সমালোচক মোরে করেছ মহান

রম্যগল্প লেখার পর
ভাই, এসব ফানটান বাদ দেন। জোর করে হাসানো আর কত? রম্যগল্প লিখে কেউ পাত্তা পাইছে, বলেন? সিরিয়াস কিছু লেখেন। মানুষ মনে রাখবে।

সিরিয়াস গল্প লেখার পর
ভাই রে, এটা গল্প না প্রবন্ধ? মাথার তারতুর তো ছিঁড়ে গেল! একটু সহজবোধ্য গল্প
লিখুন, প্লিজ!

হালকা গল্প লেখার পর
এসব গল্প আপনার স্ট্যাটাসের সঙ্গে যায় না, ভাই। জম্পেশ গোয়েন্দাগল্প লিখে ফেলুন।

গোয়েন্দাগল্প লেখার পর
খুন হইছে, এবার খুনি খুঁজতে নেমে পড়ো। ঘুরেফিরে ওই একই কাহিনি। বাদ দেন তো। তার বদলে শিশুদের জন্য কিছু লিখতে পারেন কি না, দেখেন।

ছোটদের গল্প লেখার পর
লিখলেন তো শিশুদের জন্য বই; কে কিনবে এসব? নিজের আত্মীয়স্বজন ছাড়া কেউ কিনবে? প্রেমে আসুন। তরুণ-তরুণীরা হুমড়ি খেয়ে পড়বে। রাতারাতি বিখ্যাত বনে যাবেন।

প্রেমের গল্প লেখার পর
সেই আদ্যিকাল থেকে যত গল্প পড়ছি তার সবকিছুতেই প্রেম আর প্রেম। প্রেমের বাইরে আপনারা আর কিছু ভাবতে পারেন না, নাকি? অসহ্য! অথচ কত জীবনঘনিষ্ঠ ইমোশনাল গল্পই না লেখা যায়! সব বয়সী পাবলিক এ ধরনের গল্প খায়।

ইমোশনাল গল্প লেখার পর
দু–একজন হয়তো গল্প পড়ে কান্নাকাটি করবে। কিন্তু ভাই, ছিঁচকাঁদুনে পাঠক বেশি পাবেন না। কান্নাকাটি করার জন্য কেউ বই পড়ে না। শিক্ষণীয় কিছু লেখেন।

শিক্ষণীয় গল্প লেখার পর
পাঠ্যপুস্তক আর আপনার বইয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকল না। মানুষ আনন্দ পাওয়ার জন্য বই পড়ে, শিক্ষার জন্য না। মানুষ আনন্দ পায়, এ রকম কিছু লেখেন।