শুরুতেই ঢাকা আবাহনীর হার

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচও দেখা পেল না দর্শকের। প্রায় শূন্য গ্যালারির সামনে উদ্বোধন শেষে পরের ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর খেলা দেখতে কিছু দর্শক প্রত্যাশা করেছিলেন আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর এক পরিচালক। সময়ের সঙ্গে তাঁর হতাশা নিশ্চয়ই বেড়েছে। হেরেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী, তাদের ০-১ গোলের পরাজয়ের সাক্ষী হলেন হাজারখানেক দর্শক।

মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ১৬ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আকাশি-নীল শিবির। ডান প্রান্ত থেকে ফারাহ আহমেদের ক্রস পড়ে বক্সে। ইব্রাহিম মাহমুদি তীব্র শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে।

পিছিয়ে পড়া আবাহনী পুরো ম্যাচে গোলের সাত-আটটি সুযোগ নষ্ট করেছে। ৩৭ মিনিটে জোনাথন ডেভিড ব্রাউন ডান দিক থেকে ডি-বক্সে ক্রস করেছিলেন। এমেকা ডার্লিংটন তাতে পা লাগাতে ব্যর্থ হন। দুই মিনিট পর জুয়েল রানার ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি জোনাথন। তবে ৪২ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে জোনাথন মাথা ছোঁয়ালেও বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারও মুহুর্মুহু আক্রমণ করে আবাহনী। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। ৭১ মিনিটে ওয়ালীর কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন এমেকা। ৮১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনও গোল করতে ব্যর্থ হন।

অবশ্য পাল্টা আক্রমণে দুবার গোল খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে আবাহনী। ৫৭ মিনিটে ম্যাচসেরা ওই ইব্রাহিম মাহমুদির শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম।

হেরে গিয়ে আবাহনী কোচ দ্রাগো মামিচের মন খারাপ। তবে কৃতিত্ব দিলেন তিনি প্রতিপক্ষকে, ‘মালদ্বীপের এই দলটি খুবই ভালো ফুটবল খেলে। ভালো দল। আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু ফিটনেসের কিছুটা ঘাটতি ছিল আমাদের।’

ঢাকা আবাহনী: শহীদুল আলম (গোলরক্ষক), আরিফুল ইসলাম, ওয়ালী ফয়সাল, তপু বর্মণ, ইমন মাহমুদ (সাদ উদ্দিন), জুয়েল রানা (হেমন্ত ভিনসেন্ট), শাহেদুল আলম (নাবিব নেওয়াজ), জোনাথন ডেভিড, সাইমন, ইয়াছিন খান, এমেকা ডার্লিংটন।