সমাধান কোন পথে?

বাগেরহাটের রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রসঙ্গে দেশব্যাপী বিতর্কের ঝড় বইছে। বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু হলো, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে রামপালের অদূরে অবস্থিত সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে কি হবে না। সুন্দরবন ইউনেসকো-ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এবং বিশ্বের অন্যতম রামসার সাইট, যা কিনা প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। সরকারের ভাষ্য, প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাসের মজুত হ্রাস পাওয়ায় ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য প্রয়োজন কম জনবসতিপূর্ণ এমন একটি স্থান, যেখানে সস্তায় কয়লা পরিবহন করা যাবে।
আর এসব বিবেচনায় সরকার কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রামপালকেই বেছে নিয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। অপর দিকে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বলছে যে রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে এবং এ কারণে তারা সরকারের কাছে আরজি জানাচ্ছে, সরকার যেন কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপালে স্থাপন না করে। সরকারের পক্ষে সুবিধা হতো যদি তারা সরকারকে পরামর্শ দিত যে রামপাল থেকে অন্য কোনো স্থানে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করলে প্রকল্পটি লাভজনক হবে, পাশাপাশি সুন্দরবনকেও নিরাপদে রাখা যাবে।
রামপালবিরোধী পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর অভিমত, রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে কয়লাজনিত সম্ভাব্য দূষণের প্রভাব সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। অপর দিকে সরকারপক্ষের প্রযুক্তিবিদেরা বলছেন যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এমনভাবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সম্ভাব্য দূষণমাত্রা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা সম্ভব, যা সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য হুমকি হবে না।
একটি ব্যাপার লক্ষণীয় যে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে পরিবেশদূষণ যে হবে, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষই কমবেশি নিশ্চিত, কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরও কয়লাজনিত সম্ভাব্য দূষণের মাত্রা ও পরিধি কতটুকু বিস্তার লাভ করতে পারে, সে ব্যাপারে কোনো পক্ষই নিশ্চিত নয় বলে বিতর্কের সূচনা হয়েছে। অনুমাননির্ভর তথ্যের ভিত্তিতে যেকোনো ইস্যুতে বিতর্ক শুরু হলে সেই বিতর্কের শেষ কোথায় কে জানে! আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ পায় ফায়দা লোটার। রামপাল ইস্যুতে সরকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর চলমান বিতর্কে তৃতীয় পক্ষ যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার পাঁয়তারা করছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
যা হোক, সরকারি সংস্থা প্রদত্ত ইআইএ রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে রামপালে বছরের চার মাস (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) বায়ুপ্রবাহ সুন্দরবনমুখী হয়ে থাকে। পরিবেশবাদীদের অভিমত, এ সময়টাতে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ প্রকল্প-সৃষ্ট সম্ভাব্য বায়ুদূষণের প্রভাব সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সরকারপক্ষ বলছে, এ সময়টাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বায়ুদূষণের মাত্রা উন্নত বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে সম্ভাব্য বায়ুদূষণের প্রভাব সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তার লাভ না করে। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশদূষণের হার কিছুটা হ্রাস করা গেলেও পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা এড়ানো যায় না। এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় এর সত্যতা মেলে। পরিবেশকে তাঁর স্বাভাবিক গতিতে চলতে না দিলে বিপদ বাড়ে।
ফারাক্কা বাঁধের কথাই ধরা যাক। ১৯৬১ সালে গঙ্গা নদীর উজানে যখন এ বাঁধ নির্মিত হয়েছিল, তখন ভারত সরকার মনে করেছিল, বাঁধটি হলে বিহার রাজ্যের হাজার হাজার একর অনাবাদি জমি ফসল উৎপাদনের আওতায় আসবে। বিহারের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা বাড়বে। বিহারের জনগণ নিঃসন্দেহে দীর্ঘদিন যাবৎ ফারাক্কা বাঁধের সুফল ভোগ করলেও কালের বিবর্তনে এখন তা আর আশীর্বাদ নয়, বরং বিহারবাসীর জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁধের ভেতরে পলি জমে যাওয়ায় বিহার রাজ্যে ঘন ঘন বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ কারণেই বলছি যে রামপাল কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রে যতই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন, কয়লাজনিত দূষণের প্রভাব যদি একসময় সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে, তাহলে এর ভয়াবহতা হয়তো এ মুহূর্তে অনুমান করা যাবে না। কিন্তু যখন পরিবেশ বিপর্যয়ের লাল সংকেত বেজে উঠবে, তখন হয়তো সুন্দরবনকে বাঁচানো যাবে না। এমনিতেই সুন্দরবনের পরিবেশ নানা হুমকিতে জর্জরিত। তার মধ্যে চিংড়ি চাষ সুন্দরবনের প্রতি অন্যতম প্রধান হুমকি। এ প্রসঙ্গে চকরিয়া সুন্দরবনের চরম পরিণতির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় চকরিয়া সুন্দরবন ব্যাপক নিধনের মাধ্যমে চিংড়িঘের তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৯৯১-এর প্রলয়ংকরী সাইক্লোন যখন আঘাত হানে, তখন এ অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, গৃহহীন হয়েছিল। পরিবেশের নির্মম প্রতিশোধ আর কাকে বলে। অতিসম্প্রতি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুন্দরবনের আশপাশে ব্যাপক পরিমাণে জমি ক্রয়ের সংবাদ প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের চিন্তাভাবনা কী, তা এখনো জানা যায়নি।
সুপার সাইক্লোন আইলা আর সিডরের তাণ্ডবে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ অনেকটাই রুগ্ণ। তবে রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা হলে হয়তো সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশের প্রতি আরও একটি নতুন হুমকির সংযোজন হবে। যা হোক, সরকারপক্ষের জ্বালানি প্রযুক্তিবিদেরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য দূষণ নিয়ন্ত্রণের যে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, তা অবশ্যই ব্যয়বহুল। উন্নত দেশগুলো যেখানে আর্থিক সক্ষমতা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে পর্যাপ্ত দক্ষতা নিয়েও কয়লাজনিত দূষণের হাত থেকে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে পারছে না, সেখানে আমাদের সরকার তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার আর্থিক সক্ষমতা ও দক্ষতাকে পুঁজি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাজনিত দূষণ থেকে সুন্দরবনকে কতটুকু রক্ষা করতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। অতএব, উন্নত প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লাজনিত দূষণের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য যে মাস্টার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা আদৌ কতটুকু কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে।

>উন্নত প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লাজনিত দূষণের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য যে মাস্টার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা আদৌ কতটুকু কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে

একটি সাধারণ উদাহরণ দিলেই আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সক্ষমতা পরিমাপ করা সহজ হবে। সম্প্রতি একটি বুনো হাতি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। বুনো হাতিটিকে উদ্ধার করতে প্রায় ৪২ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। সে সময় বন বিভাগ বলেছিল যে বুনো হাতিটি উদ্ধারে তাদের কোনো দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নেই। অবশেষে ভারত থেকে বিশিষ্ট বুনো হাতি বিশেষজ্ঞদের আনতে হয়েছিল এবং একপর্যায়ে তাঁরা হাতিটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে নিজ দেশে ফেরত যান। বুনো হাতিটি উদ্ধার হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। এ ক্ষেত্রেও অনেকেই বুনো হাতিটি উদ্ধারে বন বিভাগের অদক্ষতা আর অবহেলাকেই দায়ী করেছেন। যেখানে একটি সাধারণ বুনো হাতি উদ্ধারে আমাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে কয়লাজনিত দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিবিদদের দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট অবকাশ আছে। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রামের আনোয়ারা সার কারখানায় অ্যামোনিয়া-ভর্তি ট্যাংক বিস্ফোরণ ঘটে। বলা হচ্ছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অবহেলারও একটি সীমা থাকে। সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলতে এ ধরনের অবহেলাজনিত(!) দুর্ঘটনা যে রামপাল কয়লানির্ভর অত্যাধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটবে না, তার গ্যারান্টি কী? কারণ, সরকারি প্রশাসনযন্ত্রে সরকারবিরোধীদের অনেক চর ঘাপটি মেরে বসে আছে, যারা সময়-সুযোগের অপেক্ষায় আছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। ভুলে গেলে চলবে না, সুন্দরবন যেহেতু বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ, সেহেতু রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হলেও বিশ্ব সম্প্রদায় সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশকে পর্যবেক্ষণে রাখবে।
আইইউসিএন বাংলাদেশের এক রিপোর্টে দেখা যায়, আমাদের সুন্দরবন প্রায় ২২ ধরনের ইকোসিস্টেম সার্ভিস সরবরাহ করে। জেডিআর, উইনরক ও ইউএসএইডের অর্থায়নে পরিচালিত অপর এক চলমান গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর পর্যটন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বসতবাড়ি ও সম্পদের সুরক্ষা এবং জীবন-জীবিকায় বনজ সম্পদের নির্ভরতা প্রভৃতিতে সুন্দরবন যে সাপোর্ট দেয়, তার বার্ষিক মূল্য প্রায় ২১ কোটি ইউএস ডলার। যদি সব ইকোসিস্টেম সার্ভিসের বার্ষিক মূল্যমান নির্ধারণ করা যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম সার্ভিসের মূল্য কয়েক শ কোটি ইউএস ডলারে পৌঁছাবে। অতএব, দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
সুন্দরবন রক্ষা এবং কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা—দুটোই জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বিষয় দুটোর সঙ্গে দেশের সামগ্রিক পরিবেশগত স্বার্থ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সরাসরি জড়িত। অনেকেই মনে করছেন যে রামপাল ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষণের পর সরকারের পক্ষ থেকে রামপালে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যাঁরা এ ধরনের মনোভাব পোষণ করেন, তাঁদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণরূপে দ্বিমত পোষণ করছি এ কারণে যে দেশের রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার অধিষ্ঠিত, যার পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন এবং সুন্দরবনের কারণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পেয়েছে বিশেষ মর্যাদা।
সরকারের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করব, কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় তড়িঘড়ি না করে আরও একটু সময় নিয়ে চিন্তা করলে সরকারের বিচক্ষণতাই প্রকাশ পাবে। দেশের প্রথিতযশা ম্যানগ্রোভ বিশেষজ্ঞ, দূষণ বিশেষজ্ঞ, বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে আলোচনা করে জানা যেতে পারে, সুন্দরবনের ওপর কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে পরিবেশবাদীরা যে দাবি জানাচ্ছে, তা আদৌ সত্য কি না, সত্য হলে প্রভাবের মাত্রা কতটুকু হতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের কী করণীয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রামপাল ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।
ড. এ এইচ এম রায়হান সরকার: শিক্ষক ও গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]