খসে পড়ল আলগা

প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল, আরেকটি নিষ্প্রাণ ম্যাচই হয়তো দেখতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত এফসি আলগা ও টিসি স্পোর্টসের ম্যাচটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠল আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে। স্বভাবতই এই ম্যাচের দিকে চোখ ছিল আবাহনীর। কে জিতল কিংবা ড্র হলে ঢাকার এই ক্লাবটির সেমির আশা কতটা জিইয়ে থাকে, সেটা দেখার বিষয়। ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ চারের টিকিট কাটল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস।
প্রথম ম্যাচে পোচনের কাছে হার, কাল টিসি স্পোর্টসের কাছে—কিরগিজস্তানের এফসি আলগা টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিল সবার আগে। আগামী পরশু আবাহনীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ আলগার। তবে আবাহনীর জন্য ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য দিনের প্রথম ম্যাচে টিসি স্পোর্টসের সঙ্গে পোচন ড্র করলেই পরের ম্যাচটি আলগা-আবাহনী দুই দলের জন্যই হবে আনুষ্ঠানিকতার।
কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আলগার সঙ্গে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে মালদ্বীপের ক্লাবটি। ৩৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সুলতনভের ক্রস থেকে উড়ে আসা বল ধরতে গিয়ে নাগাল পাননি টিসি গোলরক্ষক কিরণ কুমার। আলগার ফরোয়ার্ড আমিরভের মাথা ছুঁয়ে আসা বলটিকে এরমাক জালে পাঠান হেডে (১-০)।
তবে গোল শোধ করতে সময় নেয়নি টিসি। ৪৫ মিনিটে হাসান নিয়াজের কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের মাথা থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে টিসি। ৭০ মিনিটে তারা ম্যাচটি ২-১ করে ফেলে স্টুয়ার্ট ইজিলের সৌজন্যে। এ সময় ডান প্রান্ত থেকে আসাদ মোহাম্মদ বক্সে ফেলেন বলটি। ক্লিয়ার করতে গিয়ে এক ডিফেন্ডার বলটি লাগান সাইডবারে, সেখান থেকেই ফিরে আসা বল জোরালো শটে জালে জড়িয়ে দেন ইজিল (২-১)। আলগা দু-একটি সুযোগ যে পায়নি তা নয়, তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারত টিসি।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনে কাল দর্শক ছিল আগের দুই দিনের চেয়ে আরও কম। আয়োজকেরা আগের দিন বিনা মূল্যে টিকিট সরবরাহের হাঁকডাক ছাড়লেও ক্লাবগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকিট পায়নি বলে অভিযোগ।