থিয়েটারে সুবাতাস আসুক

আজাদ আবুল কালাম ও আতাউর রহমান। ছবি: খালেদ সরকার
আজাদ আবুল কালাম ও আতাউর রহমান। ছবি: খালেদ সরকার

রুবাইয়াৎ আহমেদ: অগ্রজ-অনুজ হলেও আপনারা দুজনই মঞ্চ ও থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক দিন। কীভাবে থিয়েটারে যুক্ত হয়েছিলেন আপনারা, প্রসঙ্গটি জানতে চাওয়ার মাধ্যমে শুরু হতে পারে এ আলোচনা।

আতাউর রহমান: পরিবারে থিয়েটারের চর্চা ছিল। আমার বাবা সিরাজউদ্দৌলা নাটক করতেন। একসময় গান, চিত্রকলা, কবিতা লেখা—অনেক কিছুর চেষ্টা করেছি আমি। কিন্তু কোনোটাই হলো না ঠিকঠাক। তখন মনে হলো, অভিনয়টা বোধ হয় পারব। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তো, সেখানে পড়া অবস্থায়ই নাটকে ঢুকে যাই। পরে সব ছেড়েছুড়ে চাকরি নিলাম বিদেশি কোম্পানিতে। কোম্পানির চাকরি করি আর প্রেসক্লাবে এম আর আখতার মুকুল, ফয়েজ আহমদ ভাইদের সঙ্গে তাস খেলি। এভাবেই চলছিল। সে সময় নাট্যকলার ওপর এমএফএ করে জিয়া হায়দার সবে দেশে ফিরেছেন। একদিন আমাকে বললেন, আতাউর, আপনি তো নাটক করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইলপোস্ট অনুবাদও করেছেন। চলেন আমরা একটা নাটকের দল করি। ১৯৬৮ সালের শেষভাগে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হলো ফজলে লোহানীর বাসায়। তবে ’৭২ পর্যন্ত কোনো নাটক করতে পারিনি আমরা। আমরা জাঁ পল সাঁত্রের নো এক্সিট বা (বাংলায় দ্বাররুদ্ধ) ও নিকোলাই গোগলের দ্য ম্যারেজ অনুবাদ করলাম। বাংলা একাডেমি সেটা প্রকাশ করল। কিন্তু নাটক করতে পারলাম না। ফেরদৌসী মজুমদারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি খুব রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা অনুমতি দেবেন না। পরবর্তী সময়ে তাঁর ভাই মুনীর চৌধুরীর চেষ্টায় মঞ্চে এলেন তিনি। এল ১৯৭২ সাল। এরই মধ্যে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। মাইকেল মধুসূদন দত্তের বু সালিকের ঘাড়ে রোঁ আমাদের প্রথম মঞ্চ অভিযাত্রা। আলী যাকের অভিনয় করেছিলেন।

ঢাকা থিয়েটার প্রযোজিত হাত হদাই নাটকে িশমূল ইউসুফ ও রাইসুল ইসলাম আসাদ
ঢাকা থিয়েটার প্রযোজিত হাত হদাই নাটকে িশমূল ইউসুফ ও রাইসুল ইসলাম আসাদ

আজাদ আবুল কালাম: আমার নাটকে আসা ঘটনাচক্রে। কোনো সৃজনশীল কাজে যুক্ত হব—ছোটবেলায় এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা ছিল ন। একসময় লেখালেখির দিকে ঝোঁক তৈরি হলো। যখন কলেজে পড়ি, সে সময় থেকেই ছোটকাগজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি আর আমার বন্ধু মাসুদ আলী খান—দুজনে মিলে একটা সাহিত্য পত্রিকাও বের করলাম। মাসুদ ছিল এক বিস্ময়। সে কবিতা লিখত, গান লিখত। সুর করে আবার শোনাতও। ভীষণ মেধাবী ছিল। ওর ব্যক্তিত্ব আমার ভালো লাগত। ও তখন আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিন মহড়ায় যায় আর ফিরে এসে গল্প করে। যে ঘটনা ঘটেইনি, বানিয়ে বানিয়ে বলে সেসবও। তো, একদিন ওর সঙ্গে আরণ্যকে গেলাম। তখন সেখানে নাট্যকর্মশালা চলছিল। আমার একটা সমস্যা ছিল—মানুষের সঙ্গে বেশি কথা বলতাম না। ওখানে দেখলাম সবাই খুব কথা বলে। তো, কীভাবে যেন এক মাস যাওয়ার পর আমি আর গেলাম না আরণ্যকে। তখন নানকার পালা নাটকের প্রদর্শনী চলছিল। একদিন টিএসসিতে ঘুরছি আমি। হঠাৎ মনে হলো, কেউ আমার কান ধরেছে। তাকিয়ে দেখি, আব্দুল্লাহেল মাহমুদ। কান ধরেই তিনি আমায় বললেন, চল। নিয়ে গেলেন আরণ্যকের মহড়াকক্ষে। নির্দেশক মামুন ভাই (মামুনুর রশীদ)। সেই যে গেলাম, আর ফেরা হয়নি। টিএসসিতে দলের রুম ঝাড়ু দেওয়া, চা আনা—সবই করতে লাগলাম। একসময় দেখা গেল সব নাটকের সংলাপ আমার মুখস্থ। কিন্তু অভিনয় করতে পারি না। শুধু জানি, এখানে দাঁড়িয়ে এই কথা বলতে হবে, ওখানে দাঁড়িয়ে ওই কথা। কখনো অভিনেতা হতে চাইনি আমি। কিন্তু দেখা গেল, মাঝেমধ্যেই কারও বদলি চরিত্র (সাবস্টিটিউট) করতে হচ্ছে। এই করতে করতে একসময় ভাবলাম, একটা ভালো চরিত্র করতে পারা একটা উপন্যাস লেখার মতোই। কালোত্তীর্ণ কবিতা লেখা আর কোনো নাটকে ভালো অভিনয় করতে পারা একই ব্যাপার।

নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় প্রযোজিত অচলায়তন নাটকে আবুল হায়াত, খালেদ খান, জামালউদ্দীন হোসেন, লাকী ইনামসহ অন্যরা
নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় প্রযোজিত অচলায়তন নাটকে আবুল হায়াত, খালেদ খান, জামালউদ্দীন হোসেন, লাকী ইনামসহ অন্যরা

রুবাইয়াৎ: আতাউর রহমানের কাছে যেতে চাই এবার। নাটক বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন আপনি?

আতাউর: নাটক বা কোনো শিল্প জীবনের ছাপচিত্র নয়। ওয়েটিং ফর গডো যখন পড়লাম, কিছু বুঝি না। সবাই বলে, ‘ট্রাই অ্যাগেইন, ট্রাই অ্যাগেইন’। এভাবে বুঝতে শুরু করলাম। এরপর যখন একটা ভালো নাটক দেখি, ভেতরে কোথায় যেন একটা টঙ্কার ওঠে। শিল্প কখনো কলকবজা খুলে বোঝা যায় না। এ আপনাকে আভাস-ইঙ্গিত দেয় শুধু। এই ইঙ্গিতটাই শিল্প। অভিনয়ের সময় মঞ্চে এমন কিছু মুহূর্ত তৈরি হয়, তখন মনে হয় এ জন্যই বেঁচে ছিলাম, আমি যেন স্বর্গকে স্পর্শ করছি। যদি এর পরমুহূর্তে মারাও যাই, কিছুই আসবে-যাবে না।

আজাদ: এ প্রসঙ্গে একটু বলতে চাই। অভিনয়ের মুহূর্ত, যেখানে মনে হয় এ জন্যই বেঁচে ছিলাম—এটা আদতে অভিনেতার একধরনের রূপান্তর। তখন সে আর নিছক ব্যক্তিমানুষ থাকে না। আমি অনেক রুক্ষ মানুষ দেখেছি, মঞ্চে যখন অভিনয় করে, অন্য রকম হয়ে যায়। এই যে ব্যক্তিমানুষ—সে যখন মঞ্চে অভিনেতা হয়ে একটা চরিত্রে ঢুকে যাচ্ছে—কেউ তো চরিত্রে ঢুকতে পারে না আসলে। একটা সময় পর্যন্ত দ্বন্দ্ব থাকে। তবে কখনো কখনো এমন মুহূর্ত সৃষ্টি হয়, তখন কেবল মানুষ থাকে না সে। বিশাল উত্থান হয় তার, শিল্পী হয়ে ওঠে সে। আর এই ব্যাপারখানা যে সময় ঘটে, ওই মুহূর্তেই মনে হয়, না, অভিনয়ের ভেতরে একটা কিছু আছে। একসময় অভিনয়কে কঠিন মনে হতো আমার কাছে। কেন? বলছি। এর আগে আরেকটু বলে নিই। আমি প্রচুর বদলি চরিত্র করেছি মঞ্চে। তো নানকার পালার একটি চরিত্র করতে হবে, যেটা করতেন শামসুল আলম বকুল। কোনো কারণে বকুল ভাই প্রদর্শনী করতে পারবেন না বলে আমায় করতে হলো। মহড়ার জন্য সময় পেলাম চার দিন। সব সংলাপ মুখস্থ। কিন্তু মহড়া করতে গিয়ে মনে হলো, বকুল ভাই কি চরিত্রটার কোনো কিছু মিস করেছেন, নাকি আমি নতুন কিছু দেখতে পাচ্ছি? নির্দেশক ও সহ-অভিনেতাদের বলে রাখলাম, যা ভাবছি, ওই বিষয়টা আমি মঞ্চে চেষ্টা করে দেখব এবং নাটক মঞ্চায়নের সময় যখন চেষ্টাটা করলাম, দেখলাম বিষয়টা কাজ করছে, সত্যিই কাজ করছে। আমি নিজে বুঝতে পারলাম, সহ-অভিনেতারা বুঝতে পারল। বিষয়টা তেমন কিছু নয়। ওই চরিত্র কিছু কথা বলে এবং এই কথাগুলোর মাঝখানে একটা রোগ বা অসুস্থতার ইঙ্গিত রয়েছে—হাঁপানি। যারা এই রোগে ভোগে, তারা অক্সিজেন কম পায়। অভিনয়ের সময় আমিও চেষ্টা করলাম যেন অক্সিজেন কম নিতে হয়। যখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন নিচ্ছিলাম না, তখন দেখা গেল এক অদ্ভুত অসহায়ত্ব তৈরি হয়েছে; এবং এটা কাজ করছে অভিনয়ের দিক থেকে। সে মুহূর্তেই মনে হলো, অভিনয়কে যত ছোট ভাবতাম, ব্যাপারটা আদতে তা নয়।

রুবাইয়াৎ: আতাউর ভাইয়ের উদ্দেশে বলছি: আপনারা যখন নাট্যচর্চা শুরু করেন, তখনকার পরিস্থিতি বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা কেমন ছিল?

আতাউর: মূলত সদ্য স্বাধীন দেশ, স্বাধীনতা আমাদের বিরাট শক্তি জুগিয়ে ছিল। এই যে আমার দেশ, আমার করে পাওয়া, এ তো বাঁধভাঙা আনন্দের মতো। তখন আমরা—ঢাকা থিয়েটার, আরণ্যক, ঢাকা পদাতিক—এই দলগুলো মিলে নাট্যচর্চা শুরু করেছিলাম। মহিলা সমিতি, গাইড হাউস—এই দুই মঞ্চে অসাধারণ নাট্যকৃত্য করেছি আমরা। তখন এত দর্শক ছিল যে অনেকে টিকিট পেত না। সে সময় যানজট ছিল না, এত চ্যানেল ছিল না।

আজাদ: ওই সময় মঞ্চে বিপুল দর্শক হওয়ার পেছনে আরেকটা কারণ আছে। বিস্তর মানুষ যে একদা নাটক দেখতে যেত, এখন যায় না—এর নেপথ্যে শুধু এখনকার এত এত চ্যানেল বা যানজটই একমাত্র কারণ নয়। ওই সময় নাটকের উন্নত মান ছিল, আত্মনিবেদন ছিল এবং থিয়েটার দিচ্ছিল নতুন কিছু।

আতাউর: আজাদ আবুল কালামের সঙ্গে আমি একমত। রেনেসাঁ কিন্তু বারবার আসে না। তখন রেনেসাঁ ছিল। হয়তো ১০ বছর পর আবার আসবে। তখন িত্তনখোলা, কেরামতমঙ্গল, হাত হদাই নাটকের মধ্য দিয়ে সেলিম আল দীন বাঁধ ভাঙছেন। আর আমাদের দলটা ছিল সাহেব গ্রুপ। আমাদের নাট্যকার নেই। আমরা করি কোপেনিকের ক্যাপ্টেন, অচলায়তন। আরেকটা বিষয়, তখন আমাদের আড্ডায় চিত্রশিল্পী, লেখক ও অন্যান্য মাধ্যমের শিল্পীরা আসতেন। ফলে নানা মাধ্যমের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সুযোগ পেতাম আমরা। চারুশিল্প, কবিতা, চলচ্চিত্র—সবই বুঝতে হতো। যেকোনো শিল্প একা বাঁচতে পারে না। সে সময় শিল্পের নানা শাখা দারুণভাবে জীবনরসে সিক্ত করেছিল আমাদের। এখনকার কথা জানি না।

রুবাইয়াৎ: সেটা আমরা আজাদ আবুল কালামের কাছে শুনব। সেই সময় আর বর্তমান সময়—মঞ্চনাটকের এই দুই সময়কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আজাদ: হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধের পর থিয়েটারে নতুন কিছু করার তাগিদ ছিল। তবে প্রথম দিকে তাঁরা কাজ করেছেন বিষয় নিয়ে। তাঁরা অসাধ্য সাধন করেছিলেন। দর্শকের রুচি তৈরি করতে পেরেছিলেন—ঢাকা থিয়েটার আরণ্যক, নাগরিক। তবে আতাউর ভাই যে রেনেসাঁর কথা বললেন, রেনেসাঁ কিন্তু সেভাবে হয়নি। তাঁদের সময়ে লোকজন কম ছিল কিন্তু পারস্পরিক জানাশোনাটা ছিল। দর্শক অভিনেতাকে চেনে, অভিনেতা লেখককে—এভাবে সবাই ছিলেন এক শেকলের মধ্যে। আমাদের সময়ে আমাদের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছে বিশ্বায়ন। মুক্তবাজারের ফলে সবাই প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গেল। এভাবে সবাই বিখ্যাত হওয়ার নেশায় ছুটছে। এই বাস্তবতা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে পা পিছলানোর আশঙ্কা প্রবল। পিছলেছেও। অনেক টোপ ছিল। না, টোপগুলো আসতে হয়নি। আমরাই গিলেছি। এভাবে আমরা সরে এসেছি। এখনো যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমাদের থিয়েটারে নেতৃত্ব কারা দিচ্ছেন? সেই তো মামুনুর রশীদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ—অর্থাৎ পুরোনোরাই।

রুবাইয়াৎ: মুক্তবাজার অর্থনীতির পাশাপাশি রাজনীতি কি ভূমিকা রাখেনি?

আজাদ: রাজনীতি সব সময় ছিলই। রাজনীতি তো আমাদের বলেনি, ভালো নাটক কোরো না। আমাদের লোভ আমাদের থিয়েটারের ক্ষতি করেছে। বিশ্বায়ন, মুক্তবাজার অর্থনীতি আর সংস্কৃতিতে রাজনীতিকীকরণ হয়েছে বিপুলভাবে। যেমন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যখন প্রথম তৈরি হয়, সে সময় এর আলাদা একটা চেহারা ছিল—সংস্কৃতি ছিল মূল। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এখন আমি যদি বলি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থাকতে চাইছে, তাদের আশীর্বাদ চাইছে। আশীর্বাদ নিতে হলে মাথা তো নোয়াতেই হয়।

আতাউর: সেটা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও হচ্ছে।

আজাদ: এতে করে আমাদের মুক্তমন কিংবা আমাদের মুখ ও চোখের সামনে ফিল্টার লাগাতে হচ্ছে। কারণ, আমি অনুগ্রহ চাই।

রুবাইয়াৎ: থিয়েটারে পেশাদারির বিষয়ে কথা উঠেছে বেশ কিছুদিন ধরে। কী বলবেন এ নিয়ে?

আজাদ: পেশাদারি থিয়েটার কয়টা আছে? বাণিজ্যিক থিয়েটার আছে। ব্যবসা বলতে গেলে আলাদা কথা। ভারতে যেমন বেতন দিচ্ছে শিল্পীদের।

রুবাইয়াৎ: থিয়েটারকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা বলছি।

আজাদ: সেটা কখনো ছিল না।

রুবাইয়াৎ: তাই কি?

আজাদ: হাসপাতাল যেমন সরকার চালায়, থিয়েটারও সরকারের চালানো উচিত। কারণ, এটাও একটা সেবা।

রুবাইয়াৎ: সরকারের ভর্তুকি বা যা-ই বলি না কেন, এটা প্রয়োজন।

আজাদ: অবশ্যই। আমার বেতন হওয়া উচিত ১০ লাখ টাকা।

আতাউর: অন্য দেশে জন্মালে বছরে দুই নাটকের টাকায় আমার চলে যেত। নাটক বা থিয়েটার জাতির চেহারা তুলে ধরে। এটা গৌরবের জায়গা।

রুবাইয়াৎ: এই যে পরিস্থিতির কথা বললেন, তা বাস্তবে ঘটানোর জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন আপনারা?

আজাদ: নিয়েছি, নিচ্ছি।

আতাউর: চেষ্টা করছি। যেমন সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পয়সা দিয়েছিল রবীন্দ্রসার্ধশতবর্ষে নাটক করা জন্য। এককালীন। চেষ্টা চালাচ্ছি যে ভারতের মতো করে শিল্পীদের মাসোহারার ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না। আমরা নতুন সময়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।