দেশে দেশে অমলিন ফারাজ

ফারাজ আইয়াজ হোসেন
ফারাজ আইয়াজ হোসেন

ফারাজের আত্মত্যাগের ঘটনা দেশে-বিদেশে আলোচিত তো বটেই, সাড়া ফেলেছে নানাভাবে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার তখনো দুই বছর বাকি ছিল ফারাজ আইয়াজ হোসেনের। এর আগেই হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রয়াত শিক্ষার্থীকে ভোলেনি যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গয়জুয়েতা স্কুল অব বিজনেস। এ বছরের সমাবর্তনে একজন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বন্ধুত্বের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া ফারাজ আইয়াজ হোসেনকে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অবস্থিত খ্যাতনামা এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘ফারাজ হোসেন কোর ভ্যালু অ্যাওয়ার্ড’ নামে একটি পুরস্কারও প্রবর্তন করেছে। প্রথমবারের মতো পুরস্কারটি পেয়েছেন ভারতের গুরবানি সিং নামের এক শিক্ষার্থী।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মানবতার কল্যাণে অবদান রাখা মানুষের স্মৃতি রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও স্মৃতিফলক স্থাপন করে থাকে গার্ডেন অব দ্য রাইচাস ওয়ার্ল্ডওয়াইড বা গারিও। ইতালির মিলানভিত্তিক অলাভজনক সংগঠনটি ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই পাঁচজন ন্যায়নিষ্ঠ আরব ও মুসলিম ব্যক্তির স্মৃতির উদ্দেশে তিউনিসিয়ায় ইতালির দূতাবাসে ‘গার্ডেন অব দ্য রাইচাস’ বা ন্যায়নিষ্ঠদের জন্য স্মৃতি-উদ্যান স্থাপন করে। ওই উদ্যানে ফারাজের নামে স্মৃতিফলক ও একটি গাছ রোপণ করা হয়।

হোলি আর্টিজান বেকারির বিয়োগান্ত ঘটনার পর বিশ্বে ফারাজ এখন ‘বন্ধুত্বের’ অন্য নাম। বিপদে বন্ধুদের ছেড়ে না যাওয়ার অনন্য স্বীকৃতি হিসেবে ফারাজ হোসেনকে মাদার তেরেসা পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। ভারতের মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তাঁর মা সিমিন হোসেন ও বড় ভাই যারেফ আয়াত হোসেন।

সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাব ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি গত বছর ফারাজ চ্যালেঞ্জ কাপ নামে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়।

দেশে–বিদেশে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে ফারাজের স্মৃতি ধরে রাখতে বৃক্ষরোপণ, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি নানা কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে।