ইতিহাস গড়া হলো না সাবিনাদের

মেয়েদের সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ছবি- বাফুফে।
মেয়েদের সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ছবি- বাফুফে।

ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফের ফাইনালে উঠেও স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পুড়লেন সাবিনা, কৃষ্ণারা। আজ শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সাফ শিরোপা জিতল ভারত। 

এমনিতেই বয়স, অভিজ্ঞতা- সব দিক দিয়ে এগিয়ে ভারতের মেয়েরা। তারপরও কমলা দেবী, বালা দেবীদের সঙ্গে মাঠের খেলায় সমান তালেই লড়ে গেছে বাংলাদেশের সাবিনা, স্বপ্নারা।
স্টেডিয়ামে এসেছিল স্থানীয় প্রায় হাজার পাঁচেক দর্শক। তাদের হাতে ছিল বাশি, গলায় ছিল উৎসাহ জোগানো চিৎকার। অথচ বাংলাদেশকে সমর্থন জোগাতে ফুটবল ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তাকেই দেখা গেল মাঠে! এমনকি সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও পাশের দেশে মেয়েদের উৎসাহ জোগাতে আসেননি।
ম্যাচের ১২ মিনিটে রক্ষণের ভুলে প্রথমে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আসা ভারতের আক্রমণ সামলাতে পারেননি ডিফেন্ডারদের কেউ। গোলরক্ষক সাবিনা জায়গা ছেড়ে বল ধরতে এগিয়ে আসেন। ওই বলটিই কেড়ে নিয়ে দাংমেই গ্রেস গোলে শট নেন। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত।
তবে গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফেরে বাংলাদেশের। ৩৮ মিনিটেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ সিরাত জাহান স্বপ্নার গোলে। ডান প্রান্ত দিয়ে প্রতি আক্রমণে যায় বাংলাদেশ, সাবিনার পাস থেকে কোনাকুনি গড়ানো শটে ১-১ স্কোর করেন স্বপ্না।
ম্যাচের বিরতির পরও দুর্দান্তই খেলছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সর্বনাশটা করে বসেন নার্গিস। বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া বালাদেবীকে ফেলে দেন তিনি। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোর ২-১ করেন সুস্মিতা মালিক। এই গোলেই যেন ম্যাচটিও হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। ৬৭ মিনিটে হাস্যকরভাবে গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। মাঝ মাঠ থেকে ইন্দু মতির শটটি জায়গায় দাঁড়িয়ে চাইলেই ধরতে পারতেন সাবিনা। কিন্তু অহেতুক জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসায় বলটি মাথার ওপর দিয়ে আস্তে আস্তে ঢুকে গেল জালে।
বাকি সময়ে অবশ্য আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছে ভারত। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি। তবে চমৎকার ফুটবল খেলে মাঠের দর্শকদের অভিনন্দন কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ দল: সাবিনা আক্তার, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, নার্গিস খাতুন, মাসুরা পারভীন, মাইনু মারমা, জাহান মৌসুমী (আনুচিং), সিরাত জাহান স্বপ্না, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার (মার্জিয়া), মারিয়া মান্দা।