ট্রোজান
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য হাতিয়ে নিতে কাজ করে। একসময় পুরো কম্পিউটারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।
ভাই, বিশ্বাস করেন, পকেটে একটা ট্যাকাও নাই। সামনের মাসে ট্যাকাটা দিয়া দিমু, কসম!
মিছা কথা বইলা লাভ নাই। ট্রোজান হর্সে অ্যাটাক করছে আমারে। আপনার পকেটে যে তিন হাজার ট্যাকা আছে, এইটা আমি জানি।
রুটকিট
দূর থেকে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এতে অনেক সময় অদ্ভুত আচরণ করে কম্পিউটার।
আরে, করো কী! করো কী! বাঁয়ে তো খাদ, ওদিকে যাইতেছ কেন?
স্যার, রুটকিটে ধরছে! চাইতাছি বাঁয়ে যাইতে, কিন্তু কে জানি ডাইনে নিতাছে!
অ্যাডওয়্যার
খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও বিরক্তিকর তো বটেই। বলা নেই কওয়া নেই, যখন-তখন অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখায়।
ইশ্, লাইট এত কম! সেলফিটা ঝকঝকে আসবে না।
চিন্তা নেই! আছে ভুজুংভাজুং অ্যানার্জি সেভিং বাল্ব! কোম্পানির প্রচারের জন্য...
স্পাইওয়্যার
নাম যেমন, কাজও তেমন। ব্যবহারকারীর ওপর গোপনে নজর রাখে। ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করে দেয়।
এই তো সেদিন শীতার্তের জন্য আসা এক হাজার কম্বল মেরে দিলাম...হায় হায়, এই সব আমি কী কইতাছি!
ঘটনা কী?
স্পাইওয়্যারে অ্যাটাক করছে মনে হয়! সব গোপন কথা বাইর হয়া যাইতেছে।
কি-লগার্স
ব্যবহারকারী কি-বোর্ডে কোন বোতামটি চাপছে, তা বোঝার জন্য আড়ি পেতে থাকে। বিশেষ করে পাসওয়ার্ড চুরিতে ব্যবহার করা হয়।
বল্টু আবার আড়ি পাতছে। খবিস একটা!
কি-লগার্সে ধরছে
মনে হয়।
ওয়ার্ম
আক্রান্ত কম্পিউটারের ডেটা মুছে ফেলতে পারে।
আপা, আপনি
যেন কে?
ওরে, তোর বাবার এ কী হলো রে!
উফ্ মা, থামো তো! বাবাকে নিশ্চয়ই ওয়ার্ম ম্যালওয়্যার ধরেছে। অ্যান্টিভাইরাস দিচ্ছি, দাঁড়াও।
র্যানসমওয়্যার
কম্পিউটারের দরকারি ফাইলগুলো লক করে হ্যাকারকে মুক্তিপণ দাবি করার সুযোগ করে দেয়।
তোর অ্যাসাইনমেন্ট তুই কর, আমি পারব না!
দেখ, আমারে কিন্তু র্যানসমওয়্যারে ধরছে। বেশি তেড়িবেড়ি করলে গায়ে পানি ঢাইলা দিমু কইলাম!