শাবাশ, দ্য ইয়াং লেডি

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ভার্সিটির স্টেশন মার্কেট থেকে কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। রিকশায় উঠে বুঝতে পারলাম রিকশাচালক একটু অসুস্থ। রিকশার চাকা যেন ঘুরছিলই না। তাই রিকশাচালককে বললাম, ‘মামা, আপনি বসেন। আমি চালাচ্ছি।’ তিনি রাজি হলেন না; বললেন, ‘না, মামা, তা হয় না। আমার দুর্নাম হবে।’ 

আমি বললাম, ‘কেন দুর্নাম হবে? আসেন, আপনি আমার ব্যাগ নিয়ে বসেন।’ অবশেষে অনেক অনুরোধের পরে তিনি রাজি হলেন, আর আমি চালাতে শুরু করল। টুকিটাকি চত্বরে আসামাত্র সবাই আমাদের বেশ আশ্চর্য হয়ে দেখছিল। উৎসুক জনতাদের মধ্যে একজন বলে উঠলেন, ‘শাবাশ, দ্য ইয়াং মান।’ ভালো কিছু করতে পারায় সেদিন আমার খুব ভালো লাগছিল।

অন্য একদিন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। একহাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল ও অন্য হাতে ছাতা ধরে আমি কাজলা গেট থেকে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের দিকে যাচ্ছিলাম। প্যারিস রোডে আসামাত্র এক চমৎকার দৃশ্য দেখে আমি সাইকেল থামালাম। দেখলাম ধীরগতিতে একটি রিকশা যাচ্ছে। রিকশায় যে মেয়েটি যাচ্ছে, সেই মেয়েটি ছাতা ধরে আছে রিকশাচালকের মাথার ওপরে। নিজের অজান্তেই শ্রদ্ধার সঙ্গে আমার মুখ থেকে বের হলো, ‘শাবাশ, দ্য ইয়াং লেডি।’

ইংরেজি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়