সাগরিকা এক্সপ্রেস

চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রেলপথে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত অতি সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ এ রেলপথে মাত্র দুটি ট্রেন চলাচল করছে। শুধু বর্তমান সময়সূচির কারণে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা ও খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার যাত্রীরা চলাচল করতে পারছে না।
‘সাগরিকা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি খুব ধীরে চলে, যেখানে-সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে থাকে। এই ট্রেনে চট্টগ্রাম-চাঁদপুরের মধ্যবর্তী ১৮০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে তিন ঘণ্টার জায়গায় লাগে আট-নয় ঘণ্টা। চট্টগ্রামের নিকটবর্তী লোকাল স্টেশনের যাত্রীরা এ ট্রেনের সিট দখল করে রাখে। এ কারণে চাঁদপুরের সরাসরি ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে সাগরিকা এক্সপ্রেসে উঠতে পারে না।
এ লাইনে চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ট্রেনটিকে চাঁদপুরে পৌঁছানো হয় বেলা তিন-চারটায়, যাতে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা বেলা একটা পর্যন্ত মেঘনা পারাপারের নিয়মিত লঞ্চগুলো ধরতে না পারে। পূর্বাঞ্চলীয় রেল প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে গন্তব্যে যেতে ২০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে।
সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চলাচলে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। সাগরিকা এক্সপ্রেসকে আন্তনগর ট্রেনে উন্নীত করে চির-অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের জনগণকে চলাচলের সুযোগ দিলে ভালো হয়। এ ট্রেনটির মানোন্নয়ন ও দুপুর ১২টার মধ্যে তার চাঁদপুর পৌঁছানোর দাবি দীর্ঘদিনের। এ দাবি দুটি বাস্তবায়িত হলে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার পাঁচ কোটি গণমানুষের চট্টগ্রামে যাতায়াত সুগম হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।