বন্দুকযুদ্ধের আরও কিছু গল্প যা বলতে পারেন তাঁরা

>

কিছুদিন থেকে বেশ জোরেশোরে ঘন ঘন বজ্রপাত ও বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। বজ্রপাতের মধ্যে বৈচিত্র্য থাকলেও বন্দুকযুদ্ধের গল্প এখনো একই রকম আছে। গল্পটা আমরা সবাই জানি। তাই আর তা নতুন করে জানানোর প্রয়োজন নেই। এখন যা প্রয়োজন তা হলো কীভাবে আরও বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ করা যায় গল্পগুলো। কিছু আইডিয়া দিলেন আহমেদ খান

আঁকা: সালমান সাকিব শাহরিয়ার
আঁকা: সালমান সাকিব শাহরিয়ার

আক্ষরিক ক্রসফায়ার

যাহাই বন্দুকযুদ্ধ, তাহাই ক্রসফায়ার। ফলে গল্পটা হতে পারে এ রকম: ইংরেজি বর্ণ এক্স আকৃতির আগুন জ্বলছিল মাঠে। এক দিক থেকে পালিয়ে আসছিল অপরাধী। কে না জানে অপরাধীরা আসলে এই সমাজের কীট। মাঠের ভেতর আগুন জ্বলতে দেখে তাদের ভেতরের পতঙ্গভাব জেগে ওঠে। আর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুনের ভেতর। তারা ওই ক্রসফায়ারের ভেতর মারা যায়। মৃত্যুর পর প্রত্যেকের শরীর থেকে পাখা উদ্ধার করা হয়েছে।

সিনেমাটিক বন্দুকযুদ্ধ

‘মনের আগুন জ্বলে গো দ্বিগুণ, না পেলে তোমায় হব যে খুন’—এ রকম একটি গীতিনৃত্যের ভেতর হঠাৎই অপরাধী ঢুকে পড়ে পার্টিতে। নায়িকার সঙ্গে অপরাধীও গান গাইতে গাইতে নিজের ‘গান’ সম্পর্কে অসচেতন হয়ে পড়ে আর একসময় সেই গানের ট্রিগারে পড়ে যায় চাপ। গান গাইতে গাইতে নিজের গানেই বন্দুকযুদ্ধে পড়ে অপরাধী। পরে লাশের পকেট থেকে মার্ডার সিনেমার ডিভিডি উদ্ধার করা হয়।

কবিতা সিনড্রোম বন্দুকযুদ্ধ

অপরাধী দিব্যি ছিল খোশ হালে। কিন্তু একদিন সে জীবনানন্দ দাশের ‘আট বছর আগের একদিন’ কবিতাটা পড়ে ফেলে। ‘অর্থ নয় কীর্তি নয়... আরও এক বিপন্ন বিস্ময়’ পড়ার পর অপরাধীর ‘মরিবার হলো তার সাধ’। আমবাগানে গিয়ে প্রথমে সে নিজেকে ফায়ার করে, পরে রশির সঙ্গে নিজেকে ঝুলিয়ে দেয়। মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে গ্রেনেডসদৃশ কিছু কমলালেবু পাওয়া গেছে।