বাংলার খনা এবং কৃষি উন্নয়নে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

শিল্পীর চোখে ভারতবর্ষে কৃষিভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাসবিদ্যার পথিকৃৎ খনার বচন খ্যাত খনা
শিল্পীর চোখে ভারতবর্ষে কৃষিভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাসবিদ্যার পথিকৃৎ খনার বচন খ্যাত খনা

‘বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও কৃষি উন্নয়নে আবহাওয়ার পূর্বাভাস’ বিষয়টি অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে এই ভেবে যে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সঙ্গে আবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কী সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে এবং একজন আবহাওয়া ও জলবায়ুবিজ্ঞানী হিসেবে আমি গভীর সম্পর্ক দেখতে পাই।

একটু ভেবে দেখুন তো, বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য হচ্ছে বচন, প্রবাদ, ছড়া, জারি ইত্যাদি। এখানে বিশেষভাবে আমি খনার বচনকে উল্লেখ করতে চাই। আজ থেকে শত শত বছর আগে একজন বাঙালি নারী একই সঙ্গে প্রবাদ রচনায়, জ্যোতির্বিদ্যায়, গণিতে ও বিজ্ঞানে, বিশেষ করে কৃষি উন্নয়নে আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে (যেটাকে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানে বলে থাকি) কীভাবে পারদর্শী ছিলেন, তা আমাদের কাছে এখনো রহস্যময়।

কৃষিভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস-পদ্ধতি নিয়ে উন্নত বিশ্বে এখন হইহই-রইরই চলছে অথচ আমরা অনেকেই জানি না যে আমাদের উপমহাদেশে আজ থেকে শত শত বছর আগেও এই কৃষিভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস-পদ্ধতি বিদ্যমান ছিল।

প্রথমেই আসা যাক, এই ঋতুভিত্তিক পূর্বাভাস বা বলতে আমরা কী বুঝি এবং এটা কীভাবে করা হয়ে থাকে। এক কথায় ঋতুভিত্তিক পূর্বাভাসে ঋতু মানে তিন মাসব্যাপী ঋতু, যেমন গ্রীষ্ম মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত। বর্ষা জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত। শরৎ মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত। হেমন্ত মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এল নিনো (বাঁয়ে) ও লা নিনার (ডানে) সময়ে equatorial প্রশান্ত মহাসাগরের NINO ৩.৪ এলাকার সমুদ্রপৃষ্টের তাপমাত্রা। লাল অংশটুকু স্বাভাবিকের চেয়ে গরম ও নীল অংশটুকু স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা দেখায়।
এল নিনো (বাঁয়ে) ও লা নিনার (ডানে) সময়ে equatorial প্রশান্ত মহাসাগরের NINO ৩.৪ এলাকার সমুদ্রপৃষ্টের তাপমাত্রা। লাল অংশটুকু স্বাভাবিকের চেয়ে গরম ও নীল অংশটুকু স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা দেখায়।

এখন আমরা যদি বর্ষাকালে (অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত) অঞ্চলভিত্তিক কোথায় কোথায় কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত বা বন্যা বা ঝড় হতে পারে, তা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ একটা আগাম পূর্বাভাস দিতে পারি, তাহলে কৃষিক্ষেত্রে একটা ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যাবে। কারণ, বৃষ্টির পানি ঠিক সময়ে আসা-না আসার ওপর বাংলাদেশের কৃষি অনেকাংশে নির্ভরশীল। শুধু বাংলাদেশ কেন, বৃষ্টির পানি ঠিকসময়ে আসা-না আসার ওপর পৃথিবীর অনেক দেশই নির্ভরশীল। জলবায়ুবিজ্ঞানীরা এখন ছয় মাস আগে এই ধরনের পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন।

ইদানীং এশিয়ার বহু দেশে এবং আফ্রিকার কৃষিক্ষেত্রে কৃষির ব্যাপক উন্নতির একটা বড় কারণ হচ্ছে এই ঋতুভিত্তিক পূর্বাভাসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি অপেক্ষাকৃত নতুন, ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু। শুধু কৃষিক্ষেত্রে নয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এই পূর্বাভাস যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

এখন আসা যাক এটা কীভাবে করা হয়ে থাকে। এটা করা হয়ে থাকে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার পরিবর্তন (স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া) ও বাতাসের প্রবাহ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া ও দিক নির্ণয় করে।

এক কথায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া বা গরম হয়ে যাওয়া অবস্থাকে বলি এল নিনো (El Nino) আর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া বা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া অবস্থাকে বলি লা নিনা (La Nina)।

বাংলাদেশে যেমন গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল আছে, তেমনি প্রশান্ত মহাসাগরেরও নিজস্ব গ্রীষ্মকাল আর শীতকাল আছে। প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মকালকে বলে ‘এল নিনো’ শীতকালকে বলে ‘লা নিনা’। প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর ৩ ভাগের ১ ভাগ জুড়ে আছে, কাজেই প্রশান্ত মহাসাগরে কিছু ঘটলে পৃথিবীজুড়ে তার প্রভাব পড়ে। তাই প্রশান্ত মহাসাগর গ্রীষ্মকাল পুরো পৃথিবীকে গরম করে দেয় এবং একইভাবে তার শীতকাল পুরো পৃথিবীকে ঠান্ডা করে দেয়। ‘এল নিনো’ এবং ‘লা নিনা’ও পর্যায়ক্রমে আসতেই থাকে প্রশান্ত মহাসাগরে, তাই এটা বড় সমস্যা না। কিন্তু মাঝেমধ্যে এরা অনেক শক্তি সঞ্চার করে; সেই বছরগুলো বেশি সমস্যার।

‘এল নিনো’ (El Nino: EN) প্রতি ৩ থেকে ৭ বছরে একবার দেখা যায়। তা বিরাজমান থাকে প্রায় ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বিস্তর পার্থক্য হয় (প্রায় +০.৫ থেকে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তখন এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা এবং মাঝেমধ্যে পুরো পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে।

অন্যদিকে, ‘লা নিনা’ (La Nina: LN) হলো ‘এল নিনো’র সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা পার্থক্য হয় (প্রায় -০.৫ থেকে -৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া এই ‘এল নিনো’ ও ‘লা নিনা’র প্রতি খুবই সংবেদনশীল।

এখন কথা হচ্ছে, যে বছর EN/LN হবে না, সেই বছর কী হবে? সেই বছর সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থেকে ঋতুভিত্তিক পূর্বাভাস করা হবে EN/LN ও তাপমাত্রার ওঠা-নামার ওপর নির্ভর করে, যা শুধু ০.৫ ডিগ্রি ওপরে বা নিচে হয়।

এই ‘এল নিনো’র ফলে পৃথিবীর কোথাও কোথাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হয়, কম বৃষ্টি পড়ে, কখনো কখনো খরা হয়, ঝড়ের উৎপাত বেড়ে যায় (যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে) আবার পৃথিবীর কোথাও কোথাও এর উল্টোটাও হয়। যেমন ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৯৭ সালে ভয়াবহ খরায় পতিত হয় বাংলাদেশ। ওই দুটোই ছিল EN বছর। আবার ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বড় বন্যা দেখা দেয়, ওই দুটি ছিল LN বছর। তবে পৃথিবীর অনেক দেশের আবহাওয়া EN/LN-এর প্রতি সংবেদনশীল না।

অন্যদিকে, ‘লা নিনা’ হলে ঠিক ‘এল নিনো’র উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় পৃথিবীব্যাপী | অর্থাৎ গরমের জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা ঠান্ডা, স্বল্প বৃষ্টির জায়গায় অতিবৃষ্টি ইত্যাদি দেখা দেয় ।

গত ৫০ বছরে ‘এল নিনো’ হয়েছিল ১৭ বার এবং ‘লা নিনা’ হয়েছিল ১২ বার। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এ ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন।

এখন আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নয়নের করণে বিশেষ করে স্যাটেলাইট বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে বলা যায়, আমরা সাগর ও বাতাসের অবস্থানকে পর্যবেক্ষণ করে EN/LN কবে হবে, কীভাবে হবে, কতটা শক্তিশালী হবে, তা প্রায় নয় মাস আগে ধারণা পাই এবং ছয় মাস আগে অনেকটা নিশ্চিত করে এবং তিন মাস আগে বলা যায় একেবারেই নিশ্চিত করে বলতে পারি। এটা নিয়ে বর্তমানে জলবায়ুবিজ্ঞানীরা বেশ গর্বিত।

How likely is flooding in 2018? এই EN/LN-এর পর্যবেক্ষণের আলোকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা কতটুকু—এ রকম একটি রচনা লিখেছিলাম গত বছর অক্টোবর মাসে। মূল বক্তব্য ছিল, এবার (অর্থাৎ ২০১৮ সালে জুন-আগস্ট মাসে) স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বন্যা হতে পারে বাংলাদেশ, তবে ভয়াবহ বন্যা (যেমন হয়েছিল ১৯৯৮ বা ১৯৮৮ সালে) হওয়ার আশঙ্কা কম বা নেই বলা যায়। এটাই ঋতুভিত্তিক বন্যা পূর্বাভাস। আমি এখনো আমার এই পূর্বাভাস নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অবস্থায় আছি।

এখন আশা যাক খনার বচন প্রসঙ্গে। অসংখ্য খনার বচন যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার জনজীবনের সঙ্গে মিশে আছে। আনুমানিক ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। অনেকে অবশ্য বলেন, খনার বচন রচিত হয় চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। কিংবদন্তি আছে, গণনা করে খনার দেওয়া পূর্বাভাসে রাজ্যের কৃষকেরা উপকৃত হতেন বলে রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে দশম রত্ন হিসেবে আখ্যা দেন। খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া।

এই রচনাগুলো চার ভাগে বিভক্ত:

-কৃষিকাজের প্রথা ও সংস্কার। Traditional Agriculture
-কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান। Agriculture decision support systems
-আবহাওয়া জ্ঞান। Seasonal climate outlook (forecasts)
-শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ। Agricultural management and adaptations

আবহাওয়াসংক্রান্ত বচনগুলো যদি আমরা লক্ষ করি। যেমন—

চৈত্রেতে থর থর (March)
বৈশাখেতে ঝড় পাথর (April)
জ্যৈষ্ঠতে তারা ফোটে (May)
তবে জানবে বর্ষা বটে। (June-July))

ছড়াটি পুরোপুরো EN/LN-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। ঠিক এখানেও মার্চ মাসে জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টি বা বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। একই রকম আর একটি:

পূর্ব আষাঢ়ে দক্ষিণা বয় (June-Jul) (LN)
সেই বৎসর বন্যা হয়।

খনার বচন আজ আর কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় না বরং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের অংশ। খনার কিছু বাক্য পল্লিবাসীর জীবনের নিত্যসঙ্গী। ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ’ ইত্যাদি এখনো কৃষকেরা বিশ্বাস করেন। যখন আধুনিক কৃষিজ্ঞানের প্রসার ছিল না, তখন কৃষকেরা এসব থেকে উপকৃত হয়েছেন, কিন্তু এ যুগেও এগুলো যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক।

আমার কাছে খনার যে বিশেষ গুণটি (যুক্তিসংগত ও বিশ্বাসযোগ্য) এখনকার seasonal forecast তৈরির জন্য সবচেয়ে কার্যকর মনে হয়েছে, সেটি হলো তিনি ছিলেন একজন গণিতবিশারদ। তাঁর নিজের লেখা পাণ্ডুলিপিসহ গণিতের বই এখনো পাওয়া যায়। অনেকেই বলেন, তিনি খনা নয়, তাঁর নাম লীলাবতী। যদি তা-ই হয়, তাহলে গণিত সম্পর্কে তাঁর বিশেষ জ্ঞান ছিল এবং এই জ্ঞানই দরকার আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য। এখানে একটা উদাহরণ দিচ্ছি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে গণিতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

সুতরাং, যেভাবেই খনাকে বলা হোক না কেন, আমি অন্তত খনার অঙ্কবিদ্যার পারদর্শিতার কথা জেনে আশ্বস্ত যে একজন গাণিতিকের পক্ষে আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। খনার কর্মের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে উনি শুধু পূর্বাভাস তৈরি করেননি, সেই জটিল তথ্য আবার সার্থকভাবে সহজ কবিতা বা বচনের মাধ্যমে প্রচার (disseminate) বা প্রকাশ করেছেন! এটা ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিস্ময়!

এই প্রচার করার বিষয়টি কিন্তু আমাদের জন্য বর্তমানে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের পূর্বাভাসগুলো (information) অব্যবহৃত থেকে যায় শুধু প্রকাশের জটিলতার কারণে। পূর্বাভাস তৈরির বিষয়টি বেশ জটিল এবং আমরা এই তথ্যগুলোকে সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে প্রকাশ করতে এখনো সার্থক হইনি। অথচ কী সুন্দর সহজ সাবলীল ভাষায় কবিতা বা বচনের মাধ্যমে তখন তথ্যগুলো প্রকাশ করা হতো এবং এটাই ছিল খনার বচন বা পূর্বাভাসের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। আমার মনে হয়, এখান থেকে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় আছে।

খনার সহজ ছন্দের কথাগুলো বৃহৎ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এখনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেরিতে হলেও যেহেতু আমরা ঐতিহ্যসচেতন জাতি, তাই আশা করা যায়, খনাকে নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হবে, আবিষ্কৃত হবে তাঁর যুক্তির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যেটা বিশেষ করে কৃষি উন্নয়নে আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে (seasonal forecast) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ড. রাশেদ চৌধুরী: আমেরিকার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফ্যাকাল্টি এবং জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর মেরিন অ্যান্ড এ্যাটমসফেরিক রিসার্চের প্যাসিফিক ENSO ক্লাইমেট সেন্টারের প্রধান বিজ্ঞানী |