গাছগুলো কাটাই উচিত...

>

ছবি: এহসান–উদ–দৌলা
ছবি: এহসান–উদ–দৌলা

যশোর রোডের শতবর্ষী গাছগুলো কাটা না-কাটা নিয়ে দেশ উত্তাল। আপাতত ছয় মাসের জন্য গাছগুলো কাটার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু ছয় মাস পরে হলেও গাছগুলো কেটে ফেলা উচিত। কারণ? বলছেন

১. গাছগুলো মোটেও স্বাস্থ্যসচেতন নয়। ডায়েট কন্ট্রোলে প্রবল অনীহার জন্যই হয়তো এদের ওজন এবং আয়তন বিশাল আকার ধারণ করেছে। আমরা জানি, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড় কিংবা সাইক্লোনে এই গাছগুলো যদি উপড়ে পড়ে, তাহলে এর দায় কে নেবে? চোখের সামনে মহিরুহগুলোকে বিপদের মুখে ঠেলে না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

২. গাছগুলো কাটা হলে সেগুলো নিশ্চয়ই অকারণে ফেলে রাখা হবে না। এগুলোর কাঠ দিয়ে তৈরি হবে কাঠ-পালঙ্ক, চেয়ার-টেবিলের মতো আসবাব। ফলে গাছগুলো কাটা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, কাঠ দিয়ে আসবাব তৈরি, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি কাজের ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

৩. গাছগুলো অনেক বছর ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। মন চাইলেও তারা ‘ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের উপরে/ একটি শিশিরবিন্দু’ দেখতে পারে না। গাছগুলো না পারলেও মানুষ পারে তাদের সাহায্য করতে পারে। গাছগুলো কেটে বিভিন্ন আসবাবে রূপান্তর করা হবে। গাছের একটা অংশ হয়তো টেবিল হিসেবে চলে যাবে চট্টগ্রামে, আরেকটা অংশ হয়তো খাট হিসেবে চলে যাবে ঢাকায়, অন্য একটা অংশ হয়তো চেয়ার হিসেবে অবস্থান করবে সিলেটে। এভাবে গাছগুলোর দেশ ভ্রমণের শখ পূর্ণ হবে। গাছগুলো কাটার পেছনে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

৪. গাছগুলোকে এই প্রবীণ বয়সেও দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়। শীতে প্রবল ঠান্ডা, গ্রীষ্মে তীব্র দাবদাহ আর বর্ষায় ভয়ংকর ঝড়-বাদল মোকাবিলা করে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। আমাদের ইতিহাসের অংশ এই গাছগুলোর জন্য নেই কোনো নিরাপদ আশ্রয়। তাই দ্রুতই গাছগুলো কেটে যশোর রোড থেকে সরিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ঘরবাড়ির আসবাব হিসেবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া উচিত।