কুতিনহো ও ক্লপের ফোনালাপ

বন্ধু নেইমারের পাশেই নিজের নামটা লেখালেন ফিলিপে কুতিনহো। বয়সভিত্তিক ফুটবলের দুই সতীর্থই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই ফুটবলার। লিভারপুল থেকে ১৬০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সায় এসেছেন কুতিনহো। এ বিষয়ে কুতিনহোর সঙ্গে কী কথা হলো লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের? আড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করেছেন মাহবুব নাহিদ

কুতিনহো: হ্যালো, কে?

ক্লপ: কিরে, তুই আমার নম্বর ডিলিট কইরা দিছস নাকি?

কুতিনহো: আপনি কে, ভাই?

ক্লপ: ওই ব্যাটা, আমি তোর বাপেরও ভাই।

কুতিনহো: আচ্ছা, বুঝলাম। তো বলেন আপনে কে?

ক্লপ: আমি ক্লপ, ইয়ুর্গেন ক্লপ।

কুতিনহো: নাহ্! কলপ-কুলুপ-কাউকে আমি চিনি না।

ক্লপ: কুতিনহো, তুই আমারে চিনস না! আমি লিভারপুলের কোচ!

কুতিনহো: কোন পুল? সুইমিংপুল না খেলার পুল?

ক্লপ: তুই নাটক করস না? আগে বল বার্সায় গেলি ক্যান?

কুতিনহো: আমার বয়সে তো আমি দেখি নাই। আপনি দেখছেন, লিভারপুল কোনোদিন ট্রফি জিতছে?

ক্লপ: দেখ, তোরে আমি ভাই ভাবছিলাম। তুই গুটিবাজি করলি!

কুতিনহো: আমি আপনারে কাকা ভাবছিলাম।

ক্লপ: ওহ্! ব্রাজিলের প্লেয়ার কাকা! ভালো করছস।

কুতিনহো: আরে কাক্কু, কাউয়ার ডাক ‘কা কা’ ভাবছিলাম।

ক্লপ: ওই, তুই চইলা আয়। লিভারপুল এবার কাপ জিতব। আর তোরে তো ১০ নম্বর জার্সিও দেয় নাই।

কুতিনহো: কাপ আপনি জেতেন। চায়ের কাপ! কোনো সমস্যা নাই। আর হাতেম আলী ক্লাবেও ১০ নম্বর জার্সি আছে! পইরা কী লাভ?

ক্লপ: ঠিক আছে। ভালো থাক। পারলে আসিস।

কুতিনহো: কাক্কু, আমারে আর ফোন দিয়েন না। এরপর ফোন দিলে কিন্তু ব্লক মইরা দিমু।