সাফল্য পেতে বিশ্রী হেয়ারস্টাইল বাদ দিতে হবে পগবাকে!

হেয়ারস্টাইল নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধের পরামর্শ পগবাকে। ছবি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
হেয়ারস্টাইল নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধের পরামর্শ পগবাকে। ছবি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

হেয়ারস্টাইলের সঙ্গেও তাহলে সাফল্যের যোগসূত্র আছে! এই যে লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা এত দুর্দান্ত খেলেন, এত এত গোল করেন, সেটা কি তাহলে তাঁদের চুলের স্টাইলের কারণে? ওয়ারেন জয়েসের কথা শুনলে তা-ই মনে হবে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব উইগানের এই কোচ পল পগবাকে পরামর্শ দিয়েছেন—সাফল্য পেতে হলে নাকি আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডারকে বিশ্রীভাবে চুল কাটা বন্ধ করতে হবে! 

কিন্তু জয়েসই–বা হঠাৎ কেন খেপলেন পগবার ওপর। ইউনাইটেডের এই ফরাসি মিডফিল্ডার ভালো খেললে তাঁর কী যায়-আসে? আসলে কথাটা হয়তো বলেছেন স্নেহ থেকেই। ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ইউনাইটেডের যুব দলে খেলেছেন পগবা। ওই সময় তাঁর কোচ ছিলেন ওয়ারেন জয়েস। দুজনের সম্পর্কটা তাই গুরু-শিষ্যের মতোই। যুবদল থেকে এক বছর মূল দলে খেলে তারপর পগবা পাড়ি জমিয়েছিলেন জুভেন্টাসে। সেখানে চার মৌসুম কাটিয়ে গত বছর বিশ্ব রেকর্ড গড়া ট্রান্সফার ফি নিয়ে আবার ইউনাইটেডে।
ঠিকানা বদলেছে জয়েসেরও। ইউনাইটেডের যুব দলের চাকরি ছেড়ে গত বছর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন উইগানের। বাহারি চুলের পগবাকে তাই নিয়মিতই দেখছেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসার পর থেকেই পগবাকে নিয়ে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারবেন ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার? হতে পারবেন বিশ্বসেরা? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁরই সাবেক কোচ জয়েসকে। উইগান কোচ সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘এটা ওর ওপরই নির্ভর করছে। নির্ভর করছে সে এভাবেই বিশ্রী হেয়ারস্টাইল করে যায় কি না কিংবা মাঠের বাইরে নাটক করে বেড়ায় কি না, তার ওপর। কী করা উচিত বা উচিত না, সেটা তো তার জানার কথা। আমি কোনো দিন পল স্কোলস বা রায়ান গিগসকে দেখিনি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে।’
পগবা কি শুনবেন তাঁর একসময়ের কোচের কথা?