টিকে রইল আবাহনী

ড্র করে ​সেমিফাইনালের আশা বাঁচাল ঢাকা আবাহনী। ছবি: বাফুফে
ড্র করে ​সেমিফাইনালের আশা বাঁচাল ঢাকা আবাহনী। ছবি: বাফুফে

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের কাছে হেরে বেকায়দায় পড়ে গেছে ঢাকা আবাহনী। টিকে থাকতে হলে দক্ষিণ কোরিয়ার শক্তিশালী এফসি পোচনের বিপক্ষে হারটা এড়াতেই হতো আবাহনীকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা এই ম্যাচে হারেনি। চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার এই ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে।
প্রতিযোগিতা থেকে এখনো বাদ পড়ে যায়নি আবাহনী। তবে সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের এফসি আলগার সঙ্গে টিসির ম্যাচেই পরিষ্কার হয়ে যাবে অনেক কিছু। প্রথম ম্যাচে জয়ী মালদ্বীপের ক্লাবটি সেমিফাইনালের দৌড়ে আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে আছে অনেকটাই। আলগার বিপক্ষে জিতলে টিসি সরাসরিই চলে যাবে সেমিফাইনালে। ড্র করলেও এগিয়ে থাকবে তারা। এই মুহূর্তে পোচনের পয়েন্ট ৪, টিসির ৩। আজকের ড্রয়ে আবাহনীর সংগ্রহে যোগ হয়েছে একটি পয়েন্ট। আলগা এখনো পয়েন্টের খাতা খোলেনি। আবাহনীর আশার জায়গা এই আলগাই। শেষ ম্যাচে আলগাকে হারালে হিসেবটা জটিল করে তুলতে পারবে ঢাকার জায়ান্টরা।
পোচনের বিপক্ষে আবাহনী খুব খারাপ করেনি। বরং এই ম্যাচে দুর্ভাগ্য পিছু নিয়েছিল আবাহনীর। বেশ কয়েকবার দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাবটির রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন আবাহনীর জোনাথন, এমেকা ডার্লিংটন কিংবা জুয়েল রানারা। তবে কিছুটা রক্ষণাত্মক আবাহনীর সীমানায় আধিপত্যটা কিন্তু ছিল পোচনেরই। প্রথমার্ধে আবাহনীর গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল কয়েকটি সুযোগ প্রতিহত করেন। প্রথমার্ধে ম্যাচের সবচেয়ে সেরা সুযোগটা কিন্তু পেয়েছিল আবাহনীই। যোগ করা সময়ে জোনাথন ডেভিডের ক্রস থেকে এমেকা ডার্লিংটনের হেড পোচনের গোলকিপার পরাস্ত হলেও বল কীভাবে যেন তাঁর মাথায় লেগে প্রতিহত হয়। ৭ মিনিটে জোনাথনের ফ্রিকিক থেকেই পোচনের গোলমুখে জটলায় তপু বর্মণের শট ফিরে আসে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পায়ে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর সিমোন একটি সুযোগ নষ্ট করেন। তাঁর সাইড ভলি চলে যায় বার উঁচিয়ে। এর অল্প পরেই গোল প্রায় হজম করেই বসেছিল আবাহনী। লি সিউং উ’র দূরপাল্লার চকিত শট ক্রসবারে হাওয়া লাগিয়ে চলে যায়।
খেলার একেবারে শেষ দিকে নাবিব নেওয়াজ জীবন একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলে ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আবাহনীকে।