শীর্ষ ১০ বিশ্বকাপ সংগীত

>

জার্মানভিত্তিক ক্রীড়াবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ান ফুটবল। মূল কাজ ফুটবল নিয়েই। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে এটি। ১০টি ভাষায় ফুটবলবিষয়ক সংবাদ, প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আনুষ্ঠানিক গানগুলোর মধ্যে সেরা কোনটি, সে বিষয়ে জরিপ করে। পাঠকের ভোটে সে তালিকায় উঠে আসা শীর্ষ ১০ গানের কথা থাকছে এখানে। 

দ্য কাপ অব লাইফ: রিকি মার্টিন
দ্য কাপ অব লাইফ: রিকি মার্টিন


দ্য কাপ অব লাইফ: রিকি মার্টিন (১৯৯৮)

এখনো ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের স্মৃতি অনেকেরই মনে আছে। রিকি মার্টিনের গাওয়া দ্য কাপ অব লাইফ গানটি এখনো গুনগুনিয়ে গান অনেকেই। গানটির মিউজিক ভিডিও বেশ জনপ্রিয় এখনো।

গানটির গীতিকার: ডেসমন্ড চাইল্ড

সেলিব্রেট দ্য ডে: হার্বাট গ্রোনেমেয়ার
সেলিব্রেট দ্য ডে: হার্বাট গ্রোনেমেয়ার


সেলিব্রেট দ্য ডে: হার্বাট গ্রোনেমেয়ার (২০০৬)

জার্মান, ফরাসি, ইংরেজি ও মালির ভাষা বামবারার মিশেলে তৈরি করা হয়েছিল ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের গান। গানটি সংগীতায়োজনের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। মালির দুই গায়ক আমাদোউ ও মরিয়ামকে নিয়ে গানটি তৈরি করেছিলেন জার্মান সংগীতজ্ঞ হার্বাট গ্রোনেমেয়ার। গীতিকার: হার্বাট গ্রোনেমেয়ার

এল রক দেল মুনদিয়াল: দ্য র‍্যাম্বলার্স
এল রক দেল মুনদিয়াল: দ্য র‍্যাম্বলার্স


এল রক দেল মুনদিয়াল: দ্য র‍্যাম্বলার্স (১৯৬২) 

১৯৬২ সালে বিশ্বকাপের গান হিসেবে এটি প্রথম শোনা যায়। চিলির বিশ্বকাপের জন্য সেবার শুধু স্প্যানিশ ভাষায় গানটি গাওয়া হয়। চিলির গায়ক দল দ্য র‍্যাম্বলার্স গানটি গেয়েছিল। গীতিকার: জর্জ রোজাস

আনয়েস্তাতে ইতালিয়ানো (টু বি নাম্বার ওয়ান)
আনয়েস্তাতে ইতালিয়ানো (টু বি নাম্বার ওয়ান)


আনয়েস্তাতে ইতালিয়ানো (টু বি নাম্বার ওয়ান): এদোয়ার্দো বেনেট্টো ও জিয়ান্না ন্যান্নিনি (১৯৯০)

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের এই গানের ভিডিও এখনো বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশকের ফুটবল উত্তেজনার রেশ পাওয়া যায় গানটিতে। ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছিল গানটি।

গীতিকার: এদোয়ার্দো বেনেট্টো, জিয়ান্না ন্যান্নিনি, জিওর্জিও মোরোদের ও টম হুইটলক

ওয়াকা ওয়াকা: শাকিরা
ওয়াকা ওয়াকা: শাকিরা


ওয়াকা ওয়াকা: শাকিরা (২০১০)

১৯৮৬ সালের ক্যামেরুনের একটি গানের আবহে ২০১০ বিশ্বকাপের গান ওয়াকা ওয়াকা তৈরি হয়। শাকিরার গাওয়া এই গানটির ভিডিওতে জনপ্রিয় ফুটবলার মেসি ও রোনালদোকে দেখা যায়। ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয়তা পায় গানটি। ২০১৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত ইউটিউবে শাকিরার ব্যক্তিগত চ্যানেলে গানটির ভিডিও ১৮৬ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে। গীতিকার: শাকিরা ও ফ্রেশলিগ্রাউন্ড

ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি (হোয়ার্স ইন দিজ ওয়ার্ল্ড আর উই গোয়িং)
ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি (হোয়ার্স ইন দিজ ওয়ার্ল্ড আর উই গোয়িং)


ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি (হোয়ার্স ইন দিজ ওয়ার্ল্ড আর উই গোয়িং): লোনি ডনেগান (১৯৬৬)

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথম মাসকটের প্রচলন ঘটে। সেই মাসকটের নাম ছিল উইলি। সেই উইলিকে নিয়েই ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি গানটি গান লোনি ডনেগান। এটি ছিল বিশ্বকাপের প্রথম মাসকট সংগীত।

গীতিকার: লোনি ডনেগান

হট হট হট: অ্যারো
হট হট হট: অ্যারো


হট হট হট: অ্যারো (১৯৮৬)

১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে তিনটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ক অ্যারোর গাওয়া হট, হট, হট গানটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল। এর ভিডিও বেশ নজর কেড়েছিল। গানটি ১৯৯৬-১৯৯৯ সালে টরেন্টো ম্যাপল লিফস নামের দল নিজেদের গান হিসেবে ব্যবহার করেছে। ১৯৮৯ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী সংগীত হিসেবেও গানটি ব্যবহৃত হয়।

গীতিকার: আলফোনসাস ক্যাসেল

উই আর ওয়ান (ওলে ওলা)
উই আর ওয়ান (ওলে ওলা)


উই আর ওয়ান (ওলে ওলা) : পিটবুল ফিচারিং জেনিফার লোপেজ ও ক্লদিয়া লেইট্টি (২০১৪)

২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ব্রাজিলে। ব্রাজিলের ছন্দময় ফুটবলের ছাপ পড়েছিল সেবারের গানে। এক বিশ্বকাপেই সেবার নয়টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সবচেয়ে আলোচিত ছিল উই আর ওয়ান অফিশিয়াল গানটি। ইংরেজি, পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ তিন ভাষায় তৈরি হয় গানটি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গানটির মনোজ্ঞ উপস্থাপনা বেশ নজর কেড়েছিল সেবার।

গীতিকার: জেনিফার লোপেজ, ক্লদিয়া লেইট্টি, পিটবুল, থমাস ট্রোয়েলসেন, সিয়া ফুর্লার, লুকাস গটওয়াল্ড, হেনরি ওয়াল্টার ও নাদির খায়াত

ফুটবল: মারিয়ালা রোদোউইকজ
ফুটবল: মারিয়ালা রোদোউইকজ


ফুটবল: মারিয়ালা রোদোউইকজ (১৯৭৪)

১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসর বসেছিল তখনকার পশ্চিম জার্মানিতে। পোলিশ গায়িকা মারিয়ালা রোদোউইকজের গাওয়া ফুটবল গানটিকে বহুজাতিক গান বললে ভুল হবে না। পোলিশ, ইংরেজি, জার্মান, রুশ ও স্প্যানিশ ভাষার মিলমিশে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোনো গানে এত বেশি ভাষার ব্যবহার দেখা যায়নি। গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গীতিকার: জোনাজ কোফৎকা

গ্লোরি ল্যান্ড: ড্যারিয়েল হল ও সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস
গ্লোরি ল্যান্ড: ড্যারিয়েল হল ও সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস

১০
গ্লোরি ল্যান্ড: ড্যারিয়েল হল ও সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস (১৯৯৪)

একটি ধর্মীয় সংগীতের আবহে তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের গান। মার্কিন গায়ক ড্যারিয়েল হল ও বাদক দল ‘সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস’ মিলে তৈরি করে গানটি।

গীতিকার: চার্লি স্ক্যারবেক