সুযোগ কাজে লাগাতে উগ্রপন্থীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে

মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনিরুজজামানের জন্ম ১৯৫২ সালে বরিশাল শহরে। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতিমালা বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত। বর্তমানে ব্রাসেলসভিত্তিক গ্লোবাল মিলিটারি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

আ ন ম মুনিরুজজামান
আ ন ম মুনিরুজজামান

প্রথম আলো :প্রলম্বিত রাজনৈতিক সহিংসতা জননিরাপত্তায় কী প্রভাব ফেলছে?
মুনিরুজজামান: সামাজিক অস্থিতিশীলতা থেকে জনজীবনে অস্থিরতা এসেছে। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকার জননিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য যে ধরনের স্থিতিশীলতা ও স্বস্তি দরকার, সেটা সরকার অনুভব করতে পারছে না। যাকে স্বাভাবিক বলা হচ্ছে, তার মধ্যে হঠাৎ সহিংসতা বা অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রথম আলো : রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ব্যবহারের অতীত রেকর্ড আছে।  এভাবে তারা আর কত দিন সামাল দেওয়ার সামর্থ্য রাখে? এসব সংস্থার জন্য কী হুমকি দেখেন?
মুনিরুজজামান: যেটা বিশেষ উদ্বেগজনক, তা হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যে রূপ থাকা দরকার, সেখান থেকে তারা অনেকটা সরে আসছে। কারণ, তাদের ব্যাপকভাবে প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এখতিয়ারের বাইরে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যে ধরনের উক্তি ইদানীং আমরা এসব সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে শুনতে পাই, তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে যদি গভীরভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়, তাহলে তার যে কতগুলো অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য থাকে, সেগুলো আস্তে আস্তে ভেঙে যায়। তখন তাদের সত্যিকারের রূপ জনগণের কাছে আর প্রকাশ করতে পারে না, বরং একধরনের ভঙ্গুরতা চলে আসে। সে ধরনের কিছু আলামত আমরা লক্ষ করছি। রাষ্ট্রের ভেতরে একটি গভীর রাষ্ট্র সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রথম আলো : লেখক অভিজিৎ রায়কে ঘোষণা দিয়ে হত্যাকে কীভাবে দেখেন?
মুনিরুজজামান: প্রথমেই বলে নিই, রাষ্ট্র একটি বিরাজনৈতিকীকরণের মধ্য দিয়ে অগ্রসরহচ্ছে। ভিন্নমত বা ভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর যে ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তাতে বিকল্প রাজনৈতিক মত প্রকাশের জায়গাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় মতামত প্রকাশের ওপর বিরাজনৈতিকীকরণ প্রক্রিয়াটা তীব্র হচ্ছে। এখানে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই জানি, রাজনীতিতে কখনো কোনো শূন্যতা থাকতে পারে না। বিরোধীদলীয় মতের ওপর যে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে, সেই জায়গাটা উগ্র ডানপন্থী শক্তি বা ইসলামি বা ধর্মীয় চরমপন্থীরা দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে যে গবেষণা করছি, তাতে তাদের প্রস্তুতির আলামত পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।

প্রথম আলো : অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড কি তার একটি লক্ষণ?

মুনিরুজজামান: এর একটি ছোট লক্ষণ। এর চেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে গত কয়েক বছরে যেসব ছোটখাটো ধর্মীয় বা জঙ্গি সংগঠন ন্যুব্জ হয়ে ছিল, তারা হঠাৎ তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। তারা সংগঠিত হচ্ছে এবং তাদের যেসব লিফলেট ইত্যাদি আমরা জানতে পারছি, তাতে তারা মনে করছে, তারা একটা বিরাট সুযোগ পেয়ে গেছে। তারা ভাবছে, এমন সুযোগ সচরাচর আসে না। আর তারা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আশঙ্কা করা চলে, এতে কোনো দল নয়, বাংলাদেশের রাজনীতি পরাজিত হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরাজিত হবে। যেসব রাজনৈ​িতক মূল্যবোধের ওপর দিয়ে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো পরাজিত হবে। এবং আমরা একটি গভীর কালো সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকে যাব, যেখান থেকে আমরা সহজে বেরিয়ে আসতে পারব না।

প্রথম আলো : কালো সুড়ঙ্গে আমরা কি ঢুকে পড়েছি, নাকি ঢুকতে যাচ্ছি?

মুনিরুজজামান: আমরা ঢুকতে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যে ঢুকে পড়তে যাচ্ছি, সেটা আমরা উপলব্ধি করছি না। আমরা খুবই সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। এর ফলে রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে।

প্রথম আলো : যে আশঙ্কায় বিদেশি রাষ্ট্রগুলো র‍্যাবের মতো সংস্থাকে জঙ্গি বা সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, এখন তারা কি সেই অভিন্ন তাড়না থেকেই সংকট মেটাতে চাইছে?

মুনিরুজজামান: বাংলাদেশকে নিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার যে স্বার্থগুলো আছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশের স্থিাতিশীলতার সম্পর্ক আছে। এখানে অনির্দিষ্টকাল ধরে অস্থিতিশীলতা চললে যে ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সৃষ্টি হবে, সেটা কেবল বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে আটকে রাখা যাবে না। তখন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা যে বিঘ্নিত হতে পারে, তা এ বিষয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা অনুভব করছেন। বিশেষ করে আইএস যখন বিদেশি শাখা খুলতে সচেষ্ট রয়েছে আর যেখানে বাংলাদেশের নাগরিক, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের কেউ কেউ সেখানে যোগ দিয়েছেন, তাই তাঁরা বাংলাদেশকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে পারবেন না বা দেখা উচিতও নয়। তাই একটি অস্থিতিশীল বাংলাদেশের প্রভাব আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ওপর পড়বে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের অ্যালার্টে থাকা মাত্র দুটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আছে। এটা (অন্যটি ইয়েমেন) খুবই উদ্বেগজনক ইঙ্গিত। নিউইয়র্ক টাইমসওবলেছে, সংকট চললে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

প্রথম আলো : বাংলাদেশ কি পাকিস্তানীকরণের পথে চলছে?

মুনিরুজজামান: শুধু পাকিস্তানের উদাহরণ দেব না। বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা অনন্য নয়, এটা ধ্রুপদি। রাজনীতি যেসব দেশে অকার্যকর হয়ে যায়, যেসব দেশে এমন রাজনীতি চেপে বসেছে, যেখানে রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি বা দলের স্বার্থ অগ্রাধিকার পেয়েছে, যেখানে এ ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেই জঙ্গি সংগঠনগুলো নতুন করে জেঁকে বসেছে। এ ধরনের সংঘাতে একটি টিপিং পয়েন্ট (যেখানে ঘটনাগুলো বিরাট বাঁক নেয়, এর পরে আর আগের অবস্থায় আসে না) থাকে, যা আমরা অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারি না। টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করলে তা আর পূর্বাবস্থায় ফেরে না। আমরা সংঘাতময় দেশগুলোয় দেখি, সেখানে সংঘাত বাড়তে বাড়তে এমন একটি অবস্থায় চলে যায়, সেখান থেকে আর ফিরতে পারে না। সে দেশ যে নিজেরা পারে না, কেবল তা-ই নয়, আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালিয়েও পারে না। তাই এখন চিন্তার বিষয় হলো বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার দিকে যেভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমরা ওই টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করে যেতে পারি। আর আমরা যদি একটি অন্তহীন সংঘাত বৃত্তের মধ্যে ঢুকে যাই, তাহলে আমরা সেই বৃত্তের মধ্যেই ঘুরতে থাকব, সমাধানে যেতে পারব না। এখন আমরা যে ধরনের সহিংসতা দেখছি, সেটা একটি বিকেন্দ্রীভূত অবস্থায় চলছে। অর্থাৎ, এটা কেউ কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মনে হয় না। কোনো কেন্দ্রীয় কমান্ড কাঠামোর মধ্যে থাকছে না। তাই সহিংসতা যেটা শুরু করা সহজ হয়েছে, এটা বন্ধ করা ততটাই দুরূহ হবে। এর কারণ, সহিংসতার সঙ্গে যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত হচ্ছে, সেখানে একধরনের ক্ষমতায়ন ঘটে। এভাবে বিশ্বের দেশে দেশে বহু সংঘাতপ্রবণ গোষ্ঠীর সৃষ্টি ও তার বিস্তারঘটেছে।

প্রথম আলো : আফ্রিকার কোনো কোনো দেশের লক্ষণ কি ইতিমধ্যে ফুটে উ​েঠছে?

মুনিরুজজামান: হ্যাঁ, আমরা দেখছি, একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশের বাইরে নিম্ন তীব্রতাসম্পন্ন সংঘাতের মধ্যে ঢুকে পড়ছি। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি সম্পূর্ণ নতুন বৈশিষ্ট্য। আমরা রাস্তায় মারামারি, দুই পক্ষকে মুখোমুখি হতে দেখেছি। আমরা লগি-বইঠা দেখেছি। কিন্তু এমনটা আগে কখনো দেখিনি।

প্রথম আলো : পেট্রলবোমা দিয়ে এত মানুষ পোড়ানো কেন ঘটতে পারছে?  তাহলে কি আমরা একটি সামাজিক রূপান্তরকরণ প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি?

মুনিরুজজামান: আগে নেতৃত্ব ছিল কেন্দ্রীয়, এবারে তা মাঠপর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এখন কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াই তারা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছে বা পারবে। দোষারোপের সংস্কৃতি চলছে। কিন্তু কারা এবারের নাশকতা করছে, সেটা সঠিকভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে না। এত বিপুল সংখ্যায় নাশকতা ঘটলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত খুব সীমিতসংখ্যক ব্যক্তিকে ধরতে পেরেছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো ছাড়া অন্যরা, মানে তৃতীয় পক্ষ যুক্ত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে কোনো সঠিক ও স্বচ্ছ চিত্র আমাদের সামনে নেই।

প্রথম আলো : আপনি কি বিদেশি শক্তির দিকেও ইঙ্গিত দিচ্ছেন?

মুনিরুজজামান: না। আমি অভ্যন্তরীণভাবেই যারা অস্থিতিশীলতা থেকে ফায়দা নিতে পারে, তাদের কথা বলছি। বিদেশি শক্তির সমর্থন বা মদদ থাকতে পারে। কিন্তু বিদেশি ফোর্স আধাআধি বা সরাসরি ভূমিকা রাখছে না। পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করতে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা আমরা নাকচ করতে পারি না। সমাজে অন্যান্য অসন্তুষ্ট যেসব গোষ্ঠী আছে, তারাও আস্তে আস্তে সংগঠিত হতে পারে। আর সংঘাতের কুশীলবদের একটি বহুদলীয় খিচুড়ি তৈরি হয়ে গেলে তাদের চিহ্নিত করা আরও অসম্ভব ও জটিল হয়ে পড়ে।

প্রথম আলো : সংকট নিরসনে জাতিসংঘ বা বিদেশি কূটনীতিকেরা কি আদৌ সফল হতে পারেন?

মুনিরুজজামান:বড় সমস্যা-সংকটকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখতে না চাওয়া কিংবা নাকচের মনোভাব দীর্ঘ হলে সংকট দীর্ঘ ও ঘনীভূত হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। দুই দেশ বা দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ চলমান থাকতেও গোপনে কথাবার্তা চলতে পারে।

প্রথম আলো : স্থিতিশীলতায় ভারত, চীন ও রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপের মনোভাবে দ্বৈরথ, নাকি পরিপূরক হতে পারে?

মুনিরুজজামান: স্থিতিশীল বাংলাদেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। ভারত একটি অংশগ্রহণমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে। অংশগ্রহণমূলক বা ইনক্লুসিভ, মানে সব দল ও মতের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশকে ঘিরে একটি সমকেন্দ্রিক স্বার্থের আবর্তন দেখছি। তারা নিজ নিজ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উভয়ে স্থিতিশীলতা চাইছে। এশিয়া-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিব্যালান্স নীতির সঙ্গে এটা পরিপূরক। চীনের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও এখানে স্থিতিশীলতা রাখা জরুরি। যদিও একক মার্কিন বলয় যাতে সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারেও চীন সচেষ্ট। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কৌশলগত কারণ সত্ত্বেও তারা প্রত্যেকে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চাইছে, যেটা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মোদি ও ওবামা প্রশাসনের কাছে।

প্রথম আলো : বিএনপি তার ব্যর্থ অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিলেরাজনৈতিকভাবে হারিয়ে যাবে—এটা ঠিক? দাবি আদায়ের অন্য কোনো কৌশল নেই বলবেন?

মুনিরুজজামান:প্রথমত, তাদের আস্থার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। যাঁরা স​রকারে দায়িত্বশীল, তাঁরা নিশ্চিহ্ন করার ভাষায় কথা বলছেন। আমরা যদি যে যার জায়গা থেকে জঙ্গি মনোভাব দেখাই, তাহলে আস্থার যেসব ক্ষীণতম জায়গা আছে, তা-ও মিলিয়ে যাবে। এখন দরকার উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির জন্য কতগুলো উপায় খুঁজে বের করা, যাতে পরস্পরের কথায় আস্থা রাখতে পারে। তাহলে আপনি যে কৌশল পরিবর্তনের কথা বলছেন, সে রকম একটা পথ বের হতে পারে।

প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ।

মুনিরুজজামান: ধন্যবাদ।