স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে রাজনীতি শুরু হচ্ছে। কমিটি করতে নির্দেশ দিছে, আপনার ছেলে না মাধ্যমিকে পড়ে? কমিটিতে জায়গা পাবে?
ওদের কইছি আমার পোলারে কমিটিতে রাখতে। টাকা যত লাগে আমি দিমু, কমিটিতে আমার পোলার পদ যেন মিস না হয়। নেতা হইতে পারি নাই, নেতার বাপ তো হইতে পারুম!
আমি স্কুলে থাকতে কমিটি দিলে আজকে আমি বড় নেতা হইতাম। স্কুলে থাকতে ক্লাস ক্যাপ্টেন আছিলাম, কতজনের টিফিন মাইরা খাইছি! টাকা নিয়া কত পোলাপানরে স্কুল পালাইতে দিতাম, স্যাররে কইতামও না।
ওর গল্প আর চরিত্র শুইনা আফসোস হইতাছে। ওর এই সব গুণের কারণেই সভাপতির পদ পাইত নিশ্চিত।
স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে কমিটি হবে। ছোট ভাইটা পড়ে ক্লাস ফোরে, প্রাইমারি স্কুলে কবে কমিটি দিব?
আপনি স্কুলে থাকতে রাজনীতি করার সুযোগ থাকলে সভাপতি পদে দাঁড়াইতেন। তো ভোট পাইতে কী কী প্রতিশ্রুতি দিতেন?
১. স্যার না থাকলে ক্লাসে কথা বললে বোর্ডে নাম লিখব না।
২. ফেসবুকে আমার পোস্টে লাইক-কমেন্ট করলে স্কুল পালালে স্যারকে বলব না।
৩. কঠিন পড়ার দিনে বেত লুকিয়ে রাখব।
প্রতিশ্রুতিগুলা তো ভালোই। এইগুলা আমার ছোট ভাইরে দিমু। তার ইশতেহারে অ্যাড করব। সে-ও কমিটিতে জায়গা পাইতে চায়। সঙ্গে এইটাও যোগ করতে কমু: ‘যারা আমাকে ভোট দেবে, আমি সভাপতি হলে তারা আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে অগ্রাধিকার পাবে।’
আরেকটা ইমপরট্যান্ট কথা বাদ গেছে। এটাও তার ইশতেহারে অ্যাড কইরো, ‘আমি সভাপতি হলে টিফিনের শিঙাড়ায় বাদাম থাকবে না।’