ইচ্ছাপূরণ

আর কিছুদিন পরই ঈদ। চারদিকে চলছিল ঈদের কেনাকাটার উৎসব। শুধু দারিদ্র্য যেন চেপে বসেছিল রবিনদের বাসায়। বহুদিন ধরেই রবিনের বাবা অসুস্থ। কলেজে পড়ুয়া রবিনের খুব ইচ্ছা হয়েছিল আর কারও জন্য কিছু না হলেও শুধু অসুস্থ বাবার জন্য কিছু কেনার। রবিনের বাবার ইচ্ছাটাও তেমন, ছেলেকে কিছু কিনে দেওয়ার। কিন্তু বাবা ও ছেলের দুজনের সাধই যেন সাধ্য থেকে বহুদূরে।

অবশেষে দুজনের ইচ্ছাই পূরণ হলো। রবিনের মামা রবিনকে একটি শার্ট কিনে দিয়েছিলেন। রবিন ইচ্ছা করেই শার্টটি একটু বড় মাপের নিল। কারণ সে মনে মনে স্থির করে নিয়েছিল শার্টটা সে তার বাবাকে দেবে। আর রবিনের বাবার বন্ধু তাঁকে একটি পাঞ্জাবি দিয়েছিলেন। রবিনের বাবা ইচ্ছা করেই পাঞ্জাবিটা একটু ছোট মাপের নিয়েছিলেন। কারণ, পাঞ্জাবি কেনার সময় তিনিও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন—পাঞ্জাবিটা ঈদের দিন সকালে তিনি তাঁর ছেলেকে দেবেন।