উড়োজাহাজের ঘটনা-দুর্ঘটনা

১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট জাপান এয়ারলাইনের বোয়িং–৭৪৭ উড়োজাহাজটি দেশটির ওগুরা পর্বতে বিধ্বস্ত হলে ৫২০ জন মানুষ প্রাণ হারান। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক হতাহতের ঘটনা
১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট জাপান এয়ারলাইনের বোয়িং–৭৪৭ উড়োজাহাজটি দেশটির ওগুরা পর্বতে বিধ্বস্ত হলে ৫২০ জন মানুষ প্রাণ হারান। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক হতাহতের ঘটনা

 ১৯২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্যারিস থেকে লন্ডনে আসার পথে ব্রিটিশ উড়োজাহাজ নির্মাতা হ্যান্ডলি পেজের এইচপি-১৬ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। একেই প্রথম যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। 
 ১৯৪৮ সালের পর থেকে প্রায় ৮৮টি উড়োজাহাজ আকাশে নিখোঁজ হয়, যার ধ্বংসাবশেষ কিংবা কোনো ধরনের অস্তিত্বই আর পাওয়া যায়নি। 
 অধিকাংশ বিধ্বস্ত বিমান সাধারণত উড্ডয়নের ৩ মিনিট কিংবা অবতরণের ৮ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয়। 
 উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যে অক্সিজেন মাস্কের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়, তা মাত্র ১৫ মিনিট ব্যবহার করা যায়। 
 হ্যারিয়েট কুইম্বলি প্রথম নারী হিসেবে আমেরিকার উড়োজাহাজ চালনার লাইসেন্স পান। তিনি প্রথম নারী হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল বিমানে অতিক্রম করেন। 
 বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলো গড়ে ৫৫০-৫০৮ মাইল প্রতি ঘণ্টায় ওড়ে। 
 সাধারণভাবে প্রতি ১ কোটি ১০ লাখ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ১ জন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যায়, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি ৫ হাজার মানুষের মধ্যে ১ জন মারা যায়। 
 প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে ১ জন উড়োজাহাজে চড়তে বা উড়তে ভয় পায়, যা ইংরেজিতে এভিওফোবিয়া নামে পরিচিত। 
 এভিয়েশনের জনক বলা হয় ইংরেজ উদ্ভাবক জর্জ কেলিকে। 
 চার্লস লিন্ডবার্গ প্রথম বৈমানিক হিসেবে একা ৩ হাজার ৬৩১ মাইল পেরিয়ে নিউইয়র্ক থেকে প্যারিস পৌঁছেছিলেন।

মেন্টাল ফ্লস, সিএনএন, ফ্যাক্ট রিট্রাইভার ও ভক্স অবলম্বনে জাহিদ হোসাইন খান