অভিষেকে খুশি নুরুল হাসান

ক্রাইস্টচার্চ থেকে সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু নিয়েই ফিরতে চান নুরুল। ছবি: বিসিবি।
ক্রাইস্টচার্চ থেকে সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু নিয়েই ফিরতে চান নুরুল। ছবি: বিসিবি।

৪৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪১.৮১ গড়ে প্রায় আড়াই হাজার রান। ১৩টি ফিফটি আর ৫টি সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস অপরাজিত ১৮২ রানের। এমন একজন ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক মানেই সম্ভাবনাময় কিছু। ক্রাইস্টচার্চে নিজের প্রথম টেস্টে সে সম্ভাবনা কি দেখাতে পারলেন নুরুল হাসান?
তিন রানের জন্য অভিষেক টেস্টে ফিফটি করতে পারেননি। তবে ১৭৩ মিনিট উইকেটে থেকে ৯৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস জানিয়ে দিয়েছে যথেষ্ট পরিণত হয়েই নুরুল পা রেখেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আঙিনায়। প্রথম টেস্ট খেলতে নামা আরেক ক্রিকেটার নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে তাঁর ৫৩ রানের জুটিতে মনেই হয়নি হ্যাগলি ওভালে তখন দুই প্রান্তে দুজন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান। উইকেটের পেছনেও এর মধ্যেই দুটি ক্যাচ নিয়েছেন নুরুল হাসান। দলের অবস্থাও যথেষ্ট ভালো। সব মিলিয়ে অভিষেক টেস্টটা এখন পর্যন্ত ভালোই কেটেছে নুরুল হাসানের।
বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পর হ্যাগলি ওভালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ২১ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে টেস্ট খেলতে নেমে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক তিনি, ‘অভিষেক টেস্টটা আল্লাহর রহমতে ভালোই হচ্ছে। টেস্টের আরও দুই দিন বাকি আছে; দল হিসেবে ভালো খেলতে পারলে ইনশা আল্লাহ ভালো ফল হবে। দুই দিনে অনেক কিছুই সম্ভব। আমরা অন্তত ইতিবাচকভাবেই চিন্তা করছি।’
অভিষেক ম্যাচের রোমাঞ্চ সবার মধ্যেই থাকে, ছিল নুরুল হাসানের মধ্যেও। তবে মাঠে নামার পর সব উধাও। শুধু খেলার চিন্তাই নাকি ছিল তখন মাথায়, ‘মাঠে নামার পর আর কিছু চিন্তা করিনি। স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। আমাদের কন্ডিশনের চেয়ে এখানে উইকেট একটু ভিন্ন। ওদের ওয়ানডের উইকেটের চেয়েও টেস্ট ম্যাচের উইকেট ভিন্ন। একটু দেখেশুনে খেলার ইচ্ছা ছিল, যেন সময় নিয়ে খেলতে পারি।’
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে একটু মারমুখী ব্যাটিং পছন্দ নুরুল হাসানের। টেস্টে সেভাবে খেলার সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই সংকুচিত হয়ে আসে। তবু মারার বলে মারাটাই দর্শন এই তরুণের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সেভাবে খেলেই ভালো কয়েকটি ইনিংস আছে তাঁর। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও খেলেছেন সেভাবেই, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি এখানে। তবে কন্ডিশনের কারণে টেকনিক কিছুটা পরিবর্তন করে ব্যাটিং করেছি।’
অভিষেকটা এখন পর্যন্ত ভালো। বাকি দুটি দিন ভালো কাটলে ক্রাইস্টচার্চ থেকে সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু নিয়েই দেশে ফিরতে পারবেন তিনি।