শীতে উষ্ণতার সন্ধান পেতে...

এই শীতে উষ্ণতা পেতে কিছু উপায় মেনে চলুন। উপায়গুলো ভেবেছেন আশফাকুর রহমান

* নিয়মিত বই পড়ে হয়ে যান একজন আলোকিত মানুষ। যেখানে আছে আলো, সেখানেই আছে উষ্ণতা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আপনি আলোকিত মানুষ হলে শুধু যে আপনি নিজে উষ্ণতা উপভোগ করবেন তা নয়। আপনার আশপাশে যারা ঘোরাঘুরি করবে, তারাও পাবে উষ্ণতার পরশ। আপনি এটা জনস্বার্থে কিংবা ব্যবসায়িক স্বার্থেও ব্যবহার করতে পারবেন।

* নান্টু ঘটকই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি পোলা নয় বরং আগুনের গোলার সন্ধান জানেন। নান্টু ঘটককে সহনীয় মাত্রায় ঘুষ দিয়ে জেনে নিন ‘আগুনের গোলা’ কোথায় থাকে। তারপর সোজা চলে যান আগুনের গোলার কাছে। সেখানে তার কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিন এই শীতে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উষ্ণতা।

* খুঁজে খুঁজে অন্ধকার জায়গা বের করুন। যেহেতু প্রদীপের নিচেই থাকে অন্ধকার, সেহেতু আরেকটু কষ্ট করে খুঁজে দেখুন অন্ধকারের ওপর কোনো প্রদীপ পান কি না। প্রদীপ পেয়ে গেলে প্রদীপের আগুনে উষ্ণতা নিন। ভাগ্য ভালো থাকলে প্রদীপ ঘষে পেয়ে যেতে পারেন তিনটি ইচ্ছা পূরণকারী দৈত্যের সাক্ষাৎও।

* ঘরের মেঝে তৈরি করুন শুধু বালি দিয়ে। কিংবা বালির তৈরি বিছানায়ও আপনি ঘুমাতে পারেন। কারণ, প্রবাদ আছে, ‘সূর্যের চেয়ে বালি গরম’। সূর্যের চেয়ে গরম হওয়ায় বালির তৈরি বিছানা কিংবা ঘরের মেঝেতে আপনি এই শীতেও প্রবল উষ্ণতা পাবেন।

* প্রতিদিন ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশ সময় নিয়ে গোসল করুন। গোসল করবেন দুই বেলা, ভোরে ও সন্ধ্যায়। এতে করে একসময় না একসময় আপনি ঠিকই ঠান্ডা-জ্বর বাঁধিয়ে বসবেন। আর জ্বর হলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরের তাপমাত্রা যাবে বেড়ে। তখন বাইরে যত ঠান্ডাই পড়ুক, আপনি ঠিকই উষ্ণতা অনুভব করতে থাকবেন।

* রস+আলো পান সপ্তাহে মাত্র একটি। সেটাও আবার একবার পড়া হয়ে গেলে আর কোনো কাজে আসে না। বাসায় নিঃস্বার্থভাবে রস+আলোর স্তূপ না জমিয়ে সেগুলো পুড়িয়ে আগুন পোহাতে পারেন। এতে আপনি উষ্ণতা পাবেন, আবার জঞ্জালও কমবে। তবে রস+আলো পোড়ানো ছাই অবশ্যই যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।