শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৫ রানে জিতল ভারত

শেষ ওভারের প্রথম বলে রুট আউট হওয়াতেই সর্বনাশ হলো ইংল্যান্ডের। ছবি: এএফপি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে রুট আউট হওয়াতেই সর্বনাশ হলো ইংল্যান্ডের। ছবি: এএফপি।

সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিটা ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হেরেছিল ভারত। কালও ফর্ম খুঁজে পাননি ভারতের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান। ব্যাটসম্যানদের সে ব্যর্থতায় সিরিজ খুইয়ে বসার শঙ্কায় ছিল ভারত। তবে দারুণ বোলিংয়ে সেই শঙ্কাটা কাটিয়ে ফেলল বিরাট কোহলির দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে সমতা ফিরিয়েছে সিরিজে।

বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের উদ্বোধনী জুটিটা ভালো শুরু এনে দিয়েছেন। কিন্তু ১৫ বলে ২১ রান করে কোহলি আউট হতেই তাসের ঘর ভারতের ইনিংস। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে রাহুল দেখলেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিংরা উইকেটে এসে শুধু বল নষ্টই করেছেন। রাহুল ৪৭ বলে ৭১ রানের ইনিংসটা না খেললে কাল ভারতকে বড় লজ্জাই পেতে হতো। মনীশ পান্ডেই (৩০) শুধু একটু সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু তাঁর ২৬ বলের ইনিংসটা দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেনি। মাত্র তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছোঁয়ায় ১৪৪ রানে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে।
তাড়া করতে নেমে বিপাকে পড়েছিল ইংল্যান্ডও। আশিস নেহরার পর পর দুই বলে দুই ওপেনার ফিরেছেন। ১১তম ওভারের প্রথম বলে থিতু হওয়া এউইন মরগানকে আউট করে ভারতকে আশা দেখিয়েছেন অমিত মিশ্র। কিন্তু এক বল পরেই হতাশ করেছেন এই লেগ স্পিনার। তৃতীয় বলে বেন স্টোকসকেও বোল্ড করে দিয়েছিলেন মিশ্র। কিন্তু স্টোকস প্যাভিলিয়নমুখী হাঁটা দেওয়ার আগেই তাঁকে থামিয়ে দিলেন আম্পায়ার, নো বল! জীবন ফিরে পেয়ে ২৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন স্টোকস। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টোকস যখন আউট হলেন, জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল তখনো ২৮ রান।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হলেন ৩৮ রান করা রুট। তার তিন বল পর ফিরে গেলেন জস বাটলারও (১৫)। শেষ দুই বলে সমীকরণটা দাঁড়ায় ৭ রান। কিন্তু মঈন আলী ও ক্রিস জর্ডানের পক্ষে সেটি সম্ভব হলো না। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বুমরা। আগের ওভারেই দিয়েছিলেন ৩ রান। আর শেষ ওভারে এমন স্নায়ুর চাপের মধ্যেও দিলেন মাত্র ২ রান! স্টার স্পোর্টস।