প্রান্তিক কৃষকের ব্যাংক কৃষিঋণ সম্প্রসারণ

>

৭ ডিসেম্বর ২০১৭, প্রথম আলোর আয়োজনে ‘প্রান্তিক কৃষকের ব্যাংক কৃষিঋণ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো।

সহযোগিতায়:

* কৃষকদের মাঝে সহজে ও দ্রুততর উপায়ে কৃষিঋণ–সুবিধা পেঁৗছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে

*  প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আর্থিক শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা প্রয়োজন

*  কৃষিঋণের অর্থ লেনদেনের জন্য প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে

*  ভূমিহীন কৃষকদের জামানত ছা্ড়া কৃষিঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সম্প্রসারণ করতে হবে

*  দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রা‌ন্তিক কৃষকের কৃষিঋণ–সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি

আলোচনা

আব্দুল কাইয়ুম: যুগ যুগ ধরে দেখে এসেছি প্রান্তিক কৃষকদের জমি চাষ করার জন্য সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ কিনতে নগদ টাকা থাকে না। তখন তাঁরা মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হন।

সরকার দেশের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য কৃষিঋণ প্রদানের অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে প্রান্তিক কৃষকদের কৃষিঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।

প্রান্তিক কৃষক কৃষিঋণ সহজে ও সময়মতো কীভাবে পেতে পারেন এবং এর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের আলোচনা। এখন এ িবষয়ে আলোচনা শুরু করবেন শামসুল আলম।

শামসুল আলম
শামসুল আলম

শামসুল আলম: বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫৮ শতাংশ কৃষক ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে বিবেচিত হন। এঁদের জমির পরিমাণ ১ হেক্টরের কম।

আমাদের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কৃষি খামারগুলোর আকারও বড় হওয়ার কথা। িকন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। কৃষি খামারগুলো আরও ছোট হয়েছে।

ক্ষুদ্র কৃষির অনেক সমস্যা থাকলেও এর মূল সমস্যা হলো পুঁজির সংকট। ছোট আকারের কৃষক বা কৃষি খামারের মালিকেরা প্রতিবছর চাষাবাদের জন্য এবং চাষাবাদের আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট পুঁজি জোগাড় করতে পারেন না।

আর তাঁদের পুঁজির জোগান নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের যেসব অর্থনৈতিক উদ্যোগ রয়েছে, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

এখানে সমস্যার জায়গাটি কৃষকদের ঋণ প্রদান নয়, সমস্যা আসলে এই ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া। একজন কৃষকের কাছে ঋণের অর্থ সময়মতো ও সার্থকভাবে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জটিল একটি কাজ।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ: কৃষি, কৃষক এবং কৃষি শ্রমিক একে অন্যের সঙ্গে মিলিত ও নির্ভরশীল। একটিকে বাদ রেখে অন্যটির উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের কৃষির উন্নয়ন করতে হলে কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের সমস্যার দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

কৃষক ও কৃষি শ্রমিকেরাই আমাদের কৃষি খাতের চালিকাশক্তি। দেশের কৃষকদের একটি বড় সমস্যা হলো, ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে না পারার কারণে কম মূল্যে ফসল বিক্রি করে দিতে হয়। এতে তাঁরা প্রতিবছর বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েন।

ফসল তোলার সময়টাতে এই কৃষকদের ফসল সংরক্ষণের জন্য সহজ শর্তে স্বল্প সুদে স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করলে তাঁরা উপকৃত হবেন।

এতে তাঁরা ফসল সংরক্ষণের খরচ বহন করতে সক্ষম হবেন এবং পরবর্তীকালে দাম বাড়লে সংরক্ষিত ফসল বিক্রি করে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন।

আমাদের কৃষকদের অবস্থার উন্নতি করতে হলে অবশ্যই তাঁদের সংগঠিত করতে হবে। কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করে দিতে পারলে তাঁরা সমন্বিতভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

বিদ্যুৎ মহলদার
বিদ্যুৎ মহলদার

বিদ্যুৎ মহলদার: আমাদের দেশের প্রান্তিক কৃষকদের হাতে সময়মতো ঋণের টাকা না পৌঁছানোর কারণে তাঁরা সার, অন্যান্য কৃষি উপকরণ কিনতে পারেন না। আবার পর্যাপ্ত জামানতের অভাবে অনেক সময় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণও করতে পারেন না।

এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা চেয়েছিলাম ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকগুলোকে একত্র করে সহজ উপায়ে কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছে দিতে। ব্যাংক এশিয়ার ‘এ-কার্ড’ আমাদের সেই প্রচেষ্টার ফসল।

এই প্রকল্পে সহায়তা করার মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়া অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষককে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি।

আর প্রথমবারের মতো, বাংলাদেশের নারী কৃষকেরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করতে পারছেন।

এই ঋণের টাকা যেন কৃষকেরা সময়মতো পরিশোধ করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে এ প্রকল্পে সঞ্চয় করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে, তাঁদের মাঝে সঞ্চয়ের একটি মনোভাব গড়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।

কৃষির জন্য প্রদত্ত ঋণের টাকা যেন কৃষিকাজেই ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ব্যবস্থায়।

আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দেখেছি, এ প্রকল্পের আওতায় প্রদত্ত ঋণের পরিশোধের হার শতভাগ, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য রেকর্ড।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি যে আমাদের কৃষক যদি সাহসী হন এবং আমরা যদি তাঁদের সামান্য সহায়তা প্রদান করি, তাহলে তাঁদের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব। ব্যাংক এশিয়ার ‘এ-কার্ড’–এর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ তারই একটি প্রমাণ।

খালেদা বেগম
খালেদা বেগম

খালেদা বেগম: আমি একজন কৃষক। এই কার্ড পাওয়ার আগে আমরা বিভিন্ন রকমের সমস্যার মুখোমুখি হতাম। আমরা যারা গরিব বা মধ্যবিত্ত কৃষক রয়েছি, তাদের হাতে অনেক সময় নগদ অর্থ থাকে না। ফলে আমরা সময়মতো বিভিন্ন কৃষি উপকরণ কিনতে পারি না।

‘এ-কার্ডের’ মাধ্যমে আমরা কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারছি। আর এই ব্যবস্থায় ঋণের টাকা আগে থেকে আমার কার্ডে জমা থাকছে। যেকোনো সময় এই কার্ড ব্যবহার করে প্রয়োজন অনুসারে কৃষি উপকরণ কিনতে পারছি। ফলে, ঋণের টাকা অন্য কোনো কাজে খরচ করে ফেলার কোনো সুযোগ নেই এখানে।

সহজে ঋণ পাওয়ার ফলে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে মাঠের পরিচর্যা করতে পারছি। ফলে আমাদের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমি দ্বিতীয়বারের মতো এই কার্ডের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেছি এবং দুবারই সফলভাবে সময়মতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পেরেছি।

এই ঋণ কাজে লাগিয়ে আমার অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। আমি আমার উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করে বাড়তি টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি।

এই কার্ড আমার নিজের নামে হওয়ার কারণে ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধের কাজটি আমি করি। আমার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রি ও কৃষক।

ঋণ গ্রহণ এবং তা পরিশোধসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত আমরা দুজন আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণ করি।

মো. শাহজাহান
মো. শাহজাহান

মো. শাহজাহান: আমি মনে করি, ‘এ-কার্ড’ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের জন্য একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষকের পাশাপাশি আমরা যারা কৃষি উপকরণ বিক্রেতা রয়েছি, তারাও উপকৃত হচ্ছি। কৃষকের পাশাপাশি আমাদের উন্নয়নেও এই ব্যবস্থা ভূমিকা পালন করছে।

আগে আমরা কৃষকদের কৃষি উপকরণ বাকিতে দিলে সে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য পরবর্তী ফসল উৎপাদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। ফলে দেখা যেত যে আমাদের পুঁজি অনেক দিনের জন্য আটকে যেত।

এ ছাড়া ফসল ভালো না হলে অনেক কৃষক আর টাকা পরিশোধ করতে পারতেন না। ফলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতাম। এসব বিষয় বিবেচনা করে অনেক সময় আমরা কৃষকদের কৃষি উপকরণ বাকিতে দিতে চাইতাম না।

কিন্তু ‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থার মাধ্যমে আমি কৃষককে কৃষি উপকরণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর কার্ড থেকে টাকা পেয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি প্রকল্প থেকে আমরা ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছি। ফলে আমাকে আর বাকিতে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে না। এতে আমার ক্ষতির ঝুঁকিও কমে যাচ্ছে।

এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যেহেতু কৃষকের কার্ড থেকে পণ্যের দাম সরাসরি আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করছে, ফলে আমার নগদ টাকা বহনের ঝামেলা ও ঝুঁকি কমে গেছে। আর আমি এই ব্যবস্থা শুরু করার পর থেকে আমার দোকানের বিক্রির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে।

এই ব্যবস্থা শুরু করার আগে আমি আহ্ছানিয়া মিশনের একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিই। সেখানে আমাদের এনএফসি প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান আমি আমার ব্যবসার উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারছি।

তানিয়া শারমিন
তানিয়া শারমিন

তানিয়া শারমিন: আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একটি বিষয় লক্ষ করেছি, তাঁরা জানেন কীভাবে উন্নত বীজ ও সার ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু সেগুলো কেনার মতো অর্থ তাঁদের হাতে নেই। ফলে তাঁরা এসব ব্যবহার করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই ‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করি।

বর্তমানে কৃষকদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে, কিন্তু এই খবরগুলো প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছায় না।

তাঁরা জানেন না কার কাছে গিয়ে এবং কীভাবে এই সহায়তাগুলো গ্রহণ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সে পরিমাণে জনবল নেই যে তাঁরা এই সেবাগুলো প্রান্তিক কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন।

আবার, এসব কৃষককে শুধু অর্থনৈতিক শিক্ষা প্রদান করলেই হবে না। কারণ, তাঁরা জানেন না যে একটি ব্যাংকে গিয়ে কার সঙ্গে কথা বলবেন বা কীভাবে কথা বলবেন। কীভাবে একটি ব্যাংকের ফরম পূরণ করবেন। এই বিষয়গুলো তাঁদের জানাতে হবে।

প্রান্তিক কৃষকদের জন্য সেবাগুলো গ্রহণ করার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে তুলতে হবে। তা না হলে যাঁদের জন্য এই সুবিধাগুলো চালু করা হচ্ছে, তাঁরাই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছেন।

কাজী আশরাফুল হোসেন
কাজী আশরাফুল হোসেন

কাজী আশরাফুল হোসেন: প্রান্তিক কৃষকদের কৃষিঋণ প্রদান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। আমাদের ছয় মাস মেয়াদি এবং সাপ্তাহিক—এই দুই ধরনের ঋণসেবা চালু ছিল।

এই কাজ করার সময় আমরা লক্ষ করেছিলাম, আমরা আমাদের ঋণসেবা নিয়ে খুব বেশিসংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছাতে পারতাম না এবং আমাদের প্রদত্ত ঋণ কৃষকদের তেমন কোনো কাজে আসত না।

ইউএসএআইডি অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি প্রজেক্ট  আমাদের কাছে ‘এ-কার্ড’ প্রকল্পটি নিয়ে আসে। তারা জানায় যে তারা কৃষকদের মাঝে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষিঋণ প্রদানের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চায়। এই প্রকল্পে তারা আমাদের সহায়তা চায়।

যেহেতু সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) আগে থেকেই প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রদানের কাজ করে আসছে, সেহেতু আমরা তাদের প্রকল্পে যুক্ত হলাম। পরে ব্যাংক এশিয়া এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার ফলে প্রকল্পের পরিধি আরও বৃদ্ধি পেল।

প্রকল্প শুরু করার পরে আমরা দেখলাম, প্রকল্পটির মাধ্যমে আসলেই প্রান্তিক কৃষক এবং পাশাপাশি কৃষি উপকরণ বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন।

এ ছাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন একটি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছেন এবং ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছেন।

ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে এই কার্যক্রমকে প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে যদি আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে খরচ হয়, সেটি নির্বাহ করার জন্য ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে যে মুনাফা হয়, তার একটি অংশ আমাদের প্রদান করা হতো, তাহলে তা আমাদের জন্য সহায়ক হতো।

মোহাম্মদ সৈয়দ শিবলি
মোহাম্মদ সৈয়দ শিবলি

মোহাম্মদ সৈয়দ শিবলি: বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণে এই প্রকল্প ইউএসএআইডির একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প। প্রকল্পটি পাঁচ বছর আগে আহ্ছানিয়া মিশনকে প্রদান করেছিল ইউএসএআইডি।

দাতা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমি অসংখ্যবার মাঠে গিয়েছি। সেখানে প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি।

অনেক কৃষক বলেছেন, এ-কার্ডের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করার ফলে তাঁদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হলো, যখন কৃষক জমিতে ফসল লাগান, তখন ফসলের পরিচর্যা ও যত্নের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়।

কৃষক যখন টাকার অভাবে জমিতে সময়মতো সার দিতে পারেন না, প্রয়োজনমতো সেচ দিতে পারেন না, তখন ফসলের উৎপাদন কম হবে, এটাই স্বাভাবিক।

ব্যাংক এশিয়াকে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য সাধুবাদ জানাই। আশা করি দাতা সংস্থার প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও ব্যাংক এশিয়া এবং অন্যান্য পক্ষ মিলে এই কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।

এম এহসানুর রহমান
এম এহসানুর রহমান

এম এহসানুর রহমান: আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়েছি। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে সহজ শর্তে, সহজ পদ্ধতিতে প্রয়োজনমতো ঋণের টাকা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য।

এই প্রক্রিয়ায় আমরা কয়েকটি পক্ষকে নিয়ে কাজ করেছি। একটি পক্ষ হলো বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক এশিয়া, আরেকটি পক্ষ হলো স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসডিসি এবং স্থানীয় পর্যায়ের কৃষিপণ্য সরবরাহকারী ব্যবসায়ী।

আমরা চেয়েছি কৃষকের কাছে ঋণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পক্ষগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন করতে। আমাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফরিদপুর, খুলনা ও ভোলা জেলায় ৩ হাজারের বেশি কৃষককে ঋণসুবিধা প্রদান করেছি এবং আমাদের হিসাবমতে ২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হবে।

যদিও সারা দেশের কৃষকদের কথা চিন্তা করলে সংখ্যাটি খুব বেশি নয়। তবে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই প্রকল্পের সম্ভাবনা অনেক।

আমরা এই প্রকল্পে কাজ করার সময় তিনটি বড় সমস্যা চিহ্নিত করেছি। প্রথমত, আমরা আমাদের ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। কিন্তু, আমাকে অনেক কৃষক বলেছেন, এই ঋণসীমা আরও বাড়ানো উচিত। এই ঋণসীমা বাড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, বর্তমানে এই কার্ডের মাধ্যমে শুধু কৃষিপণ্য ও উপকরণ কিনতে পারেন কৃষকেরা। কিন্তু কৃষি উপকরণ ছাড়াও তাঁদের শ্রমিকদের মজুরি, পরিবহন খরচ, সেচ খরচসহ অন্য অনেক খরচ করতে হয়। তাই এসব ব্যয়কে এই কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।

তৃতীয়ত, আমরা এই কার্ডের মাধ্যমে সহজে এবং দ্রুত ঋণের টাকা কৃষকের হাতে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। কিন্তু এখনো ব্যাংকিং এবং ছোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম ও নীতিমালার কারণে কিছুটা ঝামেলা রয়ে গেছে এই প্রক্রিয়ায়। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন।

আনোয়ারুল হক
আনোয়ারুল হক

আনোয়ারুল হক: বাংলাদেশের কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা জানি, দেশের ৯৮ শতাংশ কৃষকই দরিদ্র। তঁাদের জমির পরিমাণ কম। আর্থিক অবস্থা ভালো না।

নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের সক্ষমতা সীমিত। একদিকে তঁারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, অন্যদিকে প্রযুক্তি ব্যবহারে জ্ঞান অপ্রতুল। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে সময়মতো তঁাদের কাছে কৃষিঋণ পৌঁছে দেওয়া দরকার।

এ-কার্ড ব্যবহারের মধ্যমে আমরা এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারি। কেয়ার বাংলাদেশের মাধ্যমে এ-কার্ড প্রচলনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এ-কার্ড সময়মতো কৃষকদের মাঝে ঋণসুবিধা পৌঁছে দিতে পারছে। এ-কার্ডের মাধ্যমে কৃষক প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে উঠছেন।

আনুষ্ঠানিক ব্যাংক ও কৃষকদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

আমরা আশা করি, এ-কার্ডের ব্যবহারে বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন এ পদ্ধতির ব্যাপক ব্যবহারে এগিয়ে আসবে।

এ-কার্ড হবে কৃষকদের সহজ ও দ্রুত সময়ে ঋণপ্রাপ্তির উপায়। মেয়াদ শেষে কৃষকদের ঋণ শোধ করতে হয়। সুতরাং কৃষকেরা যেন সময়মতো ঋণ শোধ করতে পারেন সে সুযোগ তঁাদের তৈরি করে দিতে হবে।

অর্থাৎ তঁাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যপ্রাপ্তির ব্যবস্থাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

মো. আরফান আলী
মো. আরফান আলী

মো. আরফান আলী: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে আমরা অনেক আগে থেকেই কৃষিঋণ প্রদান করে আসছিলাম। কিন্তু এই ঋণের বেশির ভাগই আমরা কোনো না কোনো এনজিওর মাধ্যমে প্রদান করতাম আর খুব অল্প পরিমাণ ঋণ সরাসরি কৃষককে প্রদান করতাম।

জনাব বিদ্যুৎ মহলদার ‘এ-কার্ড’ মডেল নিয়ে কাজ করেছেন। এই মডেলের মাধ্যমে ব্যাংক সরাসরি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের ঋণ প্রদান করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের এনজিও এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এই যুগোপযোগী মডেলের কারণেই এখন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা সরাসরি আমাদের কাছ থেকে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারছেন।

‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থা শুরু করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথমবারের মতো এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করতে পেরেছি।

এই প্রযুক্তিতে একজন গ্রাহক তাঁর স্মার্টফোনের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। এর জন্য কোনো রকমের কার্ড বা পস (পয়েন্ট অব সেল) মেশিনের প্রয়োজন হবে না।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা দেশের প্রতিটি গ্রামে এজেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।

এ ছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। এ ক্ষেত্রে ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা গ্রাহকের ছবি ও আঙুলের ছাপ গ্রহণ করেছি। ফলে তাঁকে সশরীরে ব্যাংকে আসতে হয়নি।

আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আমরা কাজ করতে পারব আশা করি।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ: আমাদের অর্থনীতিতে কৃষির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। আর বর্তমানে কৃষির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

কৃষকদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাদের ‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থা উদ্ভাবনী একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কৃষকদের হাতে অর্থ পৌঁছাচ্ছে।

এই অর্থায়নের পাশাপাশি তাঁরা যেন এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আর অবশ্যই কৃষিজাত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতের দিকে নজর দিতে হবে। উৎপাদিত পণ্য বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে না পারলে তাঁরা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। ফলে তাঁরা এই ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবেন।

পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন থেকে বর্তমানে বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে প্রদান করছি। এই ঋণ কর্মসূচিকে ক্ষুদ্রঋণ বলছি না। এটিকে বলছি উপযুক্ত ঋণ।

কারণ, আমরা প্রত্যেকের চাহিদামতো ঋণ প্রদান করছি। যঁার যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তঁাকে সেই পরিমাণ অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করে থাকি।

আপনাদের এই প্রকল্পের অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে ভালো করার। সে জন্য অবশ্যই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও এই কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে হবে।

এ জন্য পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস আমি দিচ্ছি।

গওহার নঈম ওয়ারা
গওহার নঈম ওয়ারা

গওহার নঈম ওয়ারা: ‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থাটি নিঃসন্দেহে কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত উদ্ভাবনী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ।

তবে এটির কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি বিষয়ের প্রতি আমাদের গুরুত্বসহ নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এখানে যেহেতু কৃষকেরা কোন ডিলারের কাছ থেকে কৃষি উপকরণ কিনবেন সেটি নির্ধারিত থাকে, সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা তাঁদের কাছে কোনোভাবেই যেন জিম্মি হয়ে না যান, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

আবার, একই কারণে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার বিষয়েও একটি ফাঁক রয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এখানে রয়ে যাচ্ছে কি না, সেটি নিয়ে ভাবা দরকার।

বলা আছে, কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জমি অথবা দুটি গাভি অথবা একটি বলদ আছে এমন কৃষকদের ঋণ প্রদান করা হবে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ কৃষকই অন্যের জমি চাষ করেন।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁর হয়তো বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই, আর সেই বসতভিটাও ৫০ শতাংশের কম জায়গায়। ফলে এমন কৃষকের কথাও ঋণ প্রদানের সময় মাথায় রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।

শামসুল আলম: আপনাদের এই প্রকল্পের আওতায় যে ‘এ-কার্ড’–ব্যবস্থাটি তৈরি করা হয়েছে, সেটি নিঃসন্দেহে দেশের কৃষি খাতে এবং ব্যাংকিং খাতে একটি নতুন উদ্ভাবন এবং এই উদ্যোগের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঋণ প্রদান এবং তা আদায়ের ক্ষেত্রে খরচ অনেক কমে যায়। ফলে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা বলয় কর্মসূচির আওতায় যে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর বিতরণ করা হয়, সেখানে এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করতে পারি।

এটি নিয়ে সরকারের ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা রয়েছে, যাকে আমরা জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) বলে থাকি।

আরেকটি বিষয় হলো, যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থের আদান-প্রদান হচ্ছে, সেহেতু এখানে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি একদিকে যেমন কাজকে সহজ ও দ্রুত করে দেয়, ঠিক একইভাবে এর সঙ্গে নতুন কিছু নিরাপত্তাঝুঁকিও সামনে চলে আসে।

ফলে, যাঁরা এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন, তাঁদের এর নিরাপত্তা বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পরিষ্কার ধারণা প্রদান করা উচিত বলে আমি মনে করি।

আব্দুল কাইয়ুম: কৃষকের কাছে কৃষিঋণ সহজে ও সময়মতো পৌঁছে প্রয়োজন। এ জন্য একটি নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনী মডেল তৈরি করা হয়েছে।

এটি আমাদের দেশের প্রান্তিক কৃষকদের অবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগবে বলে আশা করি। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং–সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যাবে।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

যাঁরা অংশ নিলেন

শামসুল আলম                  :  সদস্য (সিনিয়র সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ  :  চেয়ারম্যান, পিকেএসএফ

মো. আরফান আলী           :  প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ব্যাংক এশিয়া

আনোয়ারুল হক               :  ডিরেক্টর, ইআরপিপি, কেয়ার বাংলাদেশ

মোহাম্মদ সৈয়দ শিবলি       :  প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, ইউএসএআইডি

এম এহসানুর রহমান          :  নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

বিদ্যুৎ মহলদার                 :  িচফ অব পার্টি, অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি প্রজেক্ট, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

গওহার নঈম ওয়ারা           :  শিক্ষক, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কাজী আশরাফুল হোসেন    :  নির্বাহী পরিচালক, সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি), ফরিদপুর

তানিয়া শারমিন                :  ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কো–অর্ডিনেটর, অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন সাপোর্ট       

                            অ্যাক্টিভিটি প্রজেক্ট, কেয়ার বাংলাদেশ

মো. শাহজাহান                :  কৃষিঋণ কার্ড ব্যবহারের সুবিধা প্রদানকারী স্থানীয় খুচরা বিক্রেতা

খালেদা বেগম                   :  কৃষিঋণ কার্ড ব্যবহারকারী কৃষক

সঞ্চালক

আব্দুল কাইয়ুম               :  সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো