল মোনেম লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইনুদ্দিন মোনেম, ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ মালিক বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।