অস্ট্রেলিয়াও পারেনি সেটাই করতে হবে পাকিস্তানকে!

ওয়ার্নারের ব্যাটে রানের ফোয়ারা যেন থামছেই না। ছবি: এএফপি
ওয়ার্নারের ব্যাটে রানের ফোয়ারা যেন থামছেই না। ছবি: এএফপি

জিততে হলে করতে হবে অসাধ্যসাধন! যে কাজটি অস্ট্রেলিয়াও পারেনি, পাকিস্তানকে করতে হবে সেটাই। জয়ের লক্ষ্য ৩৫৪। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩৫০ তাড়া করে কেউই জেতেনি। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি ৩৩৪ রানের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বছর অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩১ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় ৩৩০ তাড়া করে জেতার রেকর্ডও এই দুটি।
কাজটা কত কঠিন, সেটা রেকর্ডই বলছে। তবে কেউ পারেনি বলে ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না, তা তো নয়। পাকিস্তান অবশ্য ভালোই ছুটছিল। ৩ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১৮৩ রান। ৪০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৬ উইকেটে ২৪২। শেষ ১০ ওভারে ১১২ রান তুলতে হবে তাদের।
অস্ট্রেলিয়াকে রানের পাহাড়ে চড়িয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করেই চলেছেন এই বাঁ হাতি। শুরুটা হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারিতে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে সেই রান-বসন্ত যেন চলছেই। গত বছরই করেছিলেন সাতটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
এই বছরটা অবশ্য শুরু হলো একটু অন্যভাবে। টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম তিন ওয়ানডেতে রান পাননি। তবে চতুর্থ ম্যাচেই আবার জ্বলে উঠল তাঁর ব্যাট। বিধ্বংসী এই ওপেনারের ১১৯ বলে খেললেন ১৩০ রানের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে স্মিথ করেছেন ৪৯ রান। ৩৬ বলে ৫১ রান করেছেন হেড। আর ৪৪ বল খেলে ম্যাক্সওয়েলের রান ৭৮। সব মিলে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান করে স্বগতিকেরা।

ওয়ার্নারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারটাকে সহজেই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। প্রথম অধ্যায় ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে। অভিষেকের পর প্রথম ছয় বছরে ৬৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। করেছেন মাত্র ৪টি সেঞ্চুরি। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ২২ ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরি ৮টি। এই সময়ে ৬০.৬১ গড়ে করেছেন ১৫৭৬ রান। যেখানে তাঁর ক্যারিয়ার গড় ৪৩.২৯। মোট রান ৩ হাজার ৭৬৭।
অস্ট্রেলিয়ার রান-উৎসবের অসহায় হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র হাসান আলি। ৫২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৫ উইকেট পেলেন এই পেসার। সূত্র: ক্রিকইনফো।