নিকারাগুয়ার গণজাগরণে পরিবর্তনের আভাস

জনগণকে উপেক্ষা করেছিলেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা, তাই গণবিক্ষোভে ফুঁসছে নিকারাগুয়া। রয়টার্স
জনগণকে উপেক্ষা করেছিলেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা, তাই গণবিক্ষোভে ফুঁসছে নিকারাগুয়া। রয়টার্স


নিকারাগুয়া উত্তাল হয়ে উঠেছে। এক আচমকা ঝড়ে দুলে উঠেছে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সর্বশেষ বামপন্থী দুর্গের অধিপতি ডেনিয়েল ওর্তেগার মসনদ। যদিও একসময়ের এই বামপন্থী নেতার সাম্প্রতিক কার্যাবলি ঠিক তাঁর আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নিকারাগুয়ায় ওর্তেগাবিরোধী আন্দোলনের পুরো প্রেক্ষাপট প্রস্তুত হয়েই ছিল। প্রয়োজন ছিল শুধু একটি স্ফুলিঙ্গের।

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতাধীন অবসর ভাতা ৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই স্ফুলিঙ্গের সূত্রটি ধরা ছিল ওর্তেগার নিজের হাতেই।

নিকারাগুয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, প্রতিদিনই আরও উত্তুঙ্গ হয়ে উঠছে নিকারাগুয়া। আর একটু একটু করে ডেনিয়েল ওর্তেগা ও তাঁর পরিবারের ক্ষমতায় থাকা-না থাকার প্রশ্নটি জোর পাচ্ছে। প্রতিদিনই ‘ওর্তেগার অপসারণ চাই’ স্লোগানে কণ্ঠ মেলানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই স্লোগান এতটাই জোরালো যে বিক্ষুব্ধ অংশগুলোকে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছেন ডেনিয়েল ওর্তেগা, যিনি স্নায়ুযুদ্ধের সময় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সাহসী মোকাবিলার জন্য বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন। কিন্তু মৈত্রীর হাত বাড়িয়ে কেউ নেই এখন। সমর্থন থাকলেও আগের শাভেজ যুগের মতো ভেনেজুয়েলার বর্তমান মাদুরো সরকারের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা করা আর সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ভেনেজুয়েলা নিজেই টলটলায়মান। আর কিউবাতে মাত্রই অবসান হলো কাস্ত্রো যুগের। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ওর্তেগার সম্ভাব্য শুভাকাঙ্ক্ষী প্রায় প্রতিটি সরকারই ক্রমবর্ধমান অজনপ্রিয়তায় ভুগছে। ফলে ওর্তেগা ও তাঁর স্যান্ডিনিস্তা আন্দোলন এখন আক্ষরিক অর্থেই বিদায়ের ক্ষণ গুনতে শুরু করেছে।

যেভাবে শুরু
নিকারাগুয়াজুড়ে এই বিক্ষোভের শুরু একটি ঘোষণা থেকে। গত ১৬ এপ্রিল দেশটির প্রেসিডেন্ট ডেনিয়েল ওর্তেগা অবসরোত্তর ভাতা ও এর তহবিল পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শ মেনে দেওয়া এই ঘোষণায় পেনশন তহবিলে ব্যক্তির অংশ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতার পরিমাণ কমানো হয়। এই পেনশন নিয়েও আবার কথা আছে। নিকারাগুয়ার পেনশন তহবিলের একাংশ বিনিয়োগ করা হয় ওর্তেগা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে, যা আগামী আগস্টেই দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই অবস্থায় ছোট পরিসরে পরিবেশ আন্দোলনে ব্যস্ত থাকা শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠে। শুরু হয় বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু সরকারি বাহিনী ও সরকারদলীয় সংগঠনের কর্মীদের হামলা এই বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হয় সশস্ত্র হামলা। শতাধিক মানুষ এক রাতেই আহত হয়। নিহত হয় অন্তত ৩৪ জন। ফেসবুক লাইভ করতে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন একজন সাংবাদিকও।

স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে ইকোনমিস্ট বলছে, মৃত ব্যক্তির সংখ্যা এর চেয়ে বেশিও হতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ, খুব দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রাশ টেনে ধরে নিকারাগুয়া সরকার। বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ও টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে বিক্ষোভের রাশ টেনে ধরা যায়নি; বরং এর গতি বেড়েছে।

বিক্ষোভের শুরুতে এর বিস্তৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারেননি ওর্তেগা। ২১ এপ্রিল তিনি এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও খুবই অল্প কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দেন। এই মন্তব্য বিক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢালে। এর পরদিনই অবশ্য তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে পেনশন-সম্পর্কিত পূর্ববর্তী ঘোষণা প্রত্যাহার করেন। কিন্তু ততক্ষণে জল অনেক গড়িয়ে গেছে। জনতার দাবি আর পেনশনে থেমে নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিক্ষোভে হওয়া হামলার পূর্ণ তদন্তসহ বহু দাবি। ৪ মে এসব দাবিও মেনে নিয়ে জাতীয় সংলাপের আহ্বান করেন ওর্তেগা। কিন্তু তাও শান্ত হচ্ছে না নিকারাগুয়া। এই মুহূর্তে নিকারাগুয়ায় চারটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষে ওর্তেগা সরকার। অন্য তিনটি পক্ষে রয়েছে জনতা, ব্যবসায়ী ও গির্জা। এই জনতার মধ্যে আবার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ। এর একটি অংশে রয়েছে নারীরা। অন্য অংশে কৃষক ও শিক্ষার্থীরা। আর এই পুরো বিরোধী শক্তিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আরও ভালো করে বললে বলতে হবে, নিকারাগুয়া পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা। তারাই এখন নিকারাগুয়ার প্রধান বিরোধী দল বলে মন্তব্য করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।

ওর্তেগার উত্থান ও বিবর্তন
অস্থিতিশীল মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে শান্ত ও স্থিতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত নিকারাগুয়ার এই অস্থিরতা অনেকগুলো কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার পালাবদলের অভিজ্ঞতা রয়েছে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ডেনিয়েল ওর্তেগার। ১৯৭০-এর দশকের শেষে আমেরিকার সমর্থনপুষ্ট একনায়ক সোমোজা সরকারের পতন ঘটিয়েই তাঁর ক্ষমতায় আরোহণ। পরবর্তী এক দশক তিনি এই মার্কিন মদদপুষ্ট অস্থিরতা মোকাবিলা করেই ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। অবশ্য ১৯৯০ সালে নির্বাচনে তিনি হেরে যান। ফিরতে সময় লাগে ১৬ বছর। কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে যে ওর্তেগা ক্ষমতায় ফিরলেন, তিনি যেন অন্য মানুষ। বিপ্লবের সময়ের ওর্তেগার সঙ্গে তাঁর মিল খুব কম। ওর্তেগা ও তাঁর সরকারের হাত ধরে নিকারাগুয়াও যেন এক বদলের মধ্য দিয়ে গেল পরের এক দশক ধরে।

বিক্ষোভকারীরাও হয়ে উঠেছে সশস্ত্র। রয়টার্স
বিক্ষোভকারীরাও হয়ে উঠেছে সশস্ত্র। রয়টার্স

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ওর্তেগা সমঝোতা করলেন ব্যবসায়ী ও রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে। গির্জা ও আমেরিকার সঙ্গে হওয়া সমঝোতার মধ্য দিয়ে একসময়ের বামপন্থী ওর্তেগা রূপান্তরিত হলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানে। নানা প্রক্রিয়ায় পুরোনো শত্রুদের কাছে টেনে নিলেন, দূরে ঠেলে দিলেন পুরোনো মিত্রদের অনেককেই। বিরোধীদের দমন করতে শুরু করলেন। দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকা যাবে না—এমন ধারা সংবিধান থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করলেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞাটি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দিলেও এই আদেশ যে ওর্তেগার দপ্তর থেকে এসেছিল, তা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে যায়। টানা তিনটি নির্বাচনে জয়ী হলেও অন্তত দুটি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে।

ব্যবসায়ী মহলকে সন্তুষ্ট করতে নিকারাগুয়ার সামষ্টিক অর্থনীতির ধারা বদলে দিলেন। বিনিময়ে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন, যেন তারা রাজনীতি থেকে দূরে থাকে। বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার অবারিত করে তুষ্ট করলেন আমেরিকাসহ বহিঃশক্তিগুলোকে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ের পর স্ত্রী মুরিল্লোকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতে তুলে দিতে থাকলেন একের পর এক ক্ষমতা। আর এর মাধ্যমে নিকারাগুয়ায় তিনি মোটাদাগে পারিবারিক শাসন পুনঃস্থাপন করলেন, যা উৎখাত করেই তিনি ১৯৭৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওর্তেগার পারিবারিক শাসনের সাক্ষ্য বহন করছে ম্যানাগুয়ার রাস্তায় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের স্তুতিতে ভরা বিলবোর্ডগুলো। এই দুজনের কর্তৃত্বের সাক্ষ্য বহন করছে বেতারযন্ত্রও। প্রতি সকালেই এই বেতারযন্ত্র থেকে ভেসে আসে ফার্স্ট লেডি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিল্লোর কণ্ঠ।

এখানেই শেষ নয়; ওর্তেগা সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। পশ্চিমা অনুদান বন্ধ হওয়ার পর ওর্তেগার সবচেয়ে বড় ভরসার স্থল ছিলেন হুগো শাভেজ। ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৪৫০ কোটি ডলারের জ্বালানি তেল কেনে নিকারাগুয়া। এই অর্থ আবার ঋণ হিসেবে নিকারাগুয়াতেই ফিরে আসে, শাসক দলের মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে। এই অর্থ আবার ওর্তেগার সমর্থক গোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার কোনো আইনি জবাবদিহি নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এসব করেও মোটামুটি স্থিতিশীলভাবেই দেশ পরিচালনা করছিলেন ওর্তেগা। পার্শ্ববর্তী যেকোনো দেশের তুলনায় কম গণতান্ত্রিক হয়েও নিকারাগুয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অপরাধের নিম্নহার ছিল নজরকাড়ার মতো। ফলে ওর্তেগার এই মডেল আশপাশের অনেক দেশ গ্রহণ করতে শুরু করে। উদাহরণ হিসেবে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজের কথা বলা যায়।

কিন্তু এখন চিত্র বদলে গেছে। দৃশ্যপটে নেই ভেনেজুয়েলা। হুগো শাভেজের প্রয়াণের মধ্য দিয়ে নিকারাগুয়ার প্রতি দেশটির সরকারের সহায়তা আগে থেকেই ফিকে হয়ে আসছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভেনেজুয়েলার সাম্প্রতিক অস্থিরতা। ফলে ওর্তেগার সংকটের দিকে তাকানোর কোনো ফুরসত নেই নিকোলাস মাদুরোর।

কী হতে পারে?
বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথাকথিত দ্বিতীয় বিপ্লবের পথে ওর্তেগা ঠিক সেসব গোষ্ঠীর সঙ্গেই হাত মিলিয়েছেন, আশির দশকে যার বিরোধিতা করে জনগণের মন জয় করেছিল স্যান্ডিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এফএসএলএন)। ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্যে দরিদ্রদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয়তা এনে দিলেও দ্বিমুখী নীতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর রাজনীতিকীকরণ ও ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির মাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষকেই খেপিয়ে তুলেছেন ওর্তেগা। এই রূপান্তরের পথে যাদের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন, তারাও এখন আর ওর্তেগার পাশে নেই। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে ক্যাথলিক গির্জার নেতারা। দুই সাবেক সেনাপ্রধান সরাসরি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর স্যান্ডিনিস্তার পুরোনো ব্যবসায়িক মিত্ররা সরাসরি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।

২৩ এপ্রিল ম্যানাগুয়ার রাস্তায় বের হওয়া মিছিল থেকে হাজার হাজার জনতার স্লোগান তাই কোনো আকস্মিকতা নয়। ‘আমরা ভীত নই’ এবং ‘ডেনিয়েল ও সোমোজা একই’—এই স্লোগানগুলো ওর্তেগার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা শাসনেরই সারাংশ। বলা হয়, ২৩ এপ্রিলের এই মিছিল ছিল নিকারাগুয়ার ইতিহাসেই সবচেয়ে বড় মিছিল।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ওর্তেগাবিরোধী পক্ষগুলো আলোচনায় বসতেও রাজি। তবে আলোচনা হতে হবে একটি গণতান্ত্রিক সমাধানের লক্ষ্যে। আর এই সমাধানের পথ একমাত্র ওর্তেগার প্রস্থানের মধ্য দিয়েই হতে পারে। কিন্তু ওর্তেগার সরকার গত এক দশকে বিরোধী দলগুলোকে এমনভাবে দমন করেছে যে সেখানে কোনো বিকল্প নেতৃত্ব আপাতত দৃশ্যপটে নেই। এই ক্ষেত্রে ওর্তেগার পক্ষ থেকে নিকারাগুয়ার ভবিষ্যৎ শাসক হিসেবে নিজের স্ত্রী রোজারিও মুরিল্লোর নাম আসতে পারে। আর তেমনটি হলে অস্থিরতা বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বল এখন ওর্তেগার কোর্টে। তিনিই ঠিক করবেন—পিছু হটবেন, নাকি বাস্তবতা অস্বীকার করে কর্তৃত্ব পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করবেন।

ফজলুল কবির: সাংবাদিক