নতুন লেখকের বিড়ম্বনা

সম্প্রতি রস‍+আলোর ‘পাঠক রস’ বিভাগে আমার তিনটা গল্প ছাপা হয়েছে। তারপর থেকে আমাকে এখন যে বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তার নমুনা দেখুন

১.

খাতায় অন্য কিছু লিখলেও বন্ধুরা মনে করে গল্প লিখছি!

: কিরে, কী লিখছিস, নতুন গল্প নাকি?

: না বন্ধু, বাজারের লিস্ট লিখছি...

: আরে, লুকাস কেন, দেখি না কেমন হইছে! ওহ্, আসলেই তো বাজারের লিস্ট...

২.

ল্যাপটপ নিয়ে বসলেও শান্তি নেই!

: কিরে, কিবোর্ডের উপ্রে এত চাপাচাপি কেন, এবার গল্প, উপন্যাস না মহাকাব্য?

: চ্যাট করছি রে...

৩.

বন্ধুরা মনে করে খাতা-কলম নিয়ে বসা মানেই গল্প লেখার আয়োজন!

: কিরে, খাতা-কলম নিয়া গুম মাইরা বইসা আছস কেন, নতুন গল্প নাকি?

: নারে, পাটিগণিত সলভ করছি।

৪.

গল্প লিখি বলে বন্ধুরা ভাবে আমি হঠাৎ করে বিশাল জ্ঞানী হয়ে গেছি!

: দোস্ত, ‘হীনমন্যতা’ শব্দের বানানটা বলবি একটু? তুই তো পত্রিকায় গল্পটল্প লিখিস, বানান সব নির্ভুল। বল না একটু।

৫.

উপুর হয়ে কোনো কাজ করলেই মনে করে কিছু লিখছি!

: কী করিস, গল্প লিখিস নাকি আবার?

: নারে, জুতার ফিতা লাগাচ্ছি।

৬.

একটু একা থাকলেই সেরেছে!

: দরজা আটকায়া কী করস? গল্প লিখিস নাকি?

: না বন্ধু, বাইরে ঠান্ডা বলে দরজা বন্ধ রাখছি।

৭.

ওয়াশরুমে একটু বেশি সময় কাটালেই হলো!

: কিরে, আধা ঘণ্টা হয়ে গেল, বের হবি না? কমোডের ওপর বইসা নতুন গল্পের আইডিয়া নিয়া ভাবতাছস নাকি?

: নারে দোস্ত, কোষ্ঠকাঠিন্য...