বেটিসে আটকা পড়ল বার্সা

ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মেসি-পিকেদের। ছবি: রয়টার্স।
ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মেসি-পিকেদের। ছবি: রয়টার্স।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজবে বাজবে করছে। তখনই প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে সুবিধামতো একটা বল পেয়ে গেলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু পা পেছনে নিয়ে গোলা পাঠানোর আগেই রেফারির বাঁশি—হ্যান্ড বল! এরপরই শেষ বাঁশি বেজে উঠল, নাটকীয় জয় পেতে পেতেও পেল না বার্সেলোনা। রিয়াল বেটিসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে লিগের শীর্ষেও ওঠা হলো না তাদের।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তের নাটকটা পূর্ণতা পেলে অবশ্য অন্যায় হতো বেটিসের সঙ্গে। এ ম্যাচে পরাজয়টা তাদের প্রাপ্য হতো না। ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাগতিক দল। প্রথম মিনিটেই ডানি সেবায়োসের শট বুঝিয়ে দেয়, আজ বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলবে না বেটিস। তাই বেটিস গোলকিপার আদানের চেয়ে মার্ক টার স্টেগেনকেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হলো। পুরো ম্যাচে বেটিস শট নিয়েছে ১৭ টি। সে তুলনায় মাত্র ১০ বার শট নিয়েছেন বার্সা ফরোয়ার্ডরা। রুবেন কাস্ত্রো, অ্যালেক্স অ্যালেগ্রিয়া ও সেবায়োসের শটগুলো কখনো স্বস্তি পেতে দেয়নি বার্সাকে। সে তুলনায় মেসি, সুয়ারেজ কিংবা নেইমার বল দখলেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা খেলায় ফিরলেও পাল্টা আক্রমণে ভয় জাগাচ্ছিল বেটিসই। ৭০ মিনিটে সেবায়োসের শট বারে না লাগলে তো তখনই এগিয়ে যায় বেটিস। ৭৩ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্য সঙ্গী বেটিসের। এবার কাস্ত্রোর শট লাগে পোস্টে। তবে ২ মিনিট পরই আর কোনো দুর্ভাগ্য বাধা হতে পারল না। কর্নার থেকে উড়া আসা বল হেড করে অ্যালেগ্রিয়ার পায়ে দেন রায়ান ডঙ্ক। ডান পায়ের শটে বেটিসকে এগিয়ে দিলেন অ্যালেগ্রিয়া।
৭৭ মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারত বার্সা। আন্দ্রে গোমেসের শটটা গোল যখন হয়েই যাচ্ছে, ঠিক তখনই আইসা মেন্দির অবিশ্বাস্যভাবে গোল লাইন সেভ। পরের মিনিটেই আবারও মেন্দিকে পা বাড়াতে হলো। অ্যালেক্সিস ভিদালের শট ফেরাতে গিয়ে উল্টো জালে জড়িয়ে দিচ্ছিলেন পাতসেয়ো। সমতায় বার্সা—এমনটা মনে হতে হতেই আবারও মেন্দি-বাধায় এগিয়ে রইল বেটিস।
হার নিয়েই যখন বার্সার মাঠ ছাড়ার অপেক্ষা, তখনই ভুল করল বেটিস। নিজেদের রক্ষণে বল কাটাতে গিয়ে মেসির পায়ে বল তুলে দিল। মেসির পাস থেকে সুয়ারেজের গোলে সমতায় ফিরল কাতালানরা।
এ ড্রয়ের পর লিগে দুইয়ে চলে এসেছে বার্সা। তবে আজ রাতে সেভিয়া না হারলেই আবারও তিনে চলে যাবে বার্সেলোনা। আর রিয়াল মাদ্রিদ তো দুই ম্যাচ কম খেলেই ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে।