অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনি

বছর দুয়েক আগের এক ডিসেম্বরে মহেন্দ্র সিং ধোনি এভাবেই চমকে দিয়েছিলেন অনেককে। অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের মাঝখানে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন, ঘোষণা দিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকেই অবসরের। কোনো বিদায়ী টেস্ট, বিদায়ী ভাষণ কিংবা বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনেরও সুযোগ দেননি!
এবারের ঘোষণাটা এত বড় না হলেও কিছুটা তো চমক হয়েই এসেছে। তাঁর নেতৃত্বেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা ভারতের। সেই সিরিজ শুরুর দিন দশেক আগে কাল ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়ে দিলেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও আর অধিনায়কত্ব করবেন না!
তবে নেতৃত্ব ছাড়লেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনই অবসর নিচ্ছেন না ধোনি। কাল বিসিসিআইয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে পাওয়া যাবে। ধোনির এই সিদ্ধান্তটা জাতীয় দলের নির্বাচকদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা ভারতীয় ক্রিকেটে অক্ষয় হয়ে থাকবে। বিসিসিআই এবং ভারতের ক্রিকেটভক্তদের পক্ষ থেকে ধোনিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সব ধরনের সংস্করণেই ধোনি ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক। তাঁর হাত ধরেই টেস্টের এক নম্বর হয়েছিল ভারত। ধোনির নেতৃত্বেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট থেকে ধোনির অবসরের পর বিরাট কোহলি সাদা পোশাকে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। টেস্টে কোহলির নেতৃত্বে দলের একের পর এক সাফল্যে তিন সংস্করণেই তাঁকে অধিনায়ক করার দাবিও উঠছিল বিভিন্ন দিক থেকে। ধোনি সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় এবার সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক ধোনি
ম্যাচ জয় হার টাই/পরি. সাফল্যের হার
ওয়ানডে ১৯৯ ১১০ ৭৪ ৪/১১ ৫৯.৫৭
টি-টোয়েন্টি ৭২ ৪১ ২৮ ১/২ ৫৯.২৮